সিআইএ কর্মীদের ব্যাপারে মার্কিন দূতকে জেরা করবে লেবানন-১২ এজেন্ট আটকের দাবি ইরানের

লেবাননে সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) কর্মীদের শনাক্ত করেছে শিয়াপন্থী রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহ। এ ঘটনার ব্যাখ্যা চাইতে হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত সরকার বৈরুতে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে তেহরান জানিয়েছে, ইরান থেকে সিআইএর ১২ এজেন্টকে আটক করা হয়েছে।লেবাননের কৃষিমন্ত্রী হুসেইন হাজ হাসান গত বুধবার বলেন, মন্ত্রিসভা মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরা কনেলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবের


সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। হাসান পার্লামেন্টে হিজবুল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন। লেবাননের ১২৮ আসনের পার্লামেন্টে হিজবুল্লাহর আসন ৩০টি। সরকারে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
হাসানের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, দলে অনুপ্রবেশকারী সিআইএ সদস্যদের শনাক্ত করেছে তারা। এ ঘটনায় মার্কিন দূতাবাসের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। হিজবুল্লাহর এমপি এবং পার্লামেন্টে টেলিযোগাযোগ কমিটির প্রধান হাসান ফাদলাল্লাহ বলেন, 'লেবাননের গোয়েন্দারা মার্কিন ও ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের পরাজিত করেছেন। একে গুপ্তচরবৃত্তির লড়াই হিসেবে অভিহিত করা যায়। আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কয়েকটি ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিয়েছে।' এর আগে সপ্তাহের শুরুর দিকেও সিআইএর কয়েকজন এজেন্টকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করে হিজবুল্লাহ।
১৯৮০-এর দশকে হিজবুল্লাহ গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম এ ধরনের দাবি জানাল শিয়া গোষ্ঠীটি। তাদের প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ গত জুনে দাবি করেন, ইসরায়েল তাঁর দলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার দারস্থ হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বৈরুতের মার্কিন দূতাবাসটি 'গোয়েন্দাদের আখড়ায়' পরিণত হয়েছে। তবে মার্কিন দূতাবাস এ অভিযোগকে 'অন্তসারশূন্য' বলে বাতিল করে দিয়েছে।
২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তিকে লেবানন আটক করেছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘেও অভিযোগ করেছে বৈরুত।
এদিকে ইরানি পার্লামেন্টের প্রভাবশালী সদস্য পারভিজ সোরৌরি গত বুধবার জানিয়েছেন, তাঁর দেশে সক্রিয় সিআইএর অন্তত ১২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা আইআরএনএ পররাষ্ট্রনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক শক্তিশালী কমিটির সদস্য সোরৌরির বরাত দিয়ে জানায়, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থার সহায়তা নিয়ে এরা কাজ করছিল। এদের লক্ষ্য ছিল দেশের সামরিক ও পরমাণু প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহ। সূত্র : এএফপি, এপি।

No comments

Powered by Blogger.