মুঠোফোন সরবরাহকারীকে চিহ্নিত করুন- কারাগারে থেকে খুনের নির্দেশ
এ দেশে যখন সবই সম্ভব, তখন কারাগারে বসে খুনের নির্দেশ এবং তা বাস্তবায়ন করা যাবে না কেন! গত শনিবার দুপুরে কাফরুলে ঝুট ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামকে খুনের নির্দেশ কারাগার থেকেই এসেছে বলে পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে। খুনের নির্দেশদাতা ‘কিলার আব্বাস’ হিসেবে পরিচিত এক শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার সঙ্গে কারাগারের বাইরে থাকা
সন্ত্রাসীদের কথোপকথনের খবর এবং র্যাব সূত্রে এর সত্যতা নিশ্চিত করার পর দেশের কারা-পরিস্থিতি কী অবস্থায় আছে, তার একটি চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।
কারাগার এখন অপরাধীদের জন্য এতটাই ‘নিরাপদ’ আশ্রয় যে সেখান থেকেই শীর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে তার সহযোগীদের ব্যবহার করে। যোগাযোগের মাধ্যম হলো মুঠোফোন। ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের কাছে চাঁদা চেয়েছিল তার সহযোগীরা। চাঁদা না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। দুপুরে খুনের ঘটনার পর সন্ধ্যায় কারাগার থেকে কথাও বলেছে কিলার আব্বাস। এসব আলাপের রেকর্ড র্যাবের হাতে রয়েছে। কারাগারে বসে মুঠোফোন ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া যায় কীভাবে? র্যাবের তদন্ত বলছে, কাশিমপুর কারাগারের একজন কারারক্ষী এ কাজ করেছেন।
কাশিমপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জানিয়েছেন, সেখানে মুঠোফোন জ্যাম করার যন্ত্র রয়েছে। তাই কারাগার থেকে ফোন করা ‘প্রায় অসম্ভব’। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, এই প্রায় অসম্ভব কাজটিই হয়েছে এবং কারা প্রশাসন বা কারাগারের কারও না কারও যোগসাজশ ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
কারাগারে বসে যদি খুনের মতো বড় ধরনের অপরাধ করা যায়, তবে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই। র্যাবের তদন্ত অনুযায়ী যদি মুঠোফোন সরবরাহকারী কারারক্ষীকে শনাক্ত করা যায়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের সব কারাগারের কর্তৃপক্ষেরই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
কারাগার এখন অপরাধীদের জন্য এতটাই ‘নিরাপদ’ আশ্রয় যে সেখান থেকেই শীর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে তার সহযোগীদের ব্যবহার করে। যোগাযোগের মাধ্যম হলো মুঠোফোন। ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের কাছে চাঁদা চেয়েছিল তার সহযোগীরা। চাঁদা না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। দুপুরে খুনের ঘটনার পর সন্ধ্যায় কারাগার থেকে কথাও বলেছে কিলার আব্বাস। এসব আলাপের রেকর্ড র্যাবের হাতে রয়েছে। কারাগারে বসে মুঠোফোন ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া যায় কীভাবে? র্যাবের তদন্ত বলছে, কাশিমপুর কারাগারের একজন কারারক্ষী এ কাজ করেছেন।
কাশিমপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জানিয়েছেন, সেখানে মুঠোফোন জ্যাম করার যন্ত্র রয়েছে। তাই কারাগার থেকে ফোন করা ‘প্রায় অসম্ভব’। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, এই প্রায় অসম্ভব কাজটিই হয়েছে এবং কারা প্রশাসন বা কারাগারের কারও না কারও যোগসাজশ ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
কারাগারে বসে যদি খুনের মতো বড় ধরনের অপরাধ করা যায়, তবে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই। র্যাবের তদন্ত অনুযায়ী যদি মুঠোফোন সরবরাহকারী কারারক্ষীকে শনাক্ত করা যায়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের সব কারাগারের কর্তৃপক্ষেরই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
No comments