বইয়ের পোকা
বীণার বয়স একুশ।সে লালমাটিয়া কলেজে বিএ সেকেন্ড ইয়ারে পড়ত। বীণার মামা ইদরিশ সাহেব একদিন হঠাৎ বললেন, বীণা, তোর কলেজে যাবার দরকার নেই। বাসায় থেকে পড়াশোনা কর। পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিলেই হবে। কলেজে আজকাল কী পড়াশোনা হয়, তা তো জানাই আছে। যাওয়া না-যাওয়া একই।
বীণা ঘাড় নেড়ে ক্ষীণ স্বরে বলল, জি আচ্ছা।
মামার কথার উপর কথা বলার সাহস বীণার নেই। তার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ মামা দেন। গত বছর গলার একটা চেন বানিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া তার বিয়ের কথা হচ্ছে। বিয়ে যদি ঠিকঠাক হয়, সেই খরচও মামাকেই দিতে হবে। বীণার বাবা প্যারালাইসিস হয়ে দেশের বাড়িতে পড়ে আছেন। তাঁর পক্ষে একটা টাকাও খরচ করা সম্ভব না। তিনি সবার কাছ থেকে টাকা নেন। কাউকে কিছু দেন না।
ইদরিশ সাহেব বললেন, বীণা, তুই আমাকে এক গ্লাস শরবত বানিয়ে দে। আর শোন, কলেজে না-যাওয়া নিয়ে মনটন খারাপ করিস না। মন খারাপের কিছু নাই।
‘জি আচ্ছা, মামা।’
বীণা শরবত আনতে চলে গেল। তার মনটা অসম্ভব খারাপ।
একটি গল্পের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে গল্পটি ও এর লেখকের নাম কী?
মামার কথার উপর কথা বলার সাহস বীণার নেই। তার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ মামা দেন। গত বছর গলার একটা চেন বানিয়ে দিয়েছেন। তা ছাড়া তার বিয়ের কথা হচ্ছে। বিয়ে যদি ঠিকঠাক হয়, সেই খরচও মামাকেই দিতে হবে। বীণার বাবা প্যারালাইসিস হয়ে দেশের বাড়িতে পড়ে আছেন। তাঁর পক্ষে একটা টাকাও খরচ করা সম্ভব না। তিনি সবার কাছ থেকে টাকা নেন। কাউকে কিছু দেন না।
ইদরিশ সাহেব বললেন, বীণা, তুই আমাকে এক গ্লাস শরবত বানিয়ে দে। আর শোন, কলেজে না-যাওয়া নিয়ে মনটন খারাপ করিস না। মন খারাপের কিছু নাই।
‘জি আচ্ছা, মামা।’
বীণা শরবত আনতে চলে গেল। তার মনটা অসম্ভব খারাপ।
একটি গল্পের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে গল্পটি ও এর লেখকের নাম কী?
No comments