অভয়নগরে ভিজিএফের চাল তীব্র দুর্গন্ধ ও পোকায় ভরা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার দুস্থ, গরিব ও অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে ভিজিএফের (ভারনারবেল গ্রুপ ফিডিং) চাল বিতরণ কার্যক্রম গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে। চালপ্রাপ্তরা অভিযোগ করেছেন, বিতরণ করা চাল অত্যন্ত নিম্নমানের, তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত ও পোকায় ভরা।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রমজান ও ঈদ সামনে রেখে উপজেলায় এবার ২৩ হাজার ২৭৪টি দুস্থ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী ২৩২ মেট্রিক টন ৪৫০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গতকাল উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ১, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক হাজার ৫৪০টি দুস্থ পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়। আজও কয়েকটি ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হবে। চাল পাওয়া ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন, এই চাল অসংখ্য কালো পোকায় ভরা, দুর্গন্ধযুক্ত, পাথরকুচি ও ময়লায় পরিপূর্ণ। নওয়াপাড়া গ্রামের রাবেয়া বেগম (৫৬) বলেন, ‘চালে কালো পোকা কিলবিল করছে। পোকায় বাসা বেঁধে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। এই চাল খেয়ে কীভাবে রোজা থাকব বুঝতে পারছি না।’ মশরহাটী গ্রামের শেফালী বেগম (৩৫) বলেন, ‘চালের মধ্যে অসংখ্য ঝিল (পাথরকুচি) ও ময়লা আছে। রোজা ছাড়ার পর এই চালের ভাত খেলে নির্ঘাত ডায়রিয়া হবে।’ জাফরপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী (৬০) বলেন, ‘চাল বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু খেতে পারব কি না জানি না। এই চাল মানুষের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়।’ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল হামিদ বলেন, ‘এই চাল অত্যন্ত নিম্নমানের। মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয়। কেবল মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।’
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, দুস্থদের দুই ধরনের চাল দেওয়া হচ্ছে। এক প্রকার চাল এক বছর আগে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। অবশিষ্ট চাল দুই বছর আগে সরকারিভাবে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়। সমপ্রতি আমদানি করা ওই চাল খুলনা গুদাম থেকে নওয়াপাড়া খাদ্যগুদামে আনা হয়। উভয় প্রকার চালেই পোকা মারার ওষুধ দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, ওষুধে পোকা মরেনি। দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। শুভরাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্সী শাহাজাহান আলী বলেন, ‘বুধবার (আগামীকাল) আমি চাল বিতরণ করব। সে জন্য চাল তুলেছি। কিন্তু বস্তা খুলে দেখিনি। তবে বস্তা ওঠানো-নামানো করতে গিয়ে মাটিতে যে চাল পড়েছে, তা মুরগিরও খাওয়ার উপযোগী নয়।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘চালের মান ভালো ছিল। দুই বছর আগে সরকারিভাবে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা চাল আছে। বছর খানেক আগে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা চালও আছে। নির্দেশনা অনুযায়ী পুরোনো চাল আগে দেওয়া হচ্ছে। তাই এ বছর সংগৃহীত চাল দেওয়া হচ্ছে না।’
গতকাল উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ১, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক হাজার ৫৪০টি দুস্থ পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়। আজও কয়েকটি ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হবে। চাল পাওয়া ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন, এই চাল অসংখ্য কালো পোকায় ভরা, দুর্গন্ধযুক্ত, পাথরকুচি ও ময়লায় পরিপূর্ণ। নওয়াপাড়া গ্রামের রাবেয়া বেগম (৫৬) বলেন, ‘চালে কালো পোকা কিলবিল করছে। পোকায় বাসা বেঁধে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। এই চাল খেয়ে কীভাবে রোজা থাকব বুঝতে পারছি না।’ মশরহাটী গ্রামের শেফালী বেগম (৩৫) বলেন, ‘চালের মধ্যে অসংখ্য ঝিল (পাথরকুচি) ও ময়লা আছে। রোজা ছাড়ার পর এই চালের ভাত খেলে নির্ঘাত ডায়রিয়া হবে।’ জাফরপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী (৬০) বলেন, ‘চাল বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু খেতে পারব কি না জানি না। এই চাল মানুষের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়।’ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল হামিদ বলেন, ‘এই চাল অত্যন্ত নিম্নমানের। মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয়। কেবল মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।’
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, দুস্থদের দুই ধরনের চাল দেওয়া হচ্ছে। এক প্রকার চাল এক বছর আগে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। অবশিষ্ট চাল দুই বছর আগে সরকারিভাবে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়। সমপ্রতি আমদানি করা ওই চাল খুলনা গুদাম থেকে নওয়াপাড়া খাদ্যগুদামে আনা হয়। উভয় প্রকার চালেই পোকা মারার ওষুধ দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, ওষুধে পোকা মরেনি। দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। শুভরাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্সী শাহাজাহান আলী বলেন, ‘বুধবার (আগামীকাল) আমি চাল বিতরণ করব। সে জন্য চাল তুলেছি। কিন্তু বস্তা খুলে দেখিনি। তবে বস্তা ওঠানো-নামানো করতে গিয়ে মাটিতে যে চাল পড়েছে, তা মুরগিরও খাওয়ার উপযোগী নয়।’
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘চালের মান ভালো ছিল। দুই বছর আগে সরকারিভাবে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা চাল আছে। বছর খানেক আগে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা চালও আছে। নির্দেশনা অনুযায়ী পুরোনো চাল আগে দেওয়া হচ্ছে। তাই এ বছর সংগৃহীত চাল দেওয়া হচ্ছে না।’
No comments