চিঠিপত্র-এসএম হলের ওয়াইফাই

ফেসবুকের স্ট্যাটাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের একজন শিক্ষার্থী লিখেছে, 'এসএম হলের ওয়াইফাই আর কতদিন ডিস্টার্ব করবে।' সেখানে তার এক বন্ধু মন্তব্য করেছে, 'যতদিন তুমি এসএম হলের আবাসিক ছাত্র থাকবে ততদিন ওয়াইফাই ডিস্টার্ব করবে।' ধরেই নিলাম এসএম হলের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা তো কেবল ডিস্টার্ব নয়।


ওয়াইফাই যদি সমস্যা করত, নেটওয়ার্ক আসা-যাওয়া করত, তবুও হয়তো মনকে বুঝ দেওয়া যেত। আশ্চর্যের বিষয় হলো, গত ১০ দিন ধরে হলে কোনো ওয়াইফাই কাজই করছে না। শিক্ষার্থীরা কোনো সেবা পাচ্ছে না। এ রকমটা প্রায়ই হয়, মাঝখানে ক'দিন থাকে আবার হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এটা যেন বিদ্যুতের মতো। গরমের সময়ের বিদ্যুৎকে অনেকে বলেন, 'যায় না, মাঝে মাঝে আসে।' অবশ্য আমরা সৌভাগ্যবান যে, বিদ্যুতের সমস্যা আমাদের নেই। তবে ওয়াইফাইয়ের এ ধরনের 'মাঝে মাঝে আসা'টা খুবই দুঃখজনক। আমাদের হল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন জানা নেই। ছাত্রদের সেবা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের থাকলেও এসব বিষয়ে তারা কতটা উদাসীন ওয়াইফাই-ই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ছাত্ররা কোন সেবাটি পাচ্ছে না বা পেলেও তার অবস্থা তদারকি যে হচ্ছে না, তা খুবই স্পষ্ট। ওয়াইফাই সমস্যা দেখে আরেকজন ছাত্র বলেছিল, 'আমরা সবাই মিলে একটা করে মডেম কিনব আর তার টাকা আদায় করব হল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।' হল কর্তৃপক্ষ না হয় মডেম দিলেন, মাসে মাসে কি পাঁচশ' টাকা করে প্রত্যেক ছাত্রকে দিতে পারবেন? যদি না পারেন ওয়াইফাইয়ের সেবা ঠিকমতো দেন। তাও যদি না পারেন দয়া করে ওয়াইফাই মেশিনটা খুলে নিয়ে যান, আমরা এ রকম সেবা চাই না।
মাহফুজ, মামুন, সাজ্জাদ, সিরাজ সাঈদ, ইমরান, মাহবুব, হেলাল
এসএম হলের শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাড়িভাড়া বৃদ্ধি
বর্তমান সময়ে যে বাড়িভাড়া এক ধরনের লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণে-অকারণে, যখন-তখন বা নানা অজুহাতে ইচ্ছামতো বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করা যেন 'জমিদারদের' এক ধরনের ফ্যাশন। কোনো আইন, কোনো নীতি তাদের পাশ ঘেঁষতে পারে না। ভাড়াটেদের ওপর এক ধরনের অর্থনৈতিক নির্যাতন করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর বাড়ির মালিক। দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জর্জরিত মানুষের ওপর নতুন চাপের সৃষ্টি করেছে এই বাসা ভাড়া। ১৯৯১ সালের ৩নং আইনের ৭নং ধারায় বলা হয়েছে, 'এ আইনের বিধানসাপেক্ষে, কোনো বাড়ির ভাড়া মানসম্মত ভাড়ার অধিক বৃদ্ধি করা হলে ওই অধিক ভাড়া, কোনো চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও আদায়যোগ্য হবে না।' অথচ সাদা কাগজে কালো কালির লেখাগুলোই যেন শুধুই লেখা। প্রতিবাদ করতে চাইলে প্রবাদবাক্যের মতো শুনিয়ে দেবে, 'আগামী মাস থেকে আপনারা অন্য বাসা দেখেন।' একটি পরিবারকে যদি আয়ের বেশিরভাগ অংশ বাসা ভাড়ার পেছনে ব্যয় করতে হয়, তাহলে পরিবারটি খাবে কী? কোনো চাকরিতে মাসের প্রথম দিন বেতন দেওয়া হয় না; কিন্তু বাড়িওয়ালাকে মাসের প্রথম দিন ভাড়া দিতে হয়! বাসা ভাড়ার নীতির সঠিক প্রয়োগ চাই। এভাবে ভাড়াটিয়ার ওপর মানসিক অত্যাচার আসলেই অনৈতিক ও অমানবিক।
সনেট দেব
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম
বেসরকারি
শিক্ষকদের
আবেদন
শিক্ষকরা মানুষ গড়ার হাতিয়ার। আমরা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ১০০ টাকা বাড়িভাড়া, ১৫০ টাকা চিকিৎসাভাতা পেয়ে থাকি। নেই কোনো বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট, নেই কোনো সামাজিক ও অর্থনৈতিক মানমর্যাদা। অন্যদিকে আমরা প্রায় হাজার হাজার কলেজ শিক্ষক দীর্ঘ ১২-১৮ বছর ধরে প্রভাষকদের প্রারম্ভিক স্কেলেই (বর্তমানে ১১ হাজার টাকা) চাকরি করে আসছি। চাকরি জীবনের ৮ বছর পর একটি মাত্র টাইম স্কেল প্রভাষকরা পেতেন। সেটিও চারদলীয় জোট সরকার বন্ধ করে গেছে। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ২০১০ অক্টোবর-নভেম্বর দু'মাস সেই সুবিধা পেয়েছিলাম। কিন্তু পরে কী এক অদৃশ্য কারণে আমাদের টাইম স্কেল সুবিধা বন্ধ রাখা হয়। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের চরম দুর্দিনে টাইম স্কেল চালুসহ নানাবিধ আর্থিক অসুবিধা লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট হবেন।
এস দত্ত
প্রভাষক, হাজী তাহেরউদ্দিন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ
উজিরপুর, বরিশাল

No comments

Powered by Blogger.