ঢাকা মেট্রো, রাজশাহী আর বরিশালের জয়

প্রথম পর্বের পঞ্চম রাউন্ডের শেষ দিনে নিষ্পত্তি হয়েছে বাকি তিনটি ম্যাচেরই। চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় ১৬৯ রানে পেয়েছে ঢাকা মেট্রো। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫৫ রান আগের দিনে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানই এনে দেওয়ায় সিলেটের বিপক্ষে রাজশাহীর জয়ের ব্যবধানটা ৫ উইকেটেরই। আর ঢাকা বিভাগের ব্যাটিং দুর্বলতাকে 'উন্মুক্ত' করে দিয়ে ১৫৯ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে খুলনা। টানা তিন ওভারে ৫ উইকেট নেওয়া সৈয়দ রাসেলের হ্যাটট্রিক 'মিস'


করার আফসোস মিটে যাওয়ার কথা দলের জয় এবং ম্যাচসেরার স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে।মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরির ইনিংসটা কাল থেমে গেছে আর মাত্র ৩ রান বাড়িয়েই। চট্টগ্রামকে চেপে ধরতে ঢাকা মেট্রোও শেষদিনে খুব বেশি সময় নেয়নি। কাল ৪ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২৯৬ রান তুলে মেট্রো দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করায় জয়ের জন্য চট্টগ্রামের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৮৬ রানের। কিন্তু রান তাড়া করার মিশনে চট্টগ্রামকে শুরুই করতে হয়েছে দুজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে। প্রথম ইনিংসে বাউন্সারের আঘাত ২১ দিনের জন্য মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে ফয়সাল হোসেনকে। আর তৃতীয় দিন মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ফিরতি ক্যাচ নিতে গিয়ে পাওয়া হাতের চোট কাল ব্যাটিংয়ে নামতে দেয়নি ইয়াসিন আরাফাতকে। তো, ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর অসাধ্য সাধনে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংসের আলোকিত অংশ জাতীয় দলে খেলা দুই ক্রিকেটার আফতাব আহমেদ এবং নাজিমউদ্দিনের ফিফটি। মেট্রোর শরিফউল্লাহ এ দুজনকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর চা বিরতির সামান্য পরই লড়াইয়ে হার হয় চট্টগ্রামের।
শেষ দিনে জেতার জন্য রাজশাহীর দরকার ছিল ৫৫ রান। ফল উল্টে দিতে এ সামান্য পুঁজিকে সম্বল করেই সিলেট বিভাগকে তুলে নিতে হতো প্রতিপক্ষের শেষ পাঁচ উইকেট। কিন্তু আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান হামিদুল ইসলাম এবং জুবায়ের আহমেদ দ্রুতই সে সম্ভাবনা মুছে দেন। এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৮০ রানের জুটিতে অনায়াসে জিতে যায় রাজশাহী। জুবায়েরের না হলেও ৫০ পেরিয়েছেন হামিদুল।
বরিশালের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে হ্যাটট্রিকের পুনরাবৃত্তির সুযোগ দ্বিতীয়বারেও পেয়েছিলেন ঢাকা বিভাগীয় দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ শরিফ। তবে তৃতীয় ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় অসামান্য এ কীর্তিটি গড়া হয়নি তাঁর। কাল শেষ দিনে সুযোগ পেয়েছিলেন সৈয়দ রাসেলও। খুলনার এ বাঁহাতি পেসার পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের যে সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন, তা পণ্ড করে দেন ঢাকার শেষ ব্যাটসম্যান মাহবুবুল আলম রবিন। তবে ১৬ বলে ৫ উইকেটের বিধ্বংসী স্পেলে বরিশালের জয় ঠিকই নিশ্চিত করেছেন রাসেল। এর সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রান যোগ করার পর তাঁকে ছাড়া আর কারো হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার মানায় নাকি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম : ঢাকা মেট্রো ৩৯৩ ও ২য় ইনিংস ৭২ ওভার ২৯৬/৭ ডিক্লে. (আশরাফুল ১১৯, শরিফউল্লাহ ৪৭, ইয়াসিন ৩/৮২)। চট্টগ্রাম ৩০৪ ও ২য় ইনিংস ৫৩.২ ওভার ২১৬/১০ (আফতাব ৫৫, নাজিমউদ্দিন ৬৫)। ফল : ঢাকা মেট্রো ১৬৯ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাসামুল হক।
রাজশাহী-সিলেট : সিলেট ১০০/৯ ডিক্লে. ও ২৯৮। রাজশাহী ১৭৫ ও ২য় ইনিংস ৫৬.১ ওভার ২২৪/৫ (হামিদুল ৬৩*, জুবায়ের ৪৫*)। ফল : রাজশাহী ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মুক্তার আলী।
বরিশাল-ঢাকা বিভাগ : বরিশাল ১৩৯ ও ২৭৮। ঢাকা ১৯৯ ও ২য় ইনিংস ৪৮.৪ ওভার ১০৩/১০ (রাসেল ৫/১৩)। ফল : বরিশাল ১৫৯ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সৈয়দ রাসেল।


No comments

Powered by Blogger.