দ্য সানের প্রতিবেদন-ইরানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রিটেন
ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ছক কষছে ব্রিটেন। এ লক্ষ্যে পারস্য উপসাগরে শত শত সেনা এবং পরমাণু শক্তিচালিত একটি অতিরিক্ত ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) পাঠানোর পরিকল্পনা করছে তারা। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ধারণা, যেকোনো সময় এ যুদ্ধ বাধতে পারে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান গত রবিবার এ দাবি করেছে।
ব্রিটিশ সচিবালয় হোয়াইট হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য সান জানায়, 'প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনাকারীরা এ বছরের শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তারা (ইরান) পরমাণু প্রকল্প অব্যাহত রাখলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে। আমরা পছন্দ করি বা না করি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ব্রিটেন।' তাঁর দাবি, যেকোনো সময় এ যুদ্ধ বাধতে পারে। স্পষ্টভাবে বললে, দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে এ যুদ্ধের আশঙ্কা বেশি।
দ্য সান জানায়, 'ব্রিটেন প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পদাতিক ব্যাটালিয়ন পাঠাবে।' ওই অঞ্চলে ইউএই ব্রিটেনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। 'ওই অঞ্চলে ওমান, কুয়েত, সৌদি আরব, বাহরাইন ও কাতারের মতো আমাদের অন্য সহযোগীরা সহায়তা চাইলে আরো সেনা পাঠানো হতে পারে।' ইরান ইউএইকে আক্রমণ করলে তাদের সুরক্ষা দিতেও প্রস্তুত ব্রিটেন।
পারস্য উপসাগরে এরই মধ্যে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর সাতটি রণতরী অবস্থান করছে। এর মধ্যে সর্বাধুনিক রণতরী এইচএমএস ডেয়ারিংও রয়েছে। গত মাসেই পারস্য উপসাগরে ঢুকেছে রণতরীটি। বাহরাইনে রয়েছে চারটি রণতরী। এ ছাড়া পরমাণু শক্তিচালিত একটি ডুবোজাহাজও বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছে।
পত্রিকাটি জানায়, এগুলো ছাড়াও ব্রিটিশ সমর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী আরেকটি ডুবোজাহাজও ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। রাজকীয় বিমান বাহিনী ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে কাতার, ওমান, বাহরাইন ও ইউএইতে তাদের হেলিকপ্টার, বিমান ও সেনা রয়েছে। তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে টাইফুন ও টর্নেডো জেট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিমান বাহিনীর।
পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে ইরান। তেহরান অবশ্য কখনোই এ দাবি মেনে নেয়নি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের উত্তেজনা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ইরানকে বাগে আনতে কূটনীতি, নিষেধাজ্ঞা বা যুদ্ধ কোনো পথই বাদ দিতে চান না তিনি। সূত্র : প্রেসটিভি, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দ্য সান জানায়, 'ব্রিটেন প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পদাতিক ব্যাটালিয়ন পাঠাবে।' ওই অঞ্চলে ইউএই ব্রিটেনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। 'ওই অঞ্চলে ওমান, কুয়েত, সৌদি আরব, বাহরাইন ও কাতারের মতো আমাদের অন্য সহযোগীরা সহায়তা চাইলে আরো সেনা পাঠানো হতে পারে।' ইরান ইউএইকে আক্রমণ করলে তাদের সুরক্ষা দিতেও প্রস্তুত ব্রিটেন।
পারস্য উপসাগরে এরই মধ্যে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর সাতটি রণতরী অবস্থান করছে। এর মধ্যে সর্বাধুনিক রণতরী এইচএমএস ডেয়ারিংও রয়েছে। গত মাসেই পারস্য উপসাগরে ঢুকেছে রণতরীটি। বাহরাইনে রয়েছে চারটি রণতরী। এ ছাড়া পরমাণু শক্তিচালিত একটি ডুবোজাহাজও বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছে।
পত্রিকাটি জানায়, এগুলো ছাড়াও ব্রিটিশ সমর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী আরেকটি ডুবোজাহাজও ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। রাজকীয় বিমান বাহিনী ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে কাতার, ওমান, বাহরাইন ও ইউএইতে তাদের হেলিকপ্টার, বিমান ও সেনা রয়েছে। তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে টাইফুন ও টর্নেডো জেট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিমান বাহিনীর।
পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে ইরান। তেহরান অবশ্য কখনোই এ দাবি মেনে নেয়নি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের উত্তেজনা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ইরানকে বাগে আনতে কূটনীতি, নিষেধাজ্ঞা বা যুদ্ধ কোনো পথই বাদ দিতে চান না তিনি। সূত্র : প্রেসটিভি, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments