বার কাউন্সিল আমলে নিতে পারে- আসামিদের পক্ষে ১৫ হাজার সাক্ষী!
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতার পক্ষে ১৫ হাজার সাক্ষী বাংলাদেশ কেবল নয়, বিশ্বের যেকোনো বিচার প্রক্রিয়ার ইতিহাসে একটি অদ্ভুত ও অশ্রুতপূর্ব ঘটনা।প্রচলিত আইনে সাক্ষীর সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই।
কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে অস্বাভাবিক দিকে নিয়ে যাওয়ার অধিকার কারও নেই। আইনজীবীরা আদালতের কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য হন। তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হতে পারেন। কিন্তু তিনি যখন কালো গাউন পরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন, তখন তাঁকে অবশ্যই পেশাগত আচরণবিধি মানতে হবে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যাক্টে আইনজীবীদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাঁরা বিদ্যমান আইন ও রেওয়াজের বিষয়ে এমন কোনো ব্যাখ্যা বা উপস্থাপনা আদালতে পেশ করবেন না, যাতে বিচার বিঘ্নিত হয়। জনগণের সামনে বিচার প্রক্রিয়া হেয়প্রতিপন্ন না হয়।
এ বিষয়ে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সাক্ষীর সংখ্যা বিষয়ে আইন নীরব। কিন্তু দেশ ও সমাজের প্রয়োজনে আইন তৈরি বা সংশোধিত হতে পারে। দরকার হলে সাক্ষীর সংখ্যা অনধিক ৫০ কিংবা ১০০ বেঁধে দিয়ে শর্ত দিতে হবে যে আদালত অন্যরূপ আদেশ দিলে এ সংখ্যা বাড়তে পারে।’
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনালে ১৫ হাজার সাক্ষী উপস্থাপনের বিষয়টি হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেছেন, এটা দ্রুত বিচারে বাধা তৈরি করার অপচেষ্টা। সত্যিই যদি বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের আচরণ বিচারকে বাধাগ্রস্ত করে তার আইনি প্রতিকার প্রত্যাশিত।
অভিযুক্ত ব্যক্তি দায় থেকে মুক্তি পেতে যেকোনো ধরনের কৌশল নিতে পারেন। কিন্তু আইনজীবীর পেশাগত কর্তব্য হলো, আইনের সীমার মধ্যে থেকে তাঁর মক্কেলকে আইনি প্রতিকার দিতে সচেষ্ট থাকা।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনীগুলোর ঊর্ধ্বতন নেতা হিসেবে এসব বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সব অপরাধের দায় (কমান্ডিং রেসপনসিবিলিটি) আসামিদের ওপর বর্তায় বলে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছে। তাই সেই অভিযোগ খণ্ডাতে সাক্ষীর সংখ্যা বিপুল করতে হয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ক্ষেত্রে ‘কমান্ডিং রেসপনসিবিলিটি’ নেই। তাই তাঁর মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা মাত্র ৪৮। এই যুক্তি অন্যান্য দেশের বিচারিক রেওয়াজের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বিষয়টি অবশ্য সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করতে সক্ষম। তদুপরি আমরা মনে করি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ীই বিষয়টি সুরাহা হওয়া দরকার। এক আসামির ১০ হাজার সাক্ষী দেওয়ার মতো বিষয় বার কাউন্সিল সুয়োমোটো কিংবা কারও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খতিয়ে দেখতে পারে। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের দুয়ার খোলা আছে। আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণ বলেই প্রতীয়মান হয়, যার সত্যাসত্য এ-বিষয়ক শুনানিকালে যাচাই হতে পারে।
এ বিষয়ে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সাক্ষীর সংখ্যা বিষয়ে আইন নীরব। কিন্তু দেশ ও সমাজের প্রয়োজনে আইন তৈরি বা সংশোধিত হতে পারে। দরকার হলে সাক্ষীর সংখ্যা অনধিক ৫০ কিংবা ১০০ বেঁধে দিয়ে শর্ত দিতে হবে যে আদালত অন্যরূপ আদেশ দিলে এ সংখ্যা বাড়তে পারে।’
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনালে ১৫ হাজার সাক্ষী উপস্থাপনের বিষয়টি হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেছেন, এটা দ্রুত বিচারে বাধা তৈরি করার অপচেষ্টা। সত্যিই যদি বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের আচরণ বিচারকে বাধাগ্রস্ত করে তার আইনি প্রতিকার প্রত্যাশিত।
অভিযুক্ত ব্যক্তি দায় থেকে মুক্তি পেতে যেকোনো ধরনের কৌশল নিতে পারেন। কিন্তু আইনজীবীর পেশাগত কর্তব্য হলো, আইনের সীমার মধ্যে থেকে তাঁর মক্কেলকে আইনি প্রতিকার দিতে সচেষ্ট থাকা।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনীগুলোর ঊর্ধ্বতন নেতা হিসেবে এসব বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সব অপরাধের দায় (কমান্ডিং রেসপনসিবিলিটি) আসামিদের ওপর বর্তায় বলে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছে। তাই সেই অভিযোগ খণ্ডাতে সাক্ষীর সংখ্যা বিপুল করতে হয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ক্ষেত্রে ‘কমান্ডিং রেসপনসিবিলিটি’ নেই। তাই তাঁর মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা মাত্র ৪৮। এই যুক্তি অন্যান্য দেশের বিচারিক রেওয়াজের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বিষয়টি অবশ্য সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করতে সক্ষম। তদুপরি আমরা মনে করি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ীই বিষয়টি সুরাহা হওয়া দরকার। এক আসামির ১০ হাজার সাক্ষী দেওয়ার মতো বিষয় বার কাউন্সিল সুয়োমোটো কিংবা কারও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খতিয়ে দেখতে পারে। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের দুয়ার খোলা আছে। আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণ বলেই প্রতীয়মান হয়, যার সত্যাসত্য এ-বিষয়ক শুনানিকালে যাচাই হতে পারে।
No comments