আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিক্রি চুক্তি- মতপার্থক্য দূর করার আহ্বান মুনের
এক মাস ধরে আলোচনার পর শেষ পর্যায়ে এসে প্রথম আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণ চুক্তির খসড়া নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সময় শেষ হওয়ার আগেই এ বিষয়ে মতানৈক্য দূর করার জন্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলা এই আলোচনা স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা।
বছরে বিশ্বব্যাপী সাত হাজার কোটি ডলারের প্রচলিত অস্ত্র কেনাবেচা হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি নেই। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি করার লক্ষ্যে ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা ৩০ দিন ধরে নিউইয়র্কে আলোচনা করছেন।
খসড়া চুক্তির কিছু বিষয়ে বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশগুলো আপত্তি তোলায় গত বৃহস্পতিবার সমঝোতার আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। সেদিন তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আলোচনায় খুব কম অগ্রগতি হয়েছে।’ তবে যুক্তরাজ্যের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘একটি ঐতিহাসিক চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছি আমরা।’
অভিন্ন নীতিমালার ভিত্তিতে অস্ত্র বিক্রিসংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয়ে গত ছয় বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অক্সফামসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। জোটভুক্ত হয়ে এসব সংস্থার দীর্ঘ প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতেই অস্ত্র চুক্তিসংক্রান্ত এই আলোচনা শুরু হয়।
গত মঙ্গলবার প্রথম খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর বিষয়বস্তুর ‘অসারতা’ নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে। এর পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্বিতীয় খসড়া আগেরটির চেয়ে ভালো বলে মত দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অস্ত্র বিক্রয়কারী প্রতিটি দেশকে নিশ্চিত হতে হবে ওই অস্ত্র মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রাখতে বা সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করা হবে কি না।
অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হলে চুক্তিটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করা হবে। এরপর প্রত্যেক দেশ পৃথকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে তারা চুক্তিটি অনুসমর্থন করবে কি না। চুক্তিটি বাধ্যবাধকতামূলক আইনে পরিণত করতে ৬৫টি দেশের সম্মতির প্রয়োজন হবে।
অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। আন্তর্জাতিক এ প্রস্তাবিত চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। বিবিসি, এএফপি।
বছরে বিশ্বব্যাপী সাত হাজার কোটি ডলারের প্রচলিত অস্ত্র কেনাবেচা হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি নেই। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি করার লক্ষ্যে ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা ৩০ দিন ধরে নিউইয়র্কে আলোচনা করছেন।
খসড়া চুক্তির কিছু বিষয়ে বৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশগুলো আপত্তি তোলায় গত বৃহস্পতিবার সমঝোতার আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। সেদিন তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আলোচনায় খুব কম অগ্রগতি হয়েছে।’ তবে যুক্তরাজ্যের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘একটি ঐতিহাসিক চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছি আমরা।’
অভিন্ন নীতিমালার ভিত্তিতে অস্ত্র বিক্রিসংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয়ে গত ছয় বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অক্সফামসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। জোটভুক্ত হয়ে এসব সংস্থার দীর্ঘ প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতেই অস্ত্র চুক্তিসংক্রান্ত এই আলোচনা শুরু হয়।
গত মঙ্গলবার প্রথম খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর বিষয়বস্তুর ‘অসারতা’ নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে। এর পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্বিতীয় খসড়া আগেরটির চেয়ে ভালো বলে মত দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অস্ত্র বিক্রয়কারী প্রতিটি দেশকে নিশ্চিত হতে হবে ওই অস্ত্র মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রাখতে বা সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করা হবে কি না।
অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হলে চুক্তিটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করা হবে। এরপর প্রত্যেক দেশ পৃথকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে তারা চুক্তিটি অনুসমর্থন করবে কি না। চুক্তিটি বাধ্যবাধকতামূলক আইনে পরিণত করতে ৬৫টি দেশের সম্মতির প্রয়োজন হবে।
অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। আন্তর্জাতিক এ প্রস্তাবিত চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। বিবিসি, এএফপি।
No comments