খরচ কমাতে জ্বালানি তেল আসছে বিশাল জাহাজে-দুই লাখ টন তেল নিয়ে কুতুবদিয়ায় দুই 'মাদার ভ্যাসেল' by আসিফ সিদ্দিকী,
চট্টগ্রাম বন্দরে জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে দেড় লাখ টনের বিশাল জাহাজে। মূলত খরচ কমাতে ও জ্বালানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও সাগরের গভীরতা কম থাকায় 'মাদার ভ্যাসেল' নামে পরিচিত এসব জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙরে আসতে পারে না। তাই গভীর সমুদ্রে অর্থাৎ কুতুবদিয়া এলাকায় এসব জাহাজ নোঙর করে ছোট জাহাজ দিয়ে তেল খালাস করে বিপিসির গুদামে নিয়ে আসা হচ্ছে।
বর্তমানে 'এসটিআই স্পিরিট' ও 'সুপার লেডি' নামের দুটি জাহাজে দুই লাখ টনের বেশি জ্বালানি তেল নিয়ে বন্দরের জলসীমানার বাইরে কুতুবদিয়া এলাকায় নোঙর করেছে।
দেশে জ্বালানি তেল আমদানি বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে এ ধরনের মাদার ভ্যাসেল আসার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এখন গড়ে প্রতি মাসে এ ধরনের একটি জাহাজ বন্দরে আসছে। আগে ৫০ হাজার টনের বেশি পণ্যবাহী জাহাজ আসত না বন্দরে। বড় জাহাজে তেল পরিবহন করায় খরচও অনেক কমে গেছে বলে জানা গেছে।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোস্তফা কুদরুত-ই-ইলাহী কালের কণ্ঠকে বলেন, '৫০ হাজার টন মাঝারি ধারণক্ষমতার জাহাজে প্রিমিয়াম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ৩০ ডলার, ৫০ হাজার টনের ঊধর্ে্ব জাহাজের প্রিমিয়াম ৩ দশমিক ১৪ ডলার। মাদার ভ্যাসেল বা বড় জাহাজে তেল পরিবহনে ব্যারেলপ্রতি ১৬ সেন্ট সাশ্রয় হচ্ছে।'
বন্দর ও শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরের জেটি ও সাগরে অবস্থানরত ছোট-বড় ৬৮টি জাহাজের মধ্যে সবচেয়ে বড় 'এসটিআই স্পিরিট' জাহাজ। এক লাখ ১৩ হাজার ৯১ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হলেও এক লাখ তিন হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে অবস্থান করছে জাহাজটি। আড়াই শ মিটার দীর্ঘ দানবাকৃতির এই জাহাজটির গভীরতা পৌনে ১৫ মিটার এবং প্রস্থ ৪৪ মিটার। ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর তৈরি জাহাজটির ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩ নটিক্যাল মাইল। যদিও ১১ নটিক্যাল মাইল গতিবেগে চলে জাহাজটি সিঙ্গাপুর বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। জানা গেছে, সাধারণত ১৮৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৯ মিটার ড্রাফট বা গভীরতার জাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতর অর্থাৎ জেটিতে বার্থিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। এর বেশি দীর্ঘ ও গভীরতার জাহাজকে বহির্নোঙরে নোঙর করে পণ্য খালাস করতে হয়। সাধারণত ৫০ হাজার টনের ছোট জাহাজকে বহির্নোঙরে এবং এর বড় জাহাজকে কুতুবদিয়া এলাকায় নোঙর করতে হয়। 'এসটিআই স্পিরিট' জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে
তেল স্থানান্তর করে জেটিতে নিয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রাইড শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আটলান্টিক ব্লু জাহাজ দিয়ে এসটিআই স্পিরিট জাহাজ থেকে দুই দফায় তেল লাইটারিং করা হয়েছে। এই মাসের মধ্যে সব তেল খালাস করে ডিপোতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।'
শুধু এসটিআই স্পিরিট নয়, কুতুবদিয়া এলাকায় সাড়ে ৯৬ হাজার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে অবস্থান করছে বিদেশি পতাকাবাহী আরেকটি বড় জাহাজ 'সুপার লেডি'। দৈর্ঘ্যে ১৪০ মিটার; কিন্তু গভীরতায় এসটিআই স্পিরিটের মতোই সমান ১৪ মিটারের জাহাজটি বাংলাদেশ সীমানায় পেঁৗছেছে ১৩ নভেম্বর।
জ্বালানি তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার পর থেকে দেশে তেল আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিপুল জ্বালানি তেল আমদানিতে বড় জাহাজে করে পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পর থেকেই লাখ টন ধারণক্ষমতার জাহাজে তেল আসা শুরু হয়।
শিপিং ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসে ৬০০ কোটি টাকার জ্বালানি তেল নিয়ে দেশে এসেছিল মাদার ভ্যাসেল 'এমটি ট্রিডোনাওয়াটি'। এক লাখ ৬০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই বিশাল জাহাজটি দেশে আসা সবচেয়ে বড় জাহাজ। যদিও এক লাখ আট হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসা জাহাজটি দৈঘ্র্যে ২৭৩ দশমিক ৭৬ মিটার এবং গভীরতা ১৭ দশমিক ১৫ মিটার। মার্চ মাসে এক লাখ টনের বেশি অশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসে 'করাচি' জাহাজ। এই মাসে ৮০ হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসে আরো একটি জাহাজ 'নর্ডভেনাস'। এপ্রিল মাসে ৯৭ হাজার টন অশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসে 'কোয়েটা' জাহাজ। মে মাসে এক লাখ পাঁচ হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে আসে 'বদর' জাহাজ।
গত জুন মাসে ৭৫০ কোটি টাকা মূল্যের এক লাখ ৪২ হাজার টন ডিজেল নিয়ে দানবাকৃতির জাহাজ 'প্রিনসিমার হোপ' আসে দেশে। জুলাই মাসে এক লাখ ছয় হাজার টন অশোধিত তেল নিয়ে আসে ২৪৭ মিটার দীর্ঘ জাহাজ 'বদর'। অক্টোবর মাসে ৯০ হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসে ২৪৭ মিটার দৈর্ঘ্যের বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজ 'ইউনিটি'। এরপর ২৭৪ মিটার দীর্ঘ আরেকটি জাহাজ 'বারবারোসা' এক লাখ টন অশোধিত তেল নিয়ে কুতুবদিয়া এলাকায় নোঙর করে।
দেশে জ্বালানি তেল আমদানি বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে এ ধরনের মাদার ভ্যাসেল আসার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এখন গড়ে প্রতি মাসে এ ধরনের একটি জাহাজ বন্দরে আসছে। আগে ৫০ হাজার টনের বেশি পণ্যবাহী জাহাজ আসত না বন্দরে। বড় জাহাজে তেল পরিবহন করায় খরচও অনেক কমে গেছে বলে জানা গেছে।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোস্তফা কুদরুত-ই-ইলাহী কালের কণ্ঠকে বলেন, '৫০ হাজার টন মাঝারি ধারণক্ষমতার জাহাজে প্রিমিয়াম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ৩০ ডলার, ৫০ হাজার টনের ঊধর্ে্ব জাহাজের প্রিমিয়াম ৩ দশমিক ১৪ ডলার। মাদার ভ্যাসেল বা বড় জাহাজে তেল পরিবহনে ব্যারেলপ্রতি ১৬ সেন্ট সাশ্রয় হচ্ছে।'
বন্দর ও শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরের জেটি ও সাগরে অবস্থানরত ছোট-বড় ৬৮টি জাহাজের মধ্যে সবচেয়ে বড় 'এসটিআই স্পিরিট' জাহাজ। এক লাখ ১৩ হাজার ৯১ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হলেও এক লাখ তিন হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে অবস্থান করছে জাহাজটি। আড়াই শ মিটার দীর্ঘ দানবাকৃতির এই জাহাজটির গভীরতা পৌনে ১৫ মিটার এবং প্রস্থ ৪৪ মিটার। ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর তৈরি জাহাজটির ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩ নটিক্যাল মাইল। যদিও ১১ নটিক্যাল মাইল গতিবেগে চলে জাহাজটি সিঙ্গাপুর বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। জানা গেছে, সাধারণত ১৮৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৯ মিটার ড্রাফট বা গভীরতার জাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতর অর্থাৎ জেটিতে বার্থিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। এর বেশি দীর্ঘ ও গভীরতার জাহাজকে বহির্নোঙরে নোঙর করে পণ্য খালাস করতে হয়। সাধারণত ৫০ হাজার টনের ছোট জাহাজকে বহির্নোঙরে এবং এর বড় জাহাজকে কুতুবদিয়া এলাকায় নোঙর করতে হয়। 'এসটিআই স্পিরিট' জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে
তেল স্থানান্তর করে জেটিতে নিয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রাইড শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আটলান্টিক ব্লু জাহাজ দিয়ে এসটিআই স্পিরিট জাহাজ থেকে দুই দফায় তেল লাইটারিং করা হয়েছে। এই মাসের মধ্যে সব তেল খালাস করে ডিপোতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।'
শুধু এসটিআই স্পিরিট নয়, কুতুবদিয়া এলাকায় সাড়ে ৯৬ হাজার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে অবস্থান করছে বিদেশি পতাকাবাহী আরেকটি বড় জাহাজ 'সুপার লেডি'। দৈর্ঘ্যে ১৪০ মিটার; কিন্তু গভীরতায় এসটিআই স্পিরিটের মতোই সমান ১৪ মিটারের জাহাজটি বাংলাদেশ সীমানায় পেঁৗছেছে ১৩ নভেম্বর।
জ্বালানি তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার পর থেকে দেশে তেল আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিপুল জ্বালানি তেল আমদানিতে বড় জাহাজে করে পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পর থেকেই লাখ টন ধারণক্ষমতার জাহাজে তেল আসা শুরু হয়।
শিপিং ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসে ৬০০ কোটি টাকার জ্বালানি তেল নিয়ে দেশে এসেছিল মাদার ভ্যাসেল 'এমটি ট্রিডোনাওয়াটি'। এক লাখ ৬০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই বিশাল জাহাজটি দেশে আসা সবচেয়ে বড় জাহাজ। যদিও এক লাখ আট হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসা জাহাজটি দৈঘ্র্যে ২৭৩ দশমিক ৭৬ মিটার এবং গভীরতা ১৭ দশমিক ১৫ মিটার। মার্চ মাসে এক লাখ টনের বেশি অশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসে 'করাচি' জাহাজ। এই মাসে ৮০ হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসে আরো একটি জাহাজ 'নর্ডভেনাস'। এপ্রিল মাসে ৯৭ হাজার টন অশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসে 'কোয়েটা' জাহাজ। মে মাসে এক লাখ পাঁচ হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে আসে 'বদর' জাহাজ।
গত জুন মাসে ৭৫০ কোটি টাকা মূল্যের এক লাখ ৪২ হাজার টন ডিজেল নিয়ে দানবাকৃতির জাহাজ 'প্রিনসিমার হোপ' আসে দেশে। জুলাই মাসে এক লাখ ছয় হাজার টন অশোধিত তেল নিয়ে আসে ২৪৭ মিটার দীর্ঘ জাহাজ 'বদর'। অক্টোবর মাসে ৯০ হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসে ২৪৭ মিটার দৈর্ঘ্যের বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজ 'ইউনিটি'। এরপর ২৭৪ মিটার দীর্ঘ আরেকটি জাহাজ 'বারবারোসা' এক লাখ টন অশোধিত তেল নিয়ে কুতুবদিয়া এলাকায় নোঙর করে।
No comments