সাইবার হামলা এড়াতে অফলাইনে যাচ্ছে ইরান
বিশ্বময় ছড়ানো ইন্টারনেট থেকে সামনের মাসে 'ছুটি নিচ্ছে' ইরান। মূলত স্টাক্সনেট ও ফ্লেইম ভাইরাসের মতো সাইবার হামলা এড়াতেই অফলাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রেজা তাঘিপোর গত রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ওয়েবে স্পর্শকাতর গোয়েন্দা তথ্য রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে
বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষত যখন ওয়েব নিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলোই ইরানের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন নয়। ধারণা করা হয়, স্টাক্সনেট ও ফ্লেইম_এ দুটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ চেষ্টায় তৈরি।
তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তাঘিপোর বলেন, 'জাতীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করবে, যেখানে ওই সব শক্তি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যের নাগাল পাবে না।' তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে ছড়ানো ইন্টারনেটের পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রথম অংশ হিসেবে এ ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
অনেক দিন থেকেই অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা বলছে ইরান। সম্প্রতি স্টাক্সনেট ও ফ্লেইম সাইবার হামলা চালানোর পর চূড়ান্তভাবে অফলাইনে যাওয়ার ঘোষণা দিল ইরান। স্টাক্সনেটের অস্তিত্বের কথা প্রথম জানা যায় ২০১০ সালে। ইরানের ইউরেনিয়াম প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি করে এ কম্পিউটার ওয়ার্ম। শান্তিপূর্ণভাবে জ্বালানি উৎপাদনের জন্য এ প্রকল্প চালানো হচ্ছে বলে ইরান দাবি করলেও পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করছে ইরান।
ফ্লেইমের কথা জানা যায় এ বছরই। আগের তুলনায় এ ভাইরাস আরো বেশি স্পর্শকাতর। ধারণা করা হয়, ইরানের তেল মন্ত্রণালয় এবং প্রধান রপ্তানি টার্মিনালকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে এর।
চেক প্রজাতন্ত্রে অবস্থানকারী ইরানের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিমা রাশেদান বলেন, 'অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক খুব একটা কার্যকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আমার জানামতে, সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইরান পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর অন্যতম। সরকারের অকার্যকারিতায় আমি মনে করি না তারা যথাযথভাবে এর বাস্তবায়ন করতে পারবে।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তাঘিপোর বলেন, 'জাতীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করবে, যেখানে ওই সব শক্তি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যের নাগাল পাবে না।' তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে ছড়ানো ইন্টারনেটের পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রথম অংশ হিসেবে এ ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
অনেক দিন থেকেই অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা বলছে ইরান। সম্প্রতি স্টাক্সনেট ও ফ্লেইম সাইবার হামলা চালানোর পর চূড়ান্তভাবে অফলাইনে যাওয়ার ঘোষণা দিল ইরান। স্টাক্সনেটের অস্তিত্বের কথা প্রথম জানা যায় ২০১০ সালে। ইরানের ইউরেনিয়াম প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি করে এ কম্পিউটার ওয়ার্ম। শান্তিপূর্ণভাবে জ্বালানি উৎপাদনের জন্য এ প্রকল্প চালানো হচ্ছে বলে ইরান দাবি করলেও পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করছে ইরান।
ফ্লেইমের কথা জানা যায় এ বছরই। আগের তুলনায় এ ভাইরাস আরো বেশি স্পর্শকাতর। ধারণা করা হয়, ইরানের তেল মন্ত্রণালয় এবং প্রধান রপ্তানি টার্মিনালকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে এর।
চেক প্রজাতন্ত্রে অবস্থানকারী ইরানের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিমা রাশেদান বলেন, 'অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক খুব একটা কার্যকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আমার জানামতে, সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইরান পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর অন্যতম। সরকারের অকার্যকারিতায় আমি মনে করি না তারা যথাযথভাবে এর বাস্তবায়ন করতে পারবে।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments