জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর ॥ ভয়াবহ সেশনজট-০ ১২ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত, চাকরির বয়স পেরিয়ে যায় -০ শিক্ষক-কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকেন রাজনীতিতে -০ ২০০৮-এর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হচ্ছে এখন- ০ অসন্তোষ ক্ষোভে রূপ নিচ্ছে by বিভাষ বাড়ৈ

বছরের পর বছর ধরে তৈরি হওয়া ভয়াবহ সেশনজটে জড়িয়ে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর আশ্রয়স্থল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। নিত্যনতুন কলেজ আর কলেজ তৈরি করে বিষয় খুলে শিক্ষার্থী ভর্তির কাজ চললেও সেশনজটের কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগের মুখে সারাদেশের প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন।


চার বছরের অনার্স ও এক বছরের মাস্টার্স শেষ করতে লেগে যাচ্ছে অন্তত আট থেকে নয় বছর। স্নাতক কোর্স চার বছরের হলেও শেষ হচ্ছে ছয় বছরে, স্নাতকোত্তর এক বছরে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হচ্ছে তিন বছরে। আর ডিগ্রী পাস কোর্স পরিণত হয়েছে শিক্ষিত বেকার তৈরির প্রোগ্রামে। তিন বছরের ডিগ্রী পাস কোর্স ছয় বছরে শেষ হওয়া যেন এখন নিয়ম। নানা উদ্যোগ নিয়ে হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট কিছুটা কমিয়ে আনলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রীতিমতো আতঙ্ক এখন শিক্ষার্থীদের জন্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানে ভর্তি বাণিজ্য কমলেও পরীক্ষা ঝুলে থাকা, ফল প্রকাশে দেরির ঘটনা কাটছে না। ফলে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাজীবন শেষ করতে না পারায় প্রতিবছর বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে পড়ছে দেশের লাখ লাখ সাধারণ পরিবারের সন্তান।
এদিকে মাসের পর অপেক্ষার পরেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় আন্দোলন শুরু করেছে সারাদেশের বিভিন্ন কলেজের ডিগ্রী (পাস), অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষার্থীরা। জানা গেছে, দিনে দিনে তৈরি হওয়া এই সঙ্কট থেকে শিক্ষার্থীদের বের করার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগের ঘোষণা দেয়া হলেও কোন সফলতা অর্জন করতে পারছে না দেশের প্রায় তিন হাজার কলেজ নিয়ে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে শিক্ষার্থী আছে প্রায় ১২ লাখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের অভিমত, নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস প্রণয়ন না করা ও শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে না পারা আর ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণে সেশনজট প্রকট আকার ধারণ করছে। কাজ বাদ দিয়ে অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তার ২৪ ঘণ্টা রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকাসহ নানা কারণে ক্লাস ও পরীক্ষা যথাসময়ে না নিতে পারা এই সঙ্কটের গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না হওয়ার অন্যতম কারণ কলেজগুলোতে কোন পরীক্ষার হল না থাকা। পরীক্ষার হল না থাকায় সব বর্ষের ক্লাস বন্ধ করে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। ফলে এই প্রতিষ্ঠানটিতে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। সঙ্কট উত্তরণে বিশেষজ্ঞরা অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রতিষ্ঠিত ৬ বিভাগীয় আঞ্চলিক কেন্দ্রকে সক্রিয় ও শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন। এর আগে ১৯৯২ সালে ৪৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে প্রায় তিন হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এখনও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মানেই মনে করা হয়- ভর্তি বাণিজ্য, ফল প্রকাশে দেরি, প্রশ্নপত্র ফাঁস, নানা অনিয়ম, শিক্ষকদের দুর্নীতি, ছাত্রছাত্রীদের হয়রানি, সেশনজট ইত্যাদি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সেশনজট। দুই দশকেও বিশ্ববিদ্যালয়টি তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে অর্জন করতে পারেনি। সেশনজট নিয়ে বছরের পর বছর ভুগছে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর আশ্রয়স্থল এই প্রতিষ্ঠান। যেখানে শিক্ষার্থী আছে প্রায় ১২ লাখ সেখানে চার বছর মেয়াদী স্নাতক কোর্সেই সেশন রয়েছে ছয়টি। এর মধ্যে ২০১১-১২, ২০১০-১১, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ, ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষ এবং ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ। দেখা গেছে, যে সেশনের ফাইনাল পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে সেই সেশনের শিক্ষার্থীরা অনার্সে ভর্তি হয়েছে ২০০৫ সালে। তাদের ২০০৮ সালে স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেশনজটের কারণে তা শেষ হচ্ছে এখন। স্নাতকোত্তরেও একই অবস্থা। এখানে বর্তমানে রয়েছে দু’টি সেশন। এখানে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতেই লাগে এক বছর। ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট পেতে আরও চলে যায় এক বছর। ডিগ্রী পাসকোর্সে রয়েছে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী।
সেশনজটের দিক দিয়ে এ কোর্সের অবস্থা ভয়াবহ। নতুন সেশনসহ বর্তমানে এখানে আছে পাঁচ সেশনের শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এক ব্যাচের প্রথম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই দুই বছরের সেশনজট, তারা তিন বছরের কোর্স শেষ করবে আরও চার বছর পর। অর্থাৎ তাদের ডিগ্রী পাসকোর্স শেষ করতে সময় লাগবে ছয় বছর। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের হিসাববিজ্ঞান অনার্সের ছাত্র পরিতোষ। হতাশার সূরে বলছিলেন, এখানে পড়া কত বড় অভিশাপ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এইচএসসির পর দীর্ঘ সময় চলে যাচ্ছে। পরীক্ষা হয় না ঠিকমতো। আবার পরীক্ষা হয় তো ফল প্রকাশ হয় না মাসের পর মাস চলে গেলেও। এই শিক্ষার্থীর এমন উক্তিই প্রমাণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দূরাবস্থার কথা। এমনই উক্তি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর। তাদের চোখেমুখেও বইছে হতাশার চিহ্ন। এক সময়ের সহপাঠীরা সরকারী বা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে চাকরিও করছে। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখনও স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীই শেষ করতে পারেনি। সেশনজটের কারণে বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। খুব কম সময়ই হাতে পাওয়া যাচ্ছে চাকরির প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব চিত্র দীর্ঘদিনের। অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে।
সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর এ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ভর্তি ও ক্লাস হতে সময় চলে যায় এক বছর। অর্থাৎ শুরুতেই এক বছর পিছিয়ে পড়ে এখানকার শিক্ষার্থীরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশ্নপত্র ছাপা হয় বিজি প্রেসে। কিন্তু পরীক্ষা গ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি থাকার পরও আনেক সময় পরীক্ষা নেয়া যায় না। বছরের শেষে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি পরীক্ষা, এসএসসি (নির্বাচনী পরীক্ষা), ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষা, এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষা, পিএসসির নানা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হয় বিজি প্রেসে। এক পরীক্ষার প্রশ্ন করতে সময় লাগে প্রায় দেড় মাস। সরকার প্রশ্ন ছাপার বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার চেয়ে ওই পাবলিক পরীক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এই সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি থাকলেও প্রশ্ন ছাপানো সম্ভব হয় না। এ কারণে পরীক্ষা নিতেও বিলম্ব হয়। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে পৃথক পরীক্ষার হল না থাকা শিক্ষা সঙ্কটের অন্যতম একটি কারণ বলে ধরা হয় সবসময়ই। পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি থাকলেও কেন্দ্র না পাওয়ার কারণে নেয়া সম্ভব হয় না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। এসব কলেজের অধিকাংশতেই আছে অনার্স ও মাস্টার্সের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। পৃথক পরীক্ষার হল না থাকায় যে কোন বর্ষ, এমনকি উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের যে কোন পরীক্ষা হলেও পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয় বাকি সকলের শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে নিয়মিত ছুটির বাইরেও এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয় ক্লাস থেকে। বর্তমানে যে শিক্ষার্থী রয়েছে তা সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। কিন্তু যেভাবে নতুন নতুন কলেজ অনুমোদন পাচ্ছে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে বাড়তি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া, খাতা মূল্যায়ন এবং ফল প্রকাশে জটিলতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ১২ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। আর প্রতিবছর শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ২ লাখ ১৭ হাজার। আর চলতি বছর ৭ লাখ ২১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়। আর এই উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী তিন-চতুর্থাংশ ভর্তি হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে ১৯৯২ সালে ৪৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এখন কলেজ প্রায় তিন হাজার। ঠিক এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিকে ছয়টি আঞ্চলিক কেন্দ্রে ভাগ করে দেয়ার কোন বিকল্প নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কেবল তাই নয়, বিশাল সংখ্যক কলেজ ও লাখ লাখ শিক্ষার্থীর বোঝা একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সামাল দেয়া অসম্ভব বলেই একে বিকেন্দ্রীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতিতেও। ইতোমধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে একে যেনতেনভাবে না করে এর কার্যক্রম শক্তিশালী ও কার্যকর করার দাবি সকলের।
তবে সময় যত যাচ্ছে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মাঝে। সেশনজটের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। চলতি মাসে দুইবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে ‘সেশনজট নিরসন ছাত্র পরিষদ’ নামে শিক্ষার্থীদের সংগঠন। ছাত্র পরিষদের সভাপতি খন্দকার রায়হান বলেছেন, সময়মতো ভর্তি, ক্লাস, পরীক্ষা না হওয়া, খাতা বিতরণ ও মূল্যায়নে বিলম্ব এবং সমন্বয়হীনতায় সেশনজট এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স শেষ করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের সরকারী চাকরির বয়স। কোন কোন কলেজে সময়মতো পাঠ শেষ করলেও নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। আর পরীক্ষা না হওয়ায় ফল প্রকাশ হচ্ছে না। সেশনজট নিরসনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি সেশনজট নিরসনে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে প্রধান সমস্যা সেশনজট হলেও কর্তৃপক্ষের মূল ব্যক্তিরা এ নিয়ে সব সময়ই গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন। যথারীতি কেউই এ নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তবে বহু বছরের এ সঙ্কট নিরসনে এবার বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান। সেশনজটের বিষয়টিকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের প্রধান বাধা হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শেষ হওয়ার পরে এখানে ভর্তি হয়। ফলে প্রায় এক বছর পরে ক্লাস শুরু হয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে সাধারণত এখানে আসে না। তাই শিক্ষার্থীরাও অপেক্ষা করে। তার পরেও এবার ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি আমরা। তিনি জানান, সেশনজটের আকেটি বড় কারণ অনার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর মাস্টার্সের ভর্তি। এর ফলে সময় নষ্ট হয় অনেক। এবার একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়েছি। যার ফলে অনার্স পরীক্ষার পরই সকলকে মাস্টার্সে ভর্তি করা হবে। তবে ভর্তি হলেও যারা অনার্সে ফেল করবে তাদের ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। এই প্রক্রিয়ার ফলে অন্তত ৭ থেকে ৮ মাস সেশনজট কমে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

No comments

Powered by Blogger.