অস্বাভাবিক উত্থান-পতন সিএসই সূচকে

পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর দিনই চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে লেনদেন অর্ধেকে নেমে এসেছে। সূচক নিয়ে লেনদেনের পুরো সময়ে অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি শেয়ারের আর্থিক সমন্বয়ের (ফিন্যান্সিয়াল


সেটেলমেন্ট) সময়সীমা কমিয়ে আনার ব্যাপারে এসইসির নেওয়া পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তাঁরা।
বুধবার বিকেলে পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারি প্যাকেজ ঘোষণা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গতকালের বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে আগের দিন লেনদেন বাড়লেও বড় ধরনের দরপতন ঘটার কারণে বাজারের আচরণ নিয়ে তাঁরা সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জে (সিএসই) গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই ছিল সূচকের ঊর্ধ্বগতি। আবার ১৫ মিনিট পরই হঠাৎ সূচকের অস্বাভাবিক পতন ঘটে। এ সময় সার্বিক সূচক প্রায় ৩০০ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে সেখান থেকেই কিছুটা ঘুরে সার্বিক সূচক ৩৭ পয়েন্ট পতন দিয়ে দিন শেষ করে। এ সময় সিএসইতে ৬০ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের লেনদেনের চেয়ে ৫৯ কোটি টাকা কম। এদিন লেনদেন হওয়া ১৭৭টি কম্পানির শেয়ারের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৮টির। আর দরপতন হয়েছে ১১৪টি কম্পানির শেয়ারের।
হাসান শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন বলেন, 'আগের দিন যেভাবে পতন হয়েছিল, সেখান থেকে যে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে_এটা সুখবর। কারণ এসইসি থেকে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে, তা দীর্ঘমেয়াদে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে। তবে বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য এসইসি এর আগে শেয়ারের আর্থিক সমন্বয়ের (ফিন্যান্সিয়াল সেটেলমেন্ট) সময়সীমা একদিন কমিয়ে আনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের আর্থিক সমন্বয়ের সময়সীমা একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা উচিত। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত কম্পানিগুলোর লট সমন্বয় করতে হবে।'

No comments

Powered by Blogger.