রাতভর অপেক্ষার পর সোনার হরিণ প্রাপ্তি, প্রাণ খুলে হাসি- ঘরে ফেরা- কাল শুরু লঞ্চের অগ্রিম টিকেট বিক্রি
সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো অগ্রিম টিকেট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। এ দিনও কমলাপুর রেলস্টেশনে নানা অভিযোগ ছিল টিকেট প্রত্যাশীদের। রাতভর কষ্ট করে যাঁরা টিকেট হাতে পেয়েছেন তাঁদের কাছে মনে হয়েছে অনেকটা সোনার হরিণের মতো। প্রাণ খুলে হেসেছেন তাঁরা। আবার কেউ কেউ বাড়ি ফিরেছেন শূন্য হাতে।
এদিকে রেলওয়ের অগ্রিম টিকেট কোনভাবেই কালোবাজারি হচ্ছে না বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি ঢাকা সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রেলস্টেশনে টিকেট কালোবাজারির আশঙ্কায় সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। টিকেট ছাড়ার আগেই বিভিন্ন রেলস্টেশনের অধিকাংশ স্টাফ বদলি করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে দেয়া হবে লঞ্চের অগ্রিম টিকেট।
সামনে ঈদ। নারির টানে ফিরতে হবে বাড়ি। তাই টিকেট চাই-ই-চাই। একটু আগেভাগে গেলে টিকেট মিলবে। এমন আশায় কমলাপুর রেলস্টেশনে রবিবার দুপুরের পর পরই আসেন সোমবারের টিকেট সংগ্রহে। টিকেট কখন পাবেন তা অনিশ্চিত। তাই ইফতারসহ সেহরির নিয়ে লাইনে দাঁড়ান অনেকে। মহিলাদের জন্য ছিল পৃথক লাইন।
১৫ আগস্টের চট্টগ্রাম মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেসের টিকেট নিতে রবিবার বিকেলে লাইনে দাঁড়ান গে-ারিয়ার আসিফা রহমান। ছোট্ট শিশুকে নিয়ে পত্রিকা বিছিয়ে প্লাট ফরমে রাত কাটিয়েছেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিতে হাতে পান বহু কাক্সিক্ষত টিকেট। পরিবারের চার সদস্যের জন্যই টিকেট সংগ্রহ করতে পেরে প্রশান্তির হাসি হাসেন তিনি। বললেন, সব কষ্ট এখন সার্থক। মালিবাগ থেকে আসা ৬০ বছর বয়স্ক মিরাজ রহমান বললেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ করতে হবে। তাই রবিবার সন্ধ্যায় লাইনে দাঁড়ান তিনি। সোমবার ১২টার দিকে টিকেট পান। যাত্রা নিশ্চিত হওয়ায় প্রচ- খুশি তিনি। আর টিকেট না পেয়ে কাজীপাড়ার দিদার মিয়ার যেন কষ্টের শেষ ছিল না। তিনি জানান, উপবন এক্সপ্রেসের টিকেট নিতে এসেছিলেন। কাউন্টার থেকে টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এখন কিভাবে বাড়ি যাবেন তিনি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
রবিবার থেকে সোমবার দিনভর কমলাপুর রেলস্টেশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেলেও অনেকেই টিকেট পাননি। কেউ কেউ টিকেট কালোবাজারিদের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ করেন।
রেলওয়ের সংবাদ সম্মেলন
রবিবার থেকে রেল কর্তৃপক্ষ আসন্ন ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করে। সোমবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে টিকেট কালোবাজারির খবর প্রকাশিত হয়। তাই সোমবার তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এবারের ঈদে অগ্রিম টিকেটে কোনরকম কালোবাজারি হচ্ছে না বলে দাবি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকেট কালোবাজারি হচ্ছে বলে পত্রিকায় যেসব খবর এসেছে তা ভিত্তিহীন বলেও দাবি করা হয়েছে।
রেলভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ঈদের টিকেট বিক্রিতে রবিবার ও সোমবার পর্যন্ত কোন কালোবাজারি হয়নি। দু’একটি গণমাধ্যমে ভুল তথ্য এসেছে।
তিনি বলেন, টিকেট বিক্রিতে কালোবাজারি ও কোন সিন্ডিকেট কাজ করছে কি-না এ বিষয়টি র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখভাল করছে। কালোবাজারি করে টিকিট বিক্রি হচ্ছে কি-না তা রেল কর্তৃপক্ষও কঠোরভাবে দেখছে। নানা দিক থেকে তা মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা চাই যাত্রীদের টিকেট সরাসরি কাউন্টার থেকে যাত্রীদের হাতে যাক। এজন্য সবাই মিলে কাজ করছি।
এসময় সাংবাদিকরা রবিবার বেলা ১১টায় টিকিটের আসন শেষ হয়ে গেছে যাত্রীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেলের মহাপরিচালক আবু তাহেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। কারণ আমাদের সীমিত আসন। চাহিদার তুলনায় আসন স্বল্প। একারণে সবাই হয়ত টিকেট পাননি। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সামনে ঈদ। নারির টানে ফিরতে হবে বাড়ি। তাই টিকেট চাই-ই-চাই। একটু আগেভাগে গেলে টিকেট মিলবে। এমন আশায় কমলাপুর রেলস্টেশনে রবিবার দুপুরের পর পরই আসেন সোমবারের টিকেট সংগ্রহে। টিকেট কখন পাবেন তা অনিশ্চিত। তাই ইফতারসহ সেহরির নিয়ে লাইনে দাঁড়ান অনেকে। মহিলাদের জন্য ছিল পৃথক লাইন।
১৫ আগস্টের চট্টগ্রাম মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেসের টিকেট নিতে রবিবার বিকেলে লাইনে দাঁড়ান গে-ারিয়ার আসিফা রহমান। ছোট্ট শিশুকে নিয়ে পত্রিকা বিছিয়ে প্লাট ফরমে রাত কাটিয়েছেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিতে হাতে পান বহু কাক্সিক্ষত টিকেট। পরিবারের চার সদস্যের জন্যই টিকেট সংগ্রহ করতে পেরে প্রশান্তির হাসি হাসেন তিনি। বললেন, সব কষ্ট এখন সার্থক। মালিবাগ থেকে আসা ৬০ বছর বয়স্ক মিরাজ রহমান বললেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ করতে হবে। তাই রবিবার সন্ধ্যায় লাইনে দাঁড়ান তিনি। সোমবার ১২টার দিকে টিকেট পান। যাত্রা নিশ্চিত হওয়ায় প্রচ- খুশি তিনি। আর টিকেট না পেয়ে কাজীপাড়ার দিদার মিয়ার যেন কষ্টের শেষ ছিল না। তিনি জানান, উপবন এক্সপ্রেসের টিকেট নিতে এসেছিলেন। কাউন্টার থেকে টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এখন কিভাবে বাড়ি যাবেন তিনি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
রবিবার থেকে সোমবার দিনভর কমলাপুর রেলস্টেশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেলেও অনেকেই টিকেট পাননি। কেউ কেউ টিকেট কালোবাজারিদের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ করেন।
রেলওয়ের সংবাদ সম্মেলন
রবিবার থেকে রেল কর্তৃপক্ষ আসন্ন ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করে। সোমবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে টিকেট কালোবাজারির খবর প্রকাশিত হয়। তাই সোমবার তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এবারের ঈদে অগ্রিম টিকেটে কোনরকম কালোবাজারি হচ্ছে না বলে দাবি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকেট কালোবাজারি হচ্ছে বলে পত্রিকায় যেসব খবর এসেছে তা ভিত্তিহীন বলেও দাবি করা হয়েছে।
রেলভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ঈদের টিকেট বিক্রিতে রবিবার ও সোমবার পর্যন্ত কোন কালোবাজারি হয়নি। দু’একটি গণমাধ্যমে ভুল তথ্য এসেছে।
তিনি বলেন, টিকেট বিক্রিতে কালোবাজারি ও কোন সিন্ডিকেট কাজ করছে কি-না এ বিষয়টি র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখভাল করছে। কালোবাজারি করে টিকিট বিক্রি হচ্ছে কি-না তা রেল কর্তৃপক্ষও কঠোরভাবে দেখছে। নানা দিক থেকে তা মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা চাই যাত্রীদের টিকেট সরাসরি কাউন্টার থেকে যাত্রীদের হাতে যাক। এজন্য সবাই মিলে কাজ করছি।
এসময় সাংবাদিকরা রবিবার বেলা ১১টায় টিকিটের আসন শেষ হয়ে গেছে যাত্রীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেলের মহাপরিচালক আবু তাহেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। কারণ আমাদের সীমিত আসন। চাহিদার তুলনায় আসন স্বল্প। একারণে সবাই হয়ত টিকেট পাননি। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
No comments