কড়াইল বস্তি-২: ভোট এলে দাম বাড়ে ভোট গেলে যেই সেই by মনোয়ারুল ইসলাম
সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে সব বিষয়েই ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন হয়নি বস্তিবাসী বলে পরিচিত জীবিকার তাগিদে শহরে ঠাঁই নওয়া দরিদ্র মানুষের ভাগ্য। এখানকার শিশুরা নানা সমস্যা ও আতংক মাথায় নিয়ে বড় হয়। বস্তির ঘিঞ্জি পরিবেশ, অপ্রতুল পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং অধিক ভাড়ার পাশাপাশি নানা দুরবস্থা এখানকার জীবনসঙ্গী। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিদ্যুৎ এবং বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা নেই।
নানা সমস্যার পাশাপাশি উচ্ছেদ আতংকও ঢাকার বস্তিবাসীদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ও বিনোদনের মতো চাহিদাগুলো বস্তিবাসীদের জন্য যেন অসম্ভব। নির্বাচনের আগে সবাই পানি, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা সুবিধা দেবার কথা বলে। পরে তারা এ ব্যাপারে আর কিছু বলেন না।
কড়াইল বস্তি ঢাকা ১৭ আসনের অর্ন্তগত। আসনটির মোট ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ১৫৫ জন। যদিও আসনটি ঢাকার অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত, কিন্তু এখানে ভোটের হিসেব-নিকেশে গুরুত্ব পায় কড়াইল বস্তি এলাকার ভোটাররা। এছাড়াও সারা বছর রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিং মিছিলে লোক সাপ্লাই দেওয়া হয় এই বস্তি থেকে।
বস্তিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতা নির্বাচনের আগে এত বেশি প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা সব মনেও রাখতে পারেন না।
শিশুকানন বিদ্যালয় সংলগ্ন বস্তিরঘরের বাসিন্দা হালিমা খাতুন জানান, ভোটের সময় সবাই এখানে ভালো হাসপাতাল করার কথা বলেছে। কিন্ত আজ পর্যন্ত এখানে কোনও হাসপাতাল হয়নি। যতটুকু স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় তা বিভিন্œ বেসরকারি সংস্থা দিচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি পেশায় পান দোকানদার হলেও মুক্তিযোদ্ধা। অনেক কষ্ট করে রেলওয়ের কলোনির জায়গায় দোকান করার অনুমতি নিয়েছি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া রাষ্ট্রীয় কোনও সুবিধা পাই না। আমি বস্তিতে থাকি বলেই কি এই অবহেলা? অথচ ভোটের সময় সবাই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে।’
রিকশাচালক বাবুল মিয়া জানান, এখানে মশার খুব উৎপাত। গত দুই বছরেরও মশার ওষুধ ছিটাতে দেখিনি। ভোটের সময় সবাই শুধু ভোটের জন্য বলে কোনও সমস্যাই থাকবে না। আসলে এসব শুধুই প্রতিশ্রুতি। তবে তিনি মনে করেন বস্তিবাসীরাও বিভিন্ন দল করে নেতাদের টাকা খায় তাই নিজের দলের ও নেতার নামে কিছু বলে না।
কড়াইল বস্তিটি পড়ে গুলশান থানা এলাকার মধ্যে। এই আসনের বর্তমান এমপি মহাজোটের পক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন চারদলীয় জোটের পক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ।
ভোটের সময় অভিজাত বাসিন্দারা নন, বরং এই বস্তিবাসী ও বস্তির ভোটাররাই জয়পরাজয়ে মূল নিয়ামক বা ফ্যাক্টর। কিন্ত নির্বাচন শেষে আর তাদের গুরুত্ব থাকে না। বস্তিতে অনেককেই আছেন যাদের মূল পেশাই হলো মিছিলে বা প্রোগ্রামে লোক সাপ্লাই দেওয়া।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান কথা বলেন। তিনি এরশাদের পক্ষে এই এলাকার তত্ত্বাবধান করেন। তিনি বলেন, কড়াইল বস্তিতে এরশাদ অনেক জনপ্রিয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এরশাদের নয় বছরের শাসনামলে তিনি পুনর্বাসন ছাড়া কোনো বস্তি উচ্ছেদ করেননি। এরশাদ এই এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন। নিজের ব্যয়ে একটি স্কুল করেছেন। স্কুলটি এখনো উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
চার দলীয় জোটের প্রার্থী বিএনপি নেতা হান্নান শাহ বলেন, ‘আমি গত নির্বাচনে এই এলাকা থেকে নির্বাচন করেছি। আমি বস্তিবাসীদের বিপদে-আপদে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। বস্তি এলাকা থেকে নিম্ন আয়ের লোকদের যেন পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করা হয়। তারা কোনো অন্যায়ের শিকার না হয়, আমি সে ব্যাপারে সতর্ক আছি।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‘নাগরিক স্বার্থে, গরিব সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোনো কাজ করছেন না বড় দলের নেতারা। তারা শুধু ভোটের রাজনীতি করেন। নির্বাচনে বড় অনেক প্রার্থীই টাকা দিয়ে ভোট কেনেন। ফলে তারা আর ভোটের পর এলাকায় অসেন না।’
হাফিজ নামের এক বস্তিবাসী বললেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হান্নান শাহ তাদেরকে পাঁচ বছর এখানে থাকার গ্যারান্টি দিয়েছেন, আর এরশাদ সাহেব দিয়েছেন ‘লাইফ গ্যারান্টি।’ কিন্ত অভাবে থাবলে লাইঢফ গ্যারন্টি দিয়ে কাজ কি?
শুধু কড়াইল বস্তিতেই দেড় লাখ মানুষ বাস করেন আর এখানে ভোটার আছেন ২৩ হাজার। অভিজাত এলাকার আসন বলে পরিচিত পেলেও ভোটের সময় প্রার্থীদের মনোযোগের কেন্দ্র থাকেন এই বস্তিবাসীরাই। কিন্তু ভোট চলে গেলে বস্তিবাসীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর দিনবদলের অঙ্গীকার সবই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় কর্পুরের মতো।
এই আসনে আরো যারা প্রার্থী ছিলেন তারা হলেন, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের ইমতিয়াজ মাহমুদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এম এ রশিদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোঃ শহিদুল¬াহ কাজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ শামসুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সালেহ আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত নগর গবেষক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ’ঢাকার অধিকাংশ বস্তিবাসীই নিরীহ এবং সৎ। সবাই বস্তিবাসীদের অবহেলার চোখে দেখলেও বস্তির শ্রমজীবী মানুষেরা ঢাকার পোশাকশিল্প, পরিবহন শিল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা সহ নানা কাজের চাকা সচল রেখেছে। রাজনীতিক এবং স্থানীয় যারা নেতা তারাই আসলে বস্তিবাসীদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন. ‘স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে বস্তিবাসীদের ব্যবহার করে থাকেন।’
তিনি মনে করেন,বস্তিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বা নিদেনপক্ষে ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে তারা কোনো সামাজিক সমস্যার কারণ হবে না। সরকার এবং নাগরিকদের সদিচ্ছা ও সম্মিলিত প্রয়াসের মধ্য দিয়ে সকল বস্তিবাসীর জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।’
এ ব্যপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন, ‘বস্তিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের বিষয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সরকার তাদের জন্য কমিউনিটি স্কুল ও চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।’
বস্তির পান দোকানদার আমানতউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনও মতে বেঁচে থাকার জন্য কাজ করি। আমরা বস্তিতে কোনও নাগরিক সুবিধা পাই না। ভোট শেষে আমাদের কথা কেউ বলে না।’
বস্তিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতা নির্বাচনের আগে এত বেশি প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা সব মনেও রাখতে পারেন না।
শিশুকানন বিদ্যালয় সংলগ্ন বস্তিরঘরের বাসিন্দা হালিমা খাতুন জানান, ভোটের সময় সবাই এখানে ভালো হাসপাতাল করার কথা বলেছে। কিন্ত আজ পর্যন্ত এখানে কোনও হাসপাতাল হয়নি। যতটুকু স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় তা বিভিন্œ বেসরকারি সংস্থা দিচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি পেশায় পান দোকানদার হলেও মুক্তিযোদ্ধা। অনেক কষ্ট করে রেলওয়ের কলোনির জায়গায় দোকান করার অনুমতি নিয়েছি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া রাষ্ট্রীয় কোনও সুবিধা পাই না। আমি বস্তিতে থাকি বলেই কি এই অবহেলা? অথচ ভোটের সময় সবাই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে।’
রিকশাচালক বাবুল মিয়া জানান, এখানে মশার খুব উৎপাত। গত দুই বছরেরও মশার ওষুধ ছিটাতে দেখিনি। ভোটের সময় সবাই শুধু ভোটের জন্য বলে কোনও সমস্যাই থাকবে না। আসলে এসব শুধুই প্রতিশ্রুতি। তবে তিনি মনে করেন বস্তিবাসীরাও বিভিন্ন দল করে নেতাদের টাকা খায় তাই নিজের দলের ও নেতার নামে কিছু বলে না।
কড়াইল বস্তিটি পড়ে গুলশান থানা এলাকার মধ্যে। এই আসনের বর্তমান এমপি মহাজোটের পক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন চারদলীয় জোটের পক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ।
ভোটের সময় অভিজাত বাসিন্দারা নন, বরং এই বস্তিবাসী ও বস্তির ভোটাররাই জয়পরাজয়ে মূল নিয়ামক বা ফ্যাক্টর। কিন্ত নির্বাচন শেষে আর তাদের গুরুত্ব থাকে না। বস্তিতে অনেককেই আছেন যাদের মূল পেশাই হলো মিছিলে বা প্রোগ্রামে লোক সাপ্লাই দেওয়া।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান কথা বলেন। তিনি এরশাদের পক্ষে এই এলাকার তত্ত্বাবধান করেন। তিনি বলেন, কড়াইল বস্তিতে এরশাদ অনেক জনপ্রিয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এরশাদের নয় বছরের শাসনামলে তিনি পুনর্বাসন ছাড়া কোনো বস্তি উচ্ছেদ করেননি। এরশাদ এই এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন। নিজের ব্যয়ে একটি স্কুল করেছেন। স্কুলটি এখনো উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
চার দলীয় জোটের প্রার্থী বিএনপি নেতা হান্নান শাহ বলেন, ‘আমি গত নির্বাচনে এই এলাকা থেকে নির্বাচন করেছি। আমি বস্তিবাসীদের বিপদে-আপদে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। বস্তি এলাকা থেকে নিম্ন আয়ের লোকদের যেন পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করা হয়। তারা কোনো অন্যায়ের শিকার না হয়, আমি সে ব্যাপারে সতর্ক আছি।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‘নাগরিক স্বার্থে, গরিব সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোনো কাজ করছেন না বড় দলের নেতারা। তারা শুধু ভোটের রাজনীতি করেন। নির্বাচনে বড় অনেক প্রার্থীই টাকা দিয়ে ভোট কেনেন। ফলে তারা আর ভোটের পর এলাকায় অসেন না।’
হাফিজ নামের এক বস্তিবাসী বললেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হান্নান শাহ তাদেরকে পাঁচ বছর এখানে থাকার গ্যারান্টি দিয়েছেন, আর এরশাদ সাহেব দিয়েছেন ‘লাইফ গ্যারান্টি।’ কিন্ত অভাবে থাবলে লাইঢফ গ্যারন্টি দিয়ে কাজ কি?
শুধু কড়াইল বস্তিতেই দেড় লাখ মানুষ বাস করেন আর এখানে ভোটার আছেন ২৩ হাজার। অভিজাত এলাকার আসন বলে পরিচিত পেলেও ভোটের সময় প্রার্থীদের মনোযোগের কেন্দ্র থাকেন এই বস্তিবাসীরাই। কিন্তু ভোট চলে গেলে বস্তিবাসীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর দিনবদলের অঙ্গীকার সবই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় কর্পুরের মতো।
এই আসনে আরো যারা প্রার্থী ছিলেন তারা হলেন, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের ইমতিয়াজ মাহমুদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এম এ রশিদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোঃ শহিদুল¬াহ কাজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ শামসুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সালেহ আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত নগর গবেষক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ’ঢাকার অধিকাংশ বস্তিবাসীই নিরীহ এবং সৎ। সবাই বস্তিবাসীদের অবহেলার চোখে দেখলেও বস্তির শ্রমজীবী মানুষেরা ঢাকার পোশাকশিল্প, পরিবহন শিল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা সহ নানা কাজের চাকা সচল রেখেছে। রাজনীতিক এবং স্থানীয় যারা নেতা তারাই আসলে বস্তিবাসীদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন. ‘স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে বস্তিবাসীদের ব্যবহার করে থাকেন।’
তিনি মনে করেন,বস্তিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বা নিদেনপক্ষে ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে তারা কোনো সামাজিক সমস্যার কারণ হবে না। সরকার এবং নাগরিকদের সদিচ্ছা ও সম্মিলিত প্রয়াসের মধ্য দিয়ে সকল বস্তিবাসীর জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।’
এ ব্যপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন, ‘বস্তিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের বিষয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সরকার তাদের জন্য কমিউনিটি স্কুল ও চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।’
বস্তির পান দোকানদার আমানতউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনও মতে বেঁচে থাকার জন্য কাজ করি। আমরা বস্তিতে কোনও নাগরিক সুবিধা পাই না। ভোট শেষে আমাদের কথা কেউ বলে না।’
No comments