সোহাগ-নিসা : রোমান্টিক নাচের জুটি by সৌরভ রাহমান।
বর্তমান সময়ের আলোচিত নৃত্যজুটি সোহাগ-নিসা। অল্প সময়ে এই জুটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দুই শতাধিক দ্বৈত নাচ উপহার দিয়েছেন দর্শককে। ইতিমধ্যে তাঁরা পরিচিতি পেয়েছেন রোমান্টিক জুটি হিসেবে। এই জুটি সম্পর্কে লিখেছেন সৌরভ রাহমান।নিসার নাটকের শুটিং এবং ইভান শাহরিয়ার সোহাগের নাচ নিয়ে ব্যস্ততার কারণে দুজনকে একসঙ্গে পাওয়া মুশকিল। রবিবার নিসার নাটকের শুটিং নেই। সন্ধ্যা থেকে সোহাগের রামপুরার বাসায় বিজয় দিবস উপলক্ষে
বিটিভির বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠানের জন্য একটানা অনুশীলন। সেখানে পাওয়া গেল দুজনকে একসঙ্গে। দরজা খুলতেই মিষ্টি হেসে অভিবাদন জানালেন দুজনে। একঝাঁক নৃত্যশিল্পীর মাঝে নৃত্যপরিচালকের ভূমিকায় ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে সমবেত নাচের তালে প্রকম্পিত প্রায় ছোট্ট কক্ষটি, যাকে বলে একেবারে ঘাম ঝরানো অনুশীলন। নাচের অনুশীলন দেখে মুগ্ধতার রেশ কাটতে না কাটতেই তাঁদের বিরতি নেওয়ার সময় হলো। আমাকে নরম বিছানায় বসতে দিয়ে দুজনে বসে পড়লেন আস্ত একটা শক্ত ফ্লোরের ওপর। পাখার হাওয়ায় সামনের দিকে আঁচড়ানো সোহাগের লম্বা চুলগুলো আরো সামনে নেমে এল। নিসা বললেন, 'জানেন, সোহাগ ভাইয়ের চুল আচড়ানোর এই স্টাইল, পোশাক নির্বাচন আমার একেবারে অপছন্দ ছিল।' তাহলে জুটি বাঁধলেন কী করে? প্রশ্নের উত্তরের জন্য কিছুক্ষণের জন্য নিসা স্মৃতিশক্তির দ্বারস্থ হলেন। স্মৃতি হাতড়ে বললেন, ''বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সার্ক সম্মেলনে সোহাগ ভাইয়ের পরিচালনায় একটি সমবেত নাচে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয় আমার। সমবেত নাচে সোহাগ ভাইও অংশ নিয়েছিলেন। প্রথম নাচেই আমি তাঁর প্রতিভার পরিচয় পাই। এরপর এসটিভির আমন্ত্রণে আমরা 'নিশীথে যাইও ফুলবনে' রোমান্টিক গানটির সঙ্গে দ্বৈত নাচে অংশগ্রহণ করি। আমরা এর আগে অনেকের সঙ্গে দ্বৈত নাচ করেছি, কিন্তু এতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনি। নৃত্যবোদ্ধা, অনুষ্ঠান নির্মাতা, দর্শক এবং পরিচিতজনদের কাছেও আমাদের নাচ প্রশংসিত হয়। ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হয়। আমরা জুটিবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।'' ছয় বছর আগে সোহাগ-নিসা জুটির পথচলা শুরু হয়। ইতিমধ্যে তাঁরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দুই শতাধিক দ্বৈত নাচ উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এই খণ্ডনাচগুলোর অধিকাংশেরই অনুষঙ্গ ছিল রোমান্টিক গান। ফলে তাঁরা রোমান্টিক জুটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। অভিনয়ে নিসার ব্যস্ততা বাড়লেও তাঁদের জুটিতে প্রভাব পড়েনি। সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন নাচ এবং অভিনয়। টিভি চ্যানেল ছাড়াও বিভিন্ন দিবস এবং অনুষ্ঠানের মঞ্চে সোহাগ-নিসা জুটির নাচ এখন নিয়মিত বিষয়। খণ্ডনাচ ছাড়াও 'রাধার মানভঞ্জন', 'রক্তলাল অহংকার' এবং 'নকশীকাঁথা'র নৃত্যনাট্যেও প্রধান পাত্র-পাত্রীর ভূমিকায় ছিলেন তাঁরা। এই জুটির খণ্ডনাচগুলোর মতো নৃত্যনাট্যগুলোর পরিচালকও সোহাগ। নৃত্য পরিচালক হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন সোহাগ। মার্কস অলরাউন্ডার, ভিট মডেল হান্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের নৃত্য প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি। বর্তমানে বাংলাভিশনের 'নাচো বাংলাদেশ নাচো' নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।
ইটিভি ও এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বৈশাখীর ওয়ালটন স্টার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের নৃত্য পরিচালনা করেছেন। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'ভুল' এবং মঞ্চনাটক 'শেষের কবিতা'র নৃত্য পরিচালকও তিনি। নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য সোহাগের নৃত্য কোরিওগ্রাফির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ জন্য অবশ্য তাঁকে সমালোচনার মুখোমুখিও হতে হয়েছে। সোহাগ বলেন, 'রবীন্দ্রসংগীতের অনুষঙ্গে নাচের ক্ষেত্রে পশ্চিমা পোশাক ব্যবহার করে সমালোচনা সইতে হয়েছে। গতানুগতিক মুদ্রা ভেঙে নতুনত্ব আনতে গিয়েও সমালোচিত হয়েছি। নতুনত্ব আনার জন্য প্রথা ভাঙছেন অনেকেই। তবে আমরা জুনিয়র বলে আমাদের ভাগ্যে শুধু সমালোচনাই জুটছে।' অপি করিম, ঈশিতা, রিয়া, মৌসুমী, পূর্ণিমা, ফারাহ রুমা, সজল, নীরব, মিমো ও শাহেদসহ প্রায় সব তারকাই নেচেছেন তাঁর কোরিওগ্রাফিতে। নিসা এখনো নৃত্য পরিচালনা শুরু করেননি। আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে পরিচালনায় আসার ইচ্ছা তাঁর। নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন 'নৃত্যভূমি'র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ ও নিসা। প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষকও সোহাগ। সময় পেলে নিসাও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনে আছেন ১০০ জন নিয়মিত নৃত্যশিল্পী। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনই নাচকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। নিসা বলেন, "অদূর ভবিষ্যতে 'নৃত্যভূমি'কে ড্যান্স কম্পানি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি, যেখানে নূ্যনতম ৩০০ জন পেশাদার নৃত্যশিল্পী থাকবেন।" নিসা ও সোহাগ দুজনই বুলবুল ললিতকলা একাডেমী এবং শিশু একাডেমীতে নাচ শিখেছেন। নাচকে আরো দর্শকপ্রিয়, আরো নতুন ও বৈচিত্র্যময় করে তোলার ইচ্ছা আছে তাঁদের। তাই শিগগিরই আমেরিকান ক্লাবে সালসা, সাম্বা প্রভৃতি লাতিন ড্যান্স শিখতে যাচ্ছেন তাঁরা। আরো একটি বড় সুসংবাদ শোনালেন সোহাগ ও নিসা_রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চিত্রাঙ্গদা' নৃত্যনাট্যকে 'রাজেন্দ্রনন্দিনী' নামে নতুন রূপে রূপ দিতে যাচ্ছেন তাঁরা। প্রযোজনা করবে 'নৃত্যভূমি'। নৃত্যনাট্যটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আর প্রধান পাত্র-পাত্রীর ভূমিকায়ও থাকছেন সোহাগ ও নিসা।
ইটিভি ও এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বৈশাখীর ওয়ালটন স্টার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের নৃত্য পরিচালনা করেছেন। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'ভুল' এবং মঞ্চনাটক 'শেষের কবিতা'র নৃত্য পরিচালকও তিনি। নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য সোহাগের নৃত্য কোরিওগ্রাফির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ জন্য অবশ্য তাঁকে সমালোচনার মুখোমুখিও হতে হয়েছে। সোহাগ বলেন, 'রবীন্দ্রসংগীতের অনুষঙ্গে নাচের ক্ষেত্রে পশ্চিমা পোশাক ব্যবহার করে সমালোচনা সইতে হয়েছে। গতানুগতিক মুদ্রা ভেঙে নতুনত্ব আনতে গিয়েও সমালোচিত হয়েছি। নতুনত্ব আনার জন্য প্রথা ভাঙছেন অনেকেই। তবে আমরা জুনিয়র বলে আমাদের ভাগ্যে শুধু সমালোচনাই জুটছে।' অপি করিম, ঈশিতা, রিয়া, মৌসুমী, পূর্ণিমা, ফারাহ রুমা, সজল, নীরব, মিমো ও শাহেদসহ প্রায় সব তারকাই নেচেছেন তাঁর কোরিওগ্রাফিতে। নিসা এখনো নৃত্য পরিচালনা শুরু করেননি। আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে পরিচালনায় আসার ইচ্ছা তাঁর। নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন 'নৃত্যভূমি'র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ ও নিসা। প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষকও সোহাগ। সময় পেলে নিসাও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনে আছেন ১০০ জন নিয়মিত নৃত্যশিল্পী। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনই নাচকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। নিসা বলেন, "অদূর ভবিষ্যতে 'নৃত্যভূমি'কে ড্যান্স কম্পানি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি, যেখানে নূ্যনতম ৩০০ জন পেশাদার নৃত্যশিল্পী থাকবেন।" নিসা ও সোহাগ দুজনই বুলবুল ললিতকলা একাডেমী এবং শিশু একাডেমীতে নাচ শিখেছেন। নাচকে আরো দর্শকপ্রিয়, আরো নতুন ও বৈচিত্র্যময় করে তোলার ইচ্ছা আছে তাঁদের। তাই শিগগিরই আমেরিকান ক্লাবে সালসা, সাম্বা প্রভৃতি লাতিন ড্যান্স শিখতে যাচ্ছেন তাঁরা। আরো একটি বড় সুসংবাদ শোনালেন সোহাগ ও নিসা_রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চিত্রাঙ্গদা' নৃত্যনাট্যকে 'রাজেন্দ্রনন্দিনী' নামে নতুন রূপে রূপ দিতে যাচ্ছেন তাঁরা। প্রযোজনা করবে 'নৃত্যভূমি'। নৃত্যনাট্যটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আর প্রধান পাত্র-পাত্রীর ভূমিকায়ও থাকছেন সোহাগ ও নিসা।
No comments