শ্রীলংকা এখন নিরাপদ দেশ-সাক্ষাৎকার by সরথ আমানুগামা

মকাল : আমার প্রথম প্রশ্নটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত। ২৫ মার্চ, ১৯৭১ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র জনগণের ওপর সর্বাধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিষ্ঠুর গণহত্যা শুরু করে এবং তা চলে ডিসেম্বরে তাদের আত্মসমর্পণ পর্যন্ত। সে সময়ে নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক বিমান সোজাপথে পূর্ব পাকিস্তানে আসতে পারত না। এ অবস্থায় পশ্চিম


পাকিস্তানের বিমান ঢাকায় আসত অনেক ঘুরে শ্রীলংকা হয়ে, যেখানে তারা কলম্বো বিমানবন্দরে জ্বালানি সুবিধা গ্রহণ করত। শ্রীলংকা এ সুবিধা প্রদান না করলে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযজ্ঞের সময়কাল আরও সংক্ষিপ্ত হতে পারত বলে অনেকের অভিমত। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?
সরথ : সে সময় পাকিস্তানের সঙ্গে শ্রীলংকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল এবং পূর্ব পাকিস্তান ছিল পাকিস্তানের অংশ। এর বাধ্যবাধকতার কারণে পাকিস্তানি বিমান শ্রীলংকায় জ্বালানি ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করতে পেরেছে। একটি সার্বভৌম দেশের সঙ্গে আরেকটি সার্বভৌম দেশের সম্পর্কের ভিত্তিতেই এটা করা হয়েছে। তবে সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীলংকা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সুন্দর দেশটির সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক বাড়াতে চাই।
সমকাল : কিন্তু শ্রীলংকার বিমানবন্দরের সুবিধা ব্যবহার করে পাকিস্তানি বিমানে সৈন্য আনা হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশে গণহত্যায় অংশ নিয়েছে...
সরথ :বিদ্যমান প্রটোকল সুবিধা ব্যবহার করেই পাকিস্তান এ সুবিধা পেয়েছে। সে সময়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শ্রীলংকা কোনো যুদ্ধ ঘোষণা করেনি, কিংবা সম্পর্কও তিক্ত ছিল না। তা ছাড়া ঢাকায় পাকিস্তানি বিমানে করে বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি সৈন্যও আনা হয়েছে বলে কেউ কেউ বলছেন, তবে তারাও কিন্তু এসেছে বেসামরিক নাগরিক হিসেবে। এ কারণে শ্রীলংকা সরকার তাতে বাধা দিতে পারেনি। আমি আবারও বলছি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কিন্তু শ্রীলংকা খুব দ্রুতই মেনে নিয়েছে। এখন দুটি দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে।
সমকাল : সে সময়ে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদ হয়েছে। পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা প্রদানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। একাধিক দেশের সরকার তা অনুসরণও করেছে। কিন্তু আমাদের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশ হয়েও শ্রীলংকা সরকার কেন সে পথে গেল না?
সরথ : আমি আগেই বলেছি, কলম্বো সরকার কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও আমাদের ধারণা স্পষ্ট ছিল না। আমাদের দুই দেশের বন্ধন দীর্ঘদিনের। বাংলায় প্রচলিত অনেক শব্দ সিংহলি ভাষাতেও চালু রয়েছে। দুই ভাষাতেই সাগর, চন্দ্রিকা, সুনেত্রা, ললিত প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়।
সমকাল : দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক খুব বেশি নয়_ ২০১০-১১ অর্থবছরে শ্রীলংকা বাংলাদেশে রফতানি করেছে ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের পণ্য এবং বাংলাদেশ সেখানে রফতানি করেছে ৩ কোটি ৪৭ কোটি ডলারের পণ্য। এ অবস্থার পরিবর্তন কীভাবে হতে পারে?
সরথ : বাণিজ্যের পরিমাণ দ্রুত বাড়াতে হবে। যোগাযোগও বাড়াতে হবে। আধুনিক বিশ্বে কানেকটিভিটির বিকল্প নেই। বর্তমানে ঢাকা থেকে কেউ কলম্বো যেতে চাইলে মূলত দিলি্ল বা ব্যাংকক হয়ে যেতে হয়। শ্রীলংকার বিমান সপ্তাহে দু'বার ঢাকায় আসা-যাওয়া করে। বাংলাদেশ বিমানও ঢাকা-কলম্বো রুটে তাদের ফ্লাইট চালু করবে বলে আশা করছি। যাতায়াত বাড়লে ব্যবসা ও পর্যটনও বাড়বে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রীলংকার কয়েকটি কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে। বস্ত্র খাতে সম্পর্ক আরও বাড়তে পারে। ঢাকায় শ্রীলংকার একটি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। শ্রীলংকায়ও বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক শাখা খুলতে পারে।
সমকাল : গৃহযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানের পর শ্রীলংকার অর্থনৈতিক চিত্র কেমন?
সরথ : আমাদের দেশ দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন প্রভৃতি খাতে আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আমাদের দেশ ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং এ কারণে খাদ্যজনিত মূল্যস্ফীতি নেই। তবে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয় এবং বিশ্বে এ পণ্যের মূল্য খুব বেশি। ফলে দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দামেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বর্তমানে শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশ। দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করায় রফতানি খাত চাঙ্গা হচ্ছে, আমদানিও বাড়ছে। সব মিলিয়ে বলতে পারেন, আমাদের সুন্দর দেশটিতে সর্বত্র এখন প্রাণচাঞ্চল্য।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহণ ব্যাপক। শিক্ষায়ও নারী-পুরুষে সমতা। রাজনীতিতেও নারীর পদচারণা ব্যাপক। তারা রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ অলঙ্কৃত করছেন। জনগণ তাদের নির্বাচিত করছে। জেন্ডার সমতা বলতে যা বোঝায়, শ্রীলংকায় সেটা পুরোপুরি রয়েছে। দারিদ্র্য পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটছে। দেশে অস্থিরতা বিরাজ করলে সবচেয়ে বড় খেসারত দেয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
সমকাল : শ্রীলংকা এখন আর স্বল্পোন্নত দেশ নয়। এটা বড় অর্জন। যুদ্ধের ক্ষত এখনও শুকায়নি যে দেশে, সে দেশটি আপন শক্তিতে জেগে উঠছে কীভাবে?
সরথ : নিঃসন্দেহে গৌরবের অর্জন। তবে স্বল্পোন্নত দেশের অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসার একটি সমস্যার দিকও রয়েছে। আমরা এখন আর আন্তর্জাতিক ডোনারদের কাছ থেকে সহজ শর্তে ঋণ-অনুদান পাই না। বাণিজ্য খাতে সুবিধাও কমে গেছে। বলতে পারেন, এটা হচ্ছে উন্নত হওয়ার খেসারত। ইউরোপে পণ্য রফতানি করলে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায়_ অর্থাৎ তারা বাংলাদেশি পণ্যে কোনো আমদানি শুল্ক ধার্য করে না। কিন্তু শ্রীলংকার পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেলে শুল্ক দিতে হয়। ফলে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারি না। এ অবস্থায় শ্রীলংকা থেকে কেবল বিশেষ ধরনের পণ্য উৎপাদকরাই ইউরোপের বাজারে যেতে পারছে এবং ছোট উৎপাদকরা টিকতে পারছে না। তবে এ ধরনের অনেক উদ্যোক্তা এখন বাংলাদেশে আসতে এবং এখানে কারখানা স্থাপন করে তা থেকে উৎপাদিত পণ্য রফতানি করতে আগ্রহী। চীনের পরিস্থিতির ওপরও আমরা নজর রাখছি। সেখানে মজুরি হার বাড়ছে। চীনের মুদ্রাও তেজি হচ্ছে। ফলে রফতানির জন্য উৎপাদিত পণ্যের দাম বেশি পড়ছে। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা উভয় দেশই এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। বাংলাদেশে তারা কারখানা স্থাপন করবে এবং তৃতীয় দেশে রফতানি হবে। তবে এটা কীভাবে করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা।
সমকাল : সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেও কিন্তু পারস্পরিক বাণিজ্য কম। তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক দূরের দেশগুলোর সঙ্গেই বেশি। এ পরিস্থিতির কি পরিবর্তন সম্ভব?
সরথ :এ অঞ্চলে ভারত হচ্ছে সবচেয়ে উন্নত। তাদের রয়েছে ৫০ কোটি মধ্যবিত্ত। এ বাজার অনেক বড়। বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষের ক্রয়ক্ষমতা রয়েছে। তারা বাজার খুলে দিলে আশপাশের প্রতিটি দেশ সুফল ভোগ করতে পারবে। রাজনৈতিক সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটবে। তাদের দেশে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থনীতিতে দ্রুত উন্নতি ঘটছে। তারা শুল্ক সুবিধা প্রদান করলে সব দেশই এগিয়ে যেতে পারবে। এ জন্য তাদের উদার হতে হবে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, আমাদের মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করতে হবে এবং দামের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। ভিয়েতনাম কিন্তু এখন এটাই করছে। চীনও এ পথেই উন্নত হয়েছে। আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে_ রাজপথের শৃঙ্খলা বজায় রাখা। বিনিয়োগকারীরা বিশৃঙ্খলাকে দারুণ ভয় পায়। যখন-তখন রাজপথে শ্রমিকরা নেমে এলে উদ্যোক্তারা হাত গুটিয়ে থাকে। বাংলাদেশকেও এ বিষয়টির প্রতি বাড়তি নজর দিতে হবে। কেবল সস্তা শ্রম বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য যথেষ্ট নয়।
সমকাল : শ্রীলংকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখন কেমন?
সরথ : আমরা সন্ত্রাসবাদ চিরতরে নির্মূল করেছি। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বহু বছর যে দেশে সহিংসতা চলেছে তা এখন বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে। এখন আর বোমায় প্রকম্পিত হয় না কলম্বো কিংবা অন্য কোনো শহরের রাজপথ। পাকিস্তান, ভারত এমনকি নেপাল সম্পর্কে আমরা ঠিক এভাবে কথা বলতে পারি না। বাংলাদেশও নিরাপদ। আমাদের দুই দেশে সংঘাতের অবস্থা বিরাজ করে না। কলম্বো কিংবা অন্য কোনো শহর বা গ্রামে চলাচলে কেউ আর অনিরাপদ বোধ করে না। বিনিয়োগকারীরা এমন পরিস্থিতিই চায়। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি। এ ধারা বজায় রাখতে হলে এমন পরিবেশই প্রয়োজন। আমরা আশা করব, এ অঞ্চলের কোনো দেশ যেন অন্য কোনো দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপ না করে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো না থাকার খেসারত আমরা ৩০ বছর দিয়েছি। এ অবস্থায় আর ফিরে যেতে চাই না। কারণ তাতে অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়তে হয়। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সমস্যা থাকলে তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে।
সমকাল : শ্রীলংকায় পড়াশোনার জন্য খরচ সরকার কতটা বহন করে?
সরথ : বিশ্বে খুব কমসংখ্যক দেশের একটি শ্রীলংকা, যেখানে পড়াশোনার জন্য ছাত্রছাত্রীদের অর্থ ব্যয় করতে হয় না। ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে বই দেওয়া হয়, ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত দেওয়া হয় ইউনিফর্ম। বিশ্বের সর্বত্র আমাদের 'ও-এ লেভেল' কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের সমাদর রয়েছে। শ্রীলংকায় পিএইচডি কোর্স করতেও কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। সব দায় সরকার নিয়েছে। যাতায়াতসহ আরও অনেক খাতে রয়েছে সরকারের ভর্তুকি।
সমকাল : সম্প্রতি শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা ঢাকা সফরে এসেছিলেন। সিপিডি আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি নিজ দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
সরথ : এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ করা উচিত নয় যে শ্রীলংকায় গণতন্ত্র রয়েছে। সেখানে নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এভাবেই ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে। এমনকি তামিল অধ্যুষিত এলাকায়ও নির্বাচন হয়েছে। একসময় এলটিটিইর সঙ্গে যুক্তরাও মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। আমাদের দেশ এখন ঐক্যবদ্ধ এবং বিশ্ববাসী সেটা দেখছে। সন্ত্রাসের সময়কে আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বর্তমান সরকারকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। আমি চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার মন্ত্রিসভায় কাজ করেছি। তিনি ক্ষমতাসীন দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো অভিমত কিংবা সমালোচনা থাকলে দলীয় ফোরামে তা বলতে পারেন। ব্যক্তিগত ক্ষোভের অন্যত্র প্রকাশ কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে এটাও মনে রাখা দরকার, বিশ্বের সর্বত্রই ক্ষমতাসীনরা সাবেক হয়ে যাওয়ার পর কিছু অভিযোগ-অনুযোগ করে থাকেন।
সমকাল : শ্রীলংকায় বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিদেশিদের ভিসা দেওয়া হতো। কিন্তু সম্প্রতি এ সুবিধা তুলে দেওয়া হয়েছে। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো?
সরথ : অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালুর ফলে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে এবং তার সুফল অর্থনীতিতেও পড়ছিল। তবে এ কারণে কোনো কোনো দেশ থেকে অনেক অবৈধ শ্রমিকও প্রবেশ করছিল, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের পছন্দ নয় এবং তারা আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার দাবি করছে। আমি বলতে চাই, ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়, সরকার প্রয়োজনে তার অবস্থান বদলাতে পারে। তবে এ জন্য সময় দরকার এবং যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর। আমাদের দেশে প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসছেন এবং তা আরও বাড়াতে চাই। তাদের জন্য যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে শ্রীলংকা সরকার সবকিছু করবে। আমরা বছরে ২৫ লাখ পর্যটক চাই। বাংলাদেশও যেন পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়, এটাও কাম্য।
সমকাল : সাক্ষাৎকার প্রদানের জন্য ধন্যবাদ।
সরথ : সমকালের পাঠকদের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
 

No comments

Powered by Blogger.