বোলারদের দিনে ব্যাটিং-ব্যর্থতা

রেকটু হলে ম্যাচে তাঁর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের অনন্য কীর্তিই গড়ে ফেলেছিলেন মোহাম্মদ শরীফ! আগের দিন নিজের প্রথম ওভারেই সেটি করে দেখানো এ পেসার কাল টানা দুই বলে উইকেট নিলেন তৃতীয় ওভারে এসে। বরিশাল অধিনায়ক জাভেদ ওমর ঢাকার অধিনায়কের হ্যাটট্রিক ঠেকালেও জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচগুলোর দ্বিতীয় দিন বোলারদের সাফল্যের বিপরীতে ব্যাটিং-ব্যর্থতার ছবিও কম বড় হয়ে উঠছে না।


ঢাকা মেট্রোর ৩৯৩ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ২০৬ রান তুলে চট্টগ্রামের দিন শেষ করার ঘটনা একটু ব্যতিক্রমই। কেননা ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় অন্য তিন ম্যাচের থিম সংই হয়ে গেছে, 'কেহ কারো চেয়ে কম নাহি যায়!'
তাও ভালো যে এ রাউন্ডে এসে দ্বিতীয় দিনেই কোনো ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়ে যায়নি। তবে যশোরের শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে আজই ফল হয়ে যেতে পারে খুলনা-রংপুর ম্যাচের। খুলনার ১৩৯ রানের জবাবে ধীমান ঘোষের হার-না-মানা ৬১ রান সত্ত্বেও রংপুরের প্রথম ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১৩১ রানে। উইকেটের সহায়তা পাওয়ায় বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ খানের সামনে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছিলেন রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। ২৯ রানে ৭ উইকেট নেওয়া মুরাদের পর এ দিনই আরেক স্পিনার ভেসেছেন ৫ উইকেট পাওয়ার আনন্দে। অফস্পিনার মাহমুদুল হাসানের (৫/৭৫) বোলিংয়ে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসও ২১৪ রানে শেষ হওয়ায় রংপুরের সামনে জয়ের জন্য দাঁড়ায় ২২৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা। বিনা উইকেটে ১৩ রান তুলে দিন শেষ করা দলটিকে আজ তৃতীয় দিনে করতে হবে আরো ২১০ রান।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে সিলেটের বড় কোনো টার্গেট দেওয়ারও সম্ভাবনা প্রায় বিলীন। বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের (৬/৪২) ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংস ১৭৫ রানে শেষ করে দেওয়া সিলেট আবার নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৮ রান তুলতেই খুইয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। দ্বিতীয় দিনের শেষে তাঁরা মাত্র ৯৩ রানে এগিয়ে।
৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা ঢাকা শেষপর্যন্ত বরিশালের বিপক্ষে লিড নিতে পেরেছে মোশাররফ হোসেন (৬৯*) ও অধিনায়ক শরীফের (৩৪) ৯৭ রানের পার্টনারশিপে। এরপর শরীফের আরেকটি হ্যাটট্রিক আটকে দেওয়া বরিশালের সামনে অবশ্য এখনো আশার আলো আছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রান তোলা দলটির হাতে যে এখনো ৭টি উইকেট আছে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল-ঢাকা : বরিশাল ১ম ইনিংস ১৮৩/১০ ও ২য় ইনিংস ২৯ ওভারে ৭০/৩ (জুপিটার ব্যাটিং ৪১, জাভেদ ১০; শরীফ ২/১৫, মাহবুবুল ১/২৩)। ঢাকা ১ম ইনিংস ৮০.৪ ওভারে ১৯৯/১০ (মোশাররফ ৬৯*, শরীফ ৩৪; রাসেল ২/৫৮, ইশরাক ৩/৫৬, রিয়াজুল ২/২০)।
রাজশাহী-সিলেট : সিলেট ১ম ইনিংস ১০০/৯ ডিক্লে. ও ২য় ইনিংস ৭৫.৪ ওভারে ১৬৮/৬ (রুম্মন ৪৫, শাকের ৬২; মুক্তার ৩/৪২)। রাজশাহী ১ম ইনিংস ৪৯.১ ওভারে ১৭৫/১০ (সাবি্বর ২৯, সাঞ্জামুল ২২; এনামুল জুনিয়র ৬/৪২, তাপস ২/৪৪, আবু জাহেদ ২/৪১)।
খুলনা-রংপুর : খুলনা ১ম ইনিংস ১৩৯/১০ ও ২য় ইনিংস ৬৭.৫ ওভারে ২১৪/১০ (নাজমুস সাদাত ৬০, তাপস ৩৬, মোসাদ্দেক ২৪; শুভাশিষ ২/১৪, মাহমুদুল ৫/৭৫, তানভীর ৩/৬৭)। রংপুর ১ম ইনিংস ৫১.৪ ওভারে ১৩১/১০ (ধীমান ৬১*, তারিক ২৬; মুরাদ খান ৭/২৯) ও ২য় ইনিংস ২ ওভারে ১৩/০।
ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম : ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ১১১.৪ ওভারে ৩৯৩/১০ (আসিফ ৪২, মেহরাব জুনিয়র ৮৭, তাসামুল ১২৫, শরীফউল্লাহ ৪০; কামরুল ৩/৬৬, ইকবাল ২/২৬, ইয়াসিন ৪/৯১)। চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ৬৫ ওভারে ২০৬/৫ (নাফিস ৭০, আফতাব ৪০, নাজিমউদ্দিন ৪৩; আরাফাত ৪/৪১)।

No comments

Powered by Blogger.