কাজে যোগ দিতে পারছেন না পাঁচ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী!-তিন বছর পর উৎপাদনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ টেক্সটাইল মিল by জাহাঙ্গীর হোসেন,

তিন বছর বন্ধ থাকার পর আবারও উৎপাদন শুরু করেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ টেক্সটাইল মিল। তবে প্রাথমিকভাবে কাজে যোগদানের সুযোগ পাচ্ছেন না আগে কর্মরত পাঁচ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী! এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।গতকাল বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে মিলটির উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী


কেরামত আলী। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিরউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক সৈয়দা সাহানা বারী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস, গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান হাসান ইমাম চৌধুরী, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান আহমেদ, মিলের নির্বাহী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন, পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ফারুক আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি জানান, মালিক পক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত খসড়া চুক্তির ৩ নং কলামে বাদ পড়া ও অক্ষম শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে যোগদানের সুযোগ রাখা হয়নি। তিনি আরো জানান, শুরুতে মাত্র ৭০ জন শ্রমিক কাজে যোগদানের সুযোগ পেয়েছেন। বন্ধ থাকা অবস্থায় ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদের পর্যায়ক্রমে যোগদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এসব শ্রমিক-কর্মচারী প্রায় দুই কোটি টাকা প্রফিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুয়িটি পাওনা রয়েছেন।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজির আহমেদ জানান, পর্যায়ক্রমে সক্ষম সব শ্রমিককে পুনরায় নিয়োগ এবং তাঁদের পাওনা পরিশোধের ইচ্ছা রয়েছে। এ জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে বলে তিনি জানান। আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা মিলের উৎপাদন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ১ সেপ্টেম্বর ৪৫ দিনের নোটিশ টানিয়ে মালিক পক্ষ মিলটি বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে মিলটি চালু করাসহ আগের বেতন-ভাতা ও গ্রাচ্যুয়িটি ফান্ডের টাকা পাওয়ার দাবিতে বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মানববন্ধন, শ্রম মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ নানা স্থানে স্মারকলিপি দেন।

No comments

Powered by Blogger.