নতুন রূপে সাজছে ধানমণ্ডি লেক

তুন রূপে সাজানো হচ্ছে ধানমণ্ডি লেক। ছবির মতো ঝকঝকে সুন্দর থাকবে এ লেকের সবকিছু। পানিদূষণ বন্ধ করা হবে। লেকের পাশে গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। লেক ও পার্ক এলাকা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল। পার্কের বিভিন্ন এলাকা ওয়াইফাইর আওতায় আনা হবে। সেখানে জ্ঞান চর্চা ও বিনোদনসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য লেক ও কলাবাগান মাঠের পাশের জায়গায় গড়ে তোলা হবে শিশু পার্ক।


লেক ও পার্কের চারপাশে থাকবে অসংখ্য ফুলের বাগান। বৃষ্টির সময় লেকের সৌন্দর্য উপভোগে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় তাঁবু টাঙিয়ে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের জন্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে লেকের পাড়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ডিসিসির কর্মকর্তারা জানান, লেকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন অংশে একাধিক ঝরনা স্থাপন করা হবে। লেকের পাশে পার্কে বৃক্ষ রোপণ করা হবে। পার্কে বৈদ্যুতিক সুবিধা বাড়ানো হবে। হাঁটার জন্য নান্দনিক ওয়াকওয়ে এবং নতুন ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হবে। ডিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর সংস্কারের পাশাপাশি ধানমণ্ডি লেককে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর এসডবি্লউও ১৬ ইসিবির সহযোগিতায় লেক সংস্কারের এ কাজ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার আহসানুল হক মিয়া, এসডবি্লউও-পশ্চিমের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মোঃ মাসুদ, অতিরিক্ত পরিচালক কর্নেল এমএ মোহী, ডিসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত, স্থপতি ইকবাল হাবিবসহ আরও অনেকে উপস্থি্থত ছিলেন।
এপ্রিল-২০১১তে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ফুটপাত-ওয়াকওয়ে এবং গার্ডওয়ালসহ আনুষঙ্গিক কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.