পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা রাখবে 'পরিদর্শকদল'

শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে 'সার্বক্ষণিক যৌথ পরিদর্শকদল' গঠন করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ধসের পর শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারজনের এ কমিটিতে রয়েছেন_সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের একজন নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন মহাব্যবস্থাপক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা।


গত ১৬ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়।সার্বক্ষণিক যৌথ ইন্সপেকশন দল তাদের পরিদর্শন প্রতিবেদন এসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করবে। কমিটি 'পরিদর্শন পরিকল্পনা' প্রণয়ন করবে, যার আলোকে কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবিশেষ, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোনোভাবে বাজারকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রভাবিত করার কাজে লিপ্ত কি-না তা দেখা হবে। কমিটি পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করবে; কোনো বিষয়ে জরুরি তদন্তের প্রয়োজন হলে কমিটি এসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে তৎক্ষণাৎ তদন্ত করবে। যৌথ পরিদর্শনদল প্রতি মাসে একবার তাদের কর্মপরিকল্পনা, অগ্রগতি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পর্যালোচনা করার জন্য বৈঠক করবে।
স্টক এঙ্চেঞ্জ, সিডিবিএল, মার্চেন্ট ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কম্পানি, স্টক ব্রোকার/ডিলার এবং সব তালিকাভুক্ত কম্পানির কাছ থেকে শেয়ার লেনদেন-সংক্রান্ত এবং অন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি সংগ্রহ করবে এ কমিটি।
শেয়ারবাজারে ধস, কারসাজি বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাজার পরিচালনাকারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করা হয়। বাজারের গতি-প্রকৃতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রেখে করণীয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সময়মতো সতর্ক করা বা পরামর্শ দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের কর্মকর্তারা।

No comments

Powered by Blogger.