জন্মনিরোধ ওষুধ ও দাঁতের চিকিৎসা

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বা অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য জন্মনিরোধক ওষুধ সেবন একটি অন্যতম পদ্ধতি। কিন্তু এই জন্মনিরোধ পিলের সঙ্গে দাঁতের চিকিৎসার কি সম্পর্ক? যারা নিয়মিত জন্মনিরোধক বড়ি সেবন করে যাচ্ছেন তাদের দাঁতের যতেœ সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যারা মাড়ি রোগ বা জিনজিভাইটিসে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে


রোগটি আরও প্রবল হয়ে দেখা দেয়। ক্রমাগত জন্মনিরোধক ওষুধ সেবন করতে থাকলে তীব্র পেরিওডন্টাইটিস দেখা দিতে পারে। দাঁত তোলার পর ড্রাই সকেট বা অ্যালভিওলার অস্টাইটিস দেখা যেতে পারে। যারা নিয়মিত জন্মনিরোধক ওষুধ সেবন করে যাচ্ছেন তাদের দাঁতের পাথর থাকলে অবশ্যই দ্রুত স্কেলিং করিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া মাড়িতে বা পেরিওডন্টাল লিগামেন্ট কোন সমস্যা দেখা দিলে ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন। মোটকথা নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপে থাকুন।
জন্মনিরোধক ওষুধ ও দাঁত তোলা: মহিলাদের মাঝে যারা জন্মনিরোধক বড়ি সেবন করছেন তারা যদি মাসিকের প্রথম ২২ দিনের মধ্যে দাঁত ফেলেন সেক্ষেত্রে ড্রাই সকেট বা অ্যালডিওলার অস্টাইটিস হওয়ার দ্বিগুণ সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে মাসিকের শেষ সপ্তাহে, অর্থাৎ ২৩ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে দাঁত তোলা ভাল। কারণ এ সময় ইস্ট্রোজেন লেভেল কম থাকে অথবা কার্যকর থাকে না। ইস্ট্রোজেন প্রণোদনা দেয় ফিব্রিনোলাইসিসের ক্ষেত্রে। ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ইস্ট্রোজেন ক্ষতস্থান শুকানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই যারা নিয়মিত জন্মনিরোধক ওষুধ সেবন করছেন তাদের দাঁত তোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
লিভারের বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে দিয়ে ওষুধ জন্মনিরোধক পিলের সঙ্গে ইন্টারএ্যাকশন করে থাকে। এ ইন্টারএ্যাকশনের কারণে জন্মনিরোধক পিলের কাজ ব্যাহত হয়। এর ফলে গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
যে সব ওষুধ জন্মনিরোধক ওষুধের সঙ্গে ইন্টারএ্যাকশন করে থাকে সেগুলো হলো: (ক) এন্টিকনভালসেন্ট জাতীয় ওষুধ (খ) বারবিচুরেটস্্ (গ) ফিনাইটয়েন (ঘ) কার্বামাজেপেইন (ঙ) রিফ্যামপিছিন (চ) ওরাল এান্টিবায়োটিকস এবং এন্টিমাইক্রোবায়ালস যেমনÑ এ্যামক্সিসিলিন, টেট্রাসাইক্লিন, পেনিসিলিন, মেট্রোনিডাজল। জন্মনিরোধক ওষুধ সেবনকারী মহিলাদের মাঝে যারা এ্যামক্সিসিলিন অথবা অন্যান্য পেনিসিলিন বা টেট্রাসাইক্লিন দাঁত ও মুখের চিকিৎসায় সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে জন্মবিরোধক ওষুধ অতিরিক্ত ৭ দিনের জন্য গ্রহণ করতে হবে। আর যদি রিফ্যামপিছিন সেবন করেন সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৪ সপ্তাহ জন্মনিরোধক ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে।

শক্ত মাসল শক্ত ব্রেন
সপ্তাহে দু’ বা তিন দিন ভারোত্তলন শুধু আপনার মাংসপেশীকে শক্ত করে না, আপনার ব্রেনের গ্রে সেলকেও শক্ত করে। বিজ্ঞানীরা বছরব্যাপী মহিলাদের ওপর গবেষণা করে তো সেই ফলই পাচ্ছে। ফলটি প্রকাশ করেছে আর্কাইভ অব ইন্টারনাল মেডিসিন।
৬৫ থেকে ৭৫ বছর বয়স্ক মহিলাদের ৩ ভাগে ভাগ করা হয়।
এক ভাগে সপ্তাহে একবার ভারোত্তলন প্র্যাকটিস করানো হলো।
দ্বিতীয় গ্রুপে সপ্তাহে ২ দিন ভারোত্তলন করা হলো।
এবং তৃতীয় গ্রুপে ব্যালান্স ও টোনিং ব্যায়াম করানো হলো।
দেখা গেল, যারা সপ্তাহে ১ বার ভারোত্তলন করছে তারা দ্বন্দ্ব উত্তরণে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং মনোনিবেশের ক্ষেত্রে অভিনব উন্নতি করেছে।
সুতরাং মাংসপেশীর সাথে ব্রেনেরও শক্তি বাড়ান।

No comments

Powered by Blogger.