টিপাইর ফাঁদে হাসিনার সরকার! by ফজলুল বারী
ভারতের সঙ্গে একটার পর একটা সমস্যা লেগেই চলছে! তিস্তা চুক্তির কোন সুরাহা হলো না। মনমোহনের সঙ্গে ঢাকার পর মালদ্বীপেও বৈঠক হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বিদেশ সফরে রেকর্ড সৃষ্টিকারী আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা দীপু মনি কলকাতা গিয়ে পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বৈঠক করে এলেন! কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা নেই। এর মাঝে পুরনো ঝামেলা নতুন করে সামনে টেনে নিয়ে আসা হলো টিপাই বাঁধ ইস্যু!
এ প্রসঙ্গে ভারতীয়দের পুরনো আশ্বাসের বানী এখনও চলছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু তারা করবে না। টিপাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এতে পানি প্রত্যাহার করা হবে না, তাই বাংলাদেশের ক্ষতি করবে না টিপাই বাঁধ, ইত্যাদি! কিন্তু এ নিয়ে পুরনো সমস্যাটি আবার নতুন করে জাগিয়ে দিয়েছে ভারত। বিশ্বাসের সমস্যা। ক্ষতি করবে না, ক্ষতি হবে না, এই যদি হয় নীতি তাহলে বাঁধ চুক্তিটির খবর বিবিসি প্রচারের পর কেন জানবে বাংলাদেশ সরকার? বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় যদি দাবি করে ভারত, ট্রানজিট চায়, এই চায় সেই চায়, বাংলাদেশও যা চায় দিয়ে দেয়, এমনকি ট্রানজিটের শুল্ক পর্যন্ত নিতে চায় না! শুল্কের প্রসঙ্গ এলে লজ্জায় মরে যায় প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বসা এজেন্ট! এতকিছু করেও কী আমরা মন পাচ্ছি ভারতের?
না এটি দিল্লীর সাউথব্লকের চাণক্যনীতির আরেক কৌশল? তিস্তার পানির একটা কিছু হিস্যা দেবে, আবার টিপাই’র নামে আরেকদিকে টাইট দিয়ে রাখবে? বা ট্রানজিটের শুল্ক সহ নানাকিছুর দরকষাকষিতে এর মাধ্যমে যেন নতুন একটি উইনডো ওপেন করল ভারত, যার নাম টিপাই? সামনের দিনগুলোতে এসব আরও খোলাসা হবে।
মোট কথা একশ সমস্যায় ভারাক্রান্ত শেখ হাসিনার বন্ধু-সরকারকে ভারত জেনেশুনে নতুন আরেকটি সমস্যায় ফেলল! এখানে প্রণোদনা দিয়েও শেয়ার বাজারের কোনও গতি করা যাচ্ছে না, পদ্মাসেতু গেছে আটকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ভাড়া করা শ্বেতহস্তি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে, তেলের ভর্তুকির টাকা জোগাড় করতে গিয়ে দেশে এমনিতে জেরবার অবস্থা সরকারের! এরপর প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে একটার পর একটা সমস্যা! তিস্তা চুক্তি হয়নি, তাই তিনবিঘা করিডোর এখন যে দিনেরাতে চব্বিশঘন্টা খোলা থাকে সে সাফল্যও এর মাঝে ম্লান! টিপাই’র খবর আসার পর পার্লামেন্টে শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কিছু করতে দেয়া হবে না। দিল্লিতে শিগগির দূত যাবে ইত্যাদি। কিন্তু ভারত যদি বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করে টিপাই বাঁধ তাদের মতো করে ফেলে, সে জন্য কী করতে পারি আমরা? আমরা তো আর ড্রোন বিমান পাঠিয়ে টিপাই’র ওই জায়গাটি গুঁড়িয়ে দিতে পারব না! সে সঙ্গতি আমাদের নেই। চিন্তা করাটাও বোকামি। কিন্তু এর চেয়েও তো বিধবংসী অনেক কিছু আমাদের হাতে আছে। এসবের কথা মুখে আনলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আরামের ঘুম হারাম হয়! আপাততও বলতে পারি, নো’, এসব চললে কিন্তু ট্রানজিট দেব না। যা মনমোহনের সফরের সময় মুখের ওপর বলে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
বা শেখ হাসিনা বলতে পারেন এসব চললে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি আনতে তিনি যাবেন না। ওইসব ডিগ্রি-ফিগ্রির চাইতে দেশ-দেশের স্বার্থ বড়। তিস্তায় পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের কথা বলে মমতা ব্যানার্জি মনমোহনের সঙ্গে ঢাকা আসেননি। শেখ হাসিনাও কী এমন একটা বর্জনের কথা বলতে পারবেন না ? এসবে কিন্তু কাজ দেবে। ভারতের অনেক ব্যবসা বাংলাদেশের বাজারের ওপর নির্ভরশীল। এমন কি কলকাতায় যে বাস-ট্রেন যায়, এসবের ৯৫ ভাগ বা এরও বেশি যাত্রী যে বাংলাদেশের, এদের সঙ্গে যাওয়া লাখ-লাখ ডলার গুনে যে টিকে আছে কলকাতা সহ ভারতীয় অনেকের রুটিরুজি, ব্যবসা-বাণিজ্য, এসব নিয়েতো আমরা কখনো কথা বলি না। ভারত বাধ্য করলে বলবো না কেন?
শেখ হাসিনা দিল্লিতে দূত পাঠানোর কথা বলেছেন। তা কে উনি? গওহর রিজভী? আল্লাহ’রওয়াস্তে তার ব্যাপারে যেন দ্বিতীয় চিন্তা করা হয়। কারণ এর মাঝে অনেকেই মনে করা শুরু করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বসে উনি ভারতীয়দের স্বার্থ দেখছেন। বাংলাদেশের নয়। মনমোহনের সফরে পররাষ্ট্র দফতরকে এড়িয়ে এই গওহর নির্ভরতার কোনও পজিটিভ ফল আসেনি। অশ্বডিম্ব এসেছে। তিনি হয়ে পড়েছেন গরু হারানো উপদেষ্টা! মাঝখানে ক্ষতি হয়েছে আমাদের পররাষ্ট্র বিভাগের প্রফেশনালিজমের। ভারতীয়রাও তাই আর আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী-সচিব এদেরকে এখন কম পাত্তা দেয়। কারণ কার কী ক্ষমতা তা বুঝে ফেলেছে দিল্লির সাউথব্লক।
এবার টিপাই ইস্যুতে বিএনপির প্রতিক্রিয়ায় পজিটিভ নেগেটিভ দুটিই আছে। পজিটিভটি হলো বরাবরের মত উৎকট হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা কথাবার্তা না বলে দায়িত্বশীল কথাবার্তা বলেছেন খালেদা জিয়া। জাতীয় স্বার্থে এ ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। মনমোহনকে চিঠি লিখে যৌথ জরিপের দাবি করেছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যাবার কথা খালেদার। ওখানকার মেহমানদারি ঠিক রাখতে কী এসব একটু ভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া! হয়তোবা।
কিন্তু দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলে সরকারকে এড়িয়ে আলাদা চিঠি লিখার মানে কী? বাংলাদেশ থেকে দিল্লিতে যা অফিসিয়াল বক্তব্য যাবে তাতো আওয়ামী লীগ-বিএনপি না বাংলাদেশ সরকারের তরফে যাবে। আর বাংলাদেশের বিরোধীদলের নেত্রী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’এর কাছে চিঠিতে ‘দাবি’ কথাটা লিখাটাও কী একধরনের মমতা ব্যানার্জী সুলভ রোল হয়ে যায় না? মমতা ভারতীয় একটি রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী। তার প্রধানমন্ত্রীর কাছে নানান দাবি জানিয়ে চিঠি লিখতে পারেন। তা কী বাংলাদেশের খালেদা জিয়ার মানায়?
মোট কথা একশ সমস্যায় ভারাক্রান্ত শেখ হাসিনার বন্ধু-সরকারকে ভারত জেনেশুনে নতুন আরেকটি সমস্যায় ফেলল! এখানে প্রণোদনা দিয়েও শেয়ার বাজারের কোনও গতি করা যাচ্ছে না, পদ্মাসেতু গেছে আটকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ভাড়া করা শ্বেতহস্তি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে, তেলের ভর্তুকির টাকা জোগাড় করতে গিয়ে দেশে এমনিতে জেরবার অবস্থা সরকারের! এরপর প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে একটার পর একটা সমস্যা! তিস্তা চুক্তি হয়নি, তাই তিনবিঘা করিডোর এখন যে দিনেরাতে চব্বিশঘন্টা খোলা থাকে সে সাফল্যও এর মাঝে ম্লান! টিপাই’র খবর আসার পর পার্লামেন্টে শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কিছু করতে দেয়া হবে না। দিল্লিতে শিগগির দূত যাবে ইত্যাদি। কিন্তু ভারত যদি বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করে টিপাই বাঁধ তাদের মতো করে ফেলে, সে জন্য কী করতে পারি আমরা? আমরা তো আর ড্রোন বিমান পাঠিয়ে টিপাই’র ওই জায়গাটি গুঁড়িয়ে দিতে পারব না! সে সঙ্গতি আমাদের নেই। চিন্তা করাটাও বোকামি। কিন্তু এর চেয়েও তো বিধবংসী অনেক কিছু আমাদের হাতে আছে। এসবের কথা মুখে আনলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আরামের ঘুম হারাম হয়! আপাততও বলতে পারি, নো’, এসব চললে কিন্তু ট্রানজিট দেব না। যা মনমোহনের সফরের সময় মুখের ওপর বলে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
বা শেখ হাসিনা বলতে পারেন এসব চললে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি আনতে তিনি যাবেন না। ওইসব ডিগ্রি-ফিগ্রির চাইতে দেশ-দেশের স্বার্থ বড়। তিস্তায় পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের কথা বলে মমতা ব্যানার্জি মনমোহনের সঙ্গে ঢাকা আসেননি। শেখ হাসিনাও কী এমন একটা বর্জনের কথা বলতে পারবেন না ? এসবে কিন্তু কাজ দেবে। ভারতের অনেক ব্যবসা বাংলাদেশের বাজারের ওপর নির্ভরশীল। এমন কি কলকাতায় যে বাস-ট্রেন যায়, এসবের ৯৫ ভাগ বা এরও বেশি যাত্রী যে বাংলাদেশের, এদের সঙ্গে যাওয়া লাখ-লাখ ডলার গুনে যে টিকে আছে কলকাতা সহ ভারতীয় অনেকের রুটিরুজি, ব্যবসা-বাণিজ্য, এসব নিয়েতো আমরা কখনো কথা বলি না। ভারত বাধ্য করলে বলবো না কেন?
শেখ হাসিনা দিল্লিতে দূত পাঠানোর কথা বলেছেন। তা কে উনি? গওহর রিজভী? আল্লাহ’রওয়াস্তে তার ব্যাপারে যেন দ্বিতীয় চিন্তা করা হয়। কারণ এর মাঝে অনেকেই মনে করা শুরু করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বসে উনি ভারতীয়দের স্বার্থ দেখছেন। বাংলাদেশের নয়। মনমোহনের সফরে পররাষ্ট্র দফতরকে এড়িয়ে এই গওহর নির্ভরতার কোনও পজিটিভ ফল আসেনি। অশ্বডিম্ব এসেছে। তিনি হয়ে পড়েছেন গরু হারানো উপদেষ্টা! মাঝখানে ক্ষতি হয়েছে আমাদের পররাষ্ট্র বিভাগের প্রফেশনালিজমের। ভারতীয়রাও তাই আর আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী-সচিব এদেরকে এখন কম পাত্তা দেয়। কারণ কার কী ক্ষমতা তা বুঝে ফেলেছে দিল্লির সাউথব্লক।
এবার টিপাই ইস্যুতে বিএনপির প্রতিক্রিয়ায় পজিটিভ নেগেটিভ দুটিই আছে। পজিটিভটি হলো বরাবরের মত উৎকট হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা কথাবার্তা না বলে দায়িত্বশীল কথাবার্তা বলেছেন খালেদা জিয়া। জাতীয় স্বার্থে এ ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। মনমোহনকে চিঠি লিখে যৌথ জরিপের দাবি করেছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যাবার কথা খালেদার। ওখানকার মেহমানদারি ঠিক রাখতে কী এসব একটু ভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া! হয়তোবা।
কিন্তু দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলে সরকারকে এড়িয়ে আলাদা চিঠি লিখার মানে কী? বাংলাদেশ থেকে দিল্লিতে যা অফিসিয়াল বক্তব্য যাবে তাতো আওয়ামী লীগ-বিএনপি না বাংলাদেশ সরকারের তরফে যাবে। আর বাংলাদেশের বিরোধীদলের নেত্রী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’এর কাছে চিঠিতে ‘দাবি’ কথাটা লিখাটাও কী একধরনের মমতা ব্যানার্জী সুলভ রোল হয়ে যায় না? মমতা ভারতীয় একটি রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী। তার প্রধানমন্ত্রীর কাছে নানান দাবি জানিয়ে চিঠি লিখতে পারেন। তা কী বাংলাদেশের খালেদা জিয়ার মানায়?
টিপাই ইস্যুতে বিএনপির নেগেটিভ রোলটি হলো সিলেটে ডাকা হরতাল। বাংলাদেশ থেকে একশ কিঃমি ভিতরে টিপাইমুখ। তা হরতালটা সিলেটে করে কার লাভ কার ক্ষতি হবে? না সিলেট ভারতের অংশ বা সেখানে ভারতীয় লোকজন থাকেন, তাদের একটু কষ্ট দেবার জন্য, আর্থিক ক্ষতি সাধনের জন্য এই হরতাল! নাকি আগামীতে টিপাই বাঁধ হয়ে গেলে আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে ইলিয়াস আলীর নেতৃত্বে সিলেট থেকে লংমার্চ গিয়ে টিপাই বাঁধ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেবে, এটি তার মহড়া? না, রোড মার্চের মতো লেচু মিয়াদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার আরেক সোপান? মানুষকে অনর্থক উত্তেজিত করা, নানান বাহানায় দেশের কাজ বন্ধ রাখা, জনজীবনের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত করা, এসব ছেলেমানুষি ক্ষতিকর উপাদান কবে যে বাংলাদেশ থেকে যাবে!
আরেকটি বাস্তব সত্য হলো টিপাইমুখ নিয়ে ভারত তার কাজ তার মতো করবে। কার কী ক্ষতি হবে তা ভাববে না। কাপ্তাই বাঁধের সময় এখানে আমরাও তা ভাবিনি। জলবিদ্যুতের কাপ্তাই বাঁধ করতে গিয়ে আদিবাসী পাহাড়িদের ফসলিজমি, বাড়িঘর তলিয়ে দিয়ে যে বিধবংসী সমস্যাটি এখানে তৈরি করা হয়েছিল, এর রেশ এখনও আমরা বহন করে চলেছি। টিপাই বাঁধে শুধু আমাদের ক্ষতি না, ভারতীয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধবংস হবে জীববৈচিত্র! যেভাবে এখনও নানাভাবে ফারাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এখন কাপ্তাই আর ফারাক্কার দৃষ্টান্ত সহ ভারতীয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর পরিবেশবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে সে অঞ্চলগুলোতেও আমরা জনমত গড়ে তুলতে পারি। এখনতো অনলাইনের যুগ। অনলাইন, সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর মাধ্যমেও বেসরকারি উদ্যোগে প্রাথমিক অনেককিছু করা সম্ভব।
কিন্তু দেশের জনগনকে আস্থায় নিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষার মূল কাজটি করতে হবে সরকারকে। এখন এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যদি এই বাঁধ ভারতীয়দের মতো করে হয়ে যায় আর বরাক-সুরমা-কুশিয়ারা হয়ে যদি কমে যায় মেঘনার পানি, চাঁদপুর পর্যন্ত নতুন নতুন ধূ ধূ চর পড়ে, সেই নতুন চরের বালিয়াড়িতেও কিন্তু হারিয়ে যাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট!
No comments