সোমবারই দু'টুকরো হচ্ছে রাজধানী ঢাকা-বিভিন্ন মহলের বিরোধিতা ডিসিসি ভবনে বিক্ষোভ

বিভিন্ন মহলের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও ঢাকা সিটি করপোরেশনকে (ডিসিসি) উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশে ভাগ করার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে যাচ্ছে। সোমবার সংসদের দশম অধিবেশনের শেষ দিন এ সংক্রান্ত বিলটি পাস হবে বলে সংসদের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার আগে রোববার দুপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিলটির পর্যালোচনা হবে। সোমবার দিনের কর্মসূচিতে ঢাকা বিভক্তিকরণের বিলটি থাকবে বলে জানিয়েছেন
সরকারদলীয় চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। ওই দিন সাংসদদের 'হ্যাঁ' উচ্চারণের মাধ্যমেই চারশ' বছরের ঐতিহ্যের এ নগরটি কার্যত দু'টুকরো হয়ে যাবে। অবশিষ্ট থাকবে শুধু রাষ্ট্রপতির সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের আপত্তির মুখে পাস হতে যাচ্ছে বিলটি। এর আগে বুধবার সংসদে 'স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) বিল, ২০১১' উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তিকরণের বিলটি সংসদে উত্থাপনের পরপরই বৃহস্পতিবার নগর ভবনসহ আরও কয়েকটি এলাকা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। নগর ভবনে কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ডিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে নির্বাচিত কাউন্সিলররাও এর আপত্তি করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
জানা গেছে, বিলটি সংসদে পাসের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে গেলে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রশাসক পদে প্রাথমিকভাবে আমলাদেরই বসানোর চিন্তা সরকারের রয়েছে। যদিও আইনের প্রস্তাবিত খসড়ায় এ পদে অন্য উপযুক্ত ব্যক্তিত্বকেও বসানোর সুযোগ রয়েছে। সেটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বুধবার সিটি করপোরেশন বিলটি সংশোধনের জন্য সংসদে উত্থাপনের পর সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে
বলা
হয়। সাত কার্যদিবস বলে সাত দিন বলায় এ অধিবেশনের মধ্যেই বিলটি পাস হওয়ার চূড়ান্ত সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবারই নবম সংসদের দশম অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটির মেয়াদও আরও কয়েক দিন বাড়ানোর কথা বলা হয়। এ অবস্থায় সবাই নিশ্চিত হয়ে যান যে এ অধিবেশনেই বিলটি পাস করেই অধিবেশনের পর্দা নামবে।
গতকাল সকালেই জাতীয় সংসদের আইন ও নোটিশ শাখার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বিলটি চূড়ান্তকরণের বৈঠকের সময় ঠিক করে। প্রথমে রোববার সকাল ১১টায় বৈঠকের সময় নির্ধারিত হয়। পরে পাল্টা নোটিশের মাধ্যমে এটি দেড় ঘণ্টা পিছিয়ে সাড়ে ১২টায় স্থানান্তর করা হয়। গতকাল দুপুরের মধ্যে কমিটির সব সদস্য এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে বৈঠকে অংশ নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
সংসদে উত্থাপিত বিল অনুসারে বর্তমান ডিসিসি 'ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন' এবং 'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন' নামে দু'ভাগে বিভক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলররাও আর নিজ পদে বহাল থাকবেন না। ফলে নতুন সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত যে কোনো উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাকে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবদুল মালেক গতকাল সমকালকে বলেন, সংসদে আইনটি পাস হওয়া এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পর যেদিন গেজেট জারি হবে ওই দিনই প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। তবে প্রশাসক পদে কাদের কথা ভাবা হচ্ছে সে প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি রাজি হননি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর সরকারদলীয় একাধিক প্রভাবশালী নেতার কথা ভাবা হলেও এখন পর্যন্ত ১৮০ দিন মেয়াদি এ পদের জন্য দু'জন আমলাকে বসানোর কথাই সরকার ভাবছে। আমলাদের প্রশাসক নিয়োগ করে দ্রুত নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই সরকারের লক্ষ্য। একই সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অভিযোগকেও উড়িয়ে দিতে চাইছে সরকার। বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, দলীয় লোককে বসাতেই ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দু'ভাগ করা হচ্ছে। প্রশাসক নিয়োগে আমলা পছন্দের মাধ্যমে সরকার এ সুযোগটিও নিতে চাইছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যুগ্ম সচিব বা তদূর্ধ্ব কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক পদে বেছে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের '৮২ বিশেষ ব্যাচের দু'জন কর্মকর্তাকে সরকারের প্রথম পছন্দ। ডিসিসির বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে ডিসিসি দক্ষিণের প্রশাসক করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রশাসক নিয়োগের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীতের শেষ দিকে এ দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রশাসক নিয়োগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ডিসিসিকে দু'ভাগ করার লক্ষ্যে 'স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) বিল, ২০১১' গত ১৭ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পায়। এরপর ৩১ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে জোর আপত্তি ওঠে।
সংশোধনী সংসদে পাস হলে বর্তমানে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬টি (২৩, ৩৭ থেকে ৪৭ এবং ৫৪ ও ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড) 'ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে' অন্তর্ভুক্ত হবে। অন্যদিকে ৫৬টি ওয়ার্ড (২৪ থেকে ৩৬, ৪৮ থেকে ৫৩ এবং ৫৬ থেকে ৯২ নম্বর ওয়ার্ড) নিয়ে গঠিত হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ডিসিসিতে বিক্ষোভ : যে প্রতিষ্ঠানের বিভক্তি নিয়ে এত আলোচনা, সেই ডিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এবার প্রতিবাদী আন্দোলনে শামিল হলেন। দু'ভাগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন তারা। ডিসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আগামী রোববারও এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। ডিসিসি ভাগের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করা না হলে লাগাতার আন্দোলনেরও হুমকি দেন তারা।
ডিসিসি সংশ্লিষ্ট ১৩টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে। এক ঘণ্টার কর্মবিরতি চলাকালে অনেকেই অফিস কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে নগর ভবনের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষও অংশ নেন। বঙ্গবাজার থেকে গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয় মানববন্ধন। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিষদ নেতারা বক্তৃতা করেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মেজবাহ উল করিম বলেন, কারও মতামত ছাড়া সরকারের এ অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে সরকার ডিসিসি ভাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। সমাবেশে তিনি বলেন, আগামী রোববার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ সময় একাধিক বক্তা বলেন, সরকারকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য করতে প্রয়োজনে সব ধরনের নাগরিক সেবা দান থেকে বিরত থাকবেন তারা। সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলররা মিছিল বের করেন। মিছিলটি ভবন চত্বর প্রদক্ষিণ করে মেয়র কার্যালয় ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হয়ে নগর ভবনের প্রধান গেটের সামনে এসে শেষ হয়।
সরকারের যুক্তি ও নাগরিক অভিমত : বর্তমানে ডিসিসির জনসংখ্যা এক কোটিরও বেশি। এর আয়তন প্রায় ১৫০ বর্গকিলোমিটার। সরকার মনে করছে, এ বৃহৎ মহানগরীর বিপুল জনসংখ্যার কাছে একটি কেন্দ্র থেকে সেবা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। ফলে জনসাধারণ কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা পাচ্ছে না। ডিসিসি এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, সংরক্ষণ, ভৌত অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে বহু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের বর্তমান কার্যক্রম আশানুরূপ নয়। ডিসিসির ৯২টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরসহ মোট ১২৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। নাগরিক সেবা কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় ও যথাযথ পর্যায়ে উন্নীত করতে ডিসিসিকে দুটি সিটি করপোরেশনে বিভক্ত করা আবশ্যক।
বুধবার বিলটি উত্থাপনের সময়ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব যুক্তিও তুলে ধরেন। একই বিলের উদ্দেশ্য এবং কারণ সংবলিত বিবৃতিতেও বলা রয়েছে যে, বহুবিধ সমস্যা সমাধানের জন্যই ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। তবে বিলটি উত্থাপনের মধ্যেই তাৎক্ষণিকভাবে এর বিরোধিতা করেছিলেন স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিম।
ঢাকাকে ভাগ করার ক্ষেত্রে সরকার নানা যুক্তি দিলেও এসব যুক্তিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে বলে ডিসিসিকে দুই ভাগ করলে ভালো হবে_ এমন একটা কথা বলা হচ্ছে। একটাতেই টাকা নয়-ছয় হচ্ছে। দুই ভাগ করা হলে তো নয়শ-ছয়শ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনিক খরচ বহুগুণ বাড়বে। এতে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, ডিসিসিকে দুই ভাগ করা হবে_ এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল না। দুই ভাগ করা হবে কি-না_ সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকার কমিশন করতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। হঠাৎ করে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকাবাসীর সভাপতি সাকুর সালেক সমকালকে বলেন, সরকার জনমত যাচাই করে দ্বিখণ্ডের সিদ্ধান্ত নিতে পারত। তা না করায় ইস্যুটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হচ্ছে। জনগণের সেবার মান না বাড়িয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত পুরান ঢাকাসহ পুরো শহরের নাগরিকরা মেনে নেবে না।
ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী। বৃহস্পতিবার লালবাগে দলের সভায় তিনি এ হুমকি দেন। আমিনী বলেন, ঢাকা বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড। এক দেশে একাধিক শাসক থাকতে পারে না, এক শহরে একাধিক মেয়রও থাকতে পারেন না। এতে শুধু বিশৃঙ্খলাই সৃষ্টি হবে, রাজধানীর কোনো উন্নয়ন হবে না।

ডিসিসি দু'ভাগের বিপক্ষে বিএনপি : ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগে ভাগ করার বিপক্ষে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। মন্ত্রিসভায় এ সিদ্ধান্তের পরই প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। সংসদে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপনের পর দলীয় নেতাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে জটিলতা বাড়বে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বৃহস্পতিবার ডিসিসি দুই ভাগে ভাগ করার বিল সংসদে উত্থাপনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ডিসিসিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান আদালতের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ডিসিসিকে ভাগ করার আইনে বলা হচ্ছে যতদিন নির্বাচন না হবে ততদিন প্রশাসক থাকবে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আদালত রায়ে বলেছেন, এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ বিষয়ে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেন, এটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। এতে নগরের উন্নয়ন হবে না, বরং জটিলতা বাড়বে। তিনি বলেন, ঢাকা সিটিকে মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট করা উচিত। তা না করে সিটিকে দুই ভাগ করলে লাভ হবে না।

No comments

Powered by Blogger.