চিঠিপত্র-বেফাঁস কথা

মন বেফাঁস কথা আর কত শুনতে হবে? নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আসলে কী চান তা তিনি খোলাসা করে বললে জাতি হুশিয়ার হয়ে চলতে পারত। প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি আদৌ জনগণের হৃদকম্পন বুঝতে সক্ষম? প্রতিদিন এত লেখালেখি, বাদ-প্রতিবাদ হচ্ছে দেশজুড়ে। এসবের ভাষা বুঝতে পারছেন না। বুঝতে পারছেন এত গুরুত্বপূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এভাবে তিনি উপেক্ষা করবেন কেন? মন্ত্রী হয়ে এখনও তিনি পরিবহন


শ্রমিক নেতা। তিনি বাংলাদেশে শুধু অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন প্রায় ৩০ হাজার লোককে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করতে চাইছেন কেন! বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের 'কম খান' এবং মিশুক মুনীর, তারিক মাসুদ হত্যাকাণ্ডে যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের মমতাহীন উচ্চারণ সমগ্র দেশের মানুষকে হতাশ করেছে। শেয়ারবাজার ধস এবং ব্যর্থতা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কথা 'ক্ষুদ্র বিনিয়োগ আন্দোলনকারীরা ফটকাবাজ'। গত সরকারের আমলে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত শিশুর মৃত্যু নিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেনও 'আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়েছে' বলে উপহাস করেছিলেন। তাদেরও ছিল এমন হাজারো অনিয়ম, দুর্নীতি। তার জবাব জনগণ গত নবম সংসদের ভোটে ভালোভাবেই দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পর মানুষ শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিল ইতিহাস গড়ার। এখন ভাবছে উল্টোটা। সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাটে অতীতের চেয়ে এখন বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মাইনুল আমিন
সধরহঁষধসরহ৭১@ুধযড়ড়.পড়স
সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি
নানা পরীক্ষা আর গবেষণার পর মাধ্যমিক স্তরে সরকার চালু করল সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি। শিক্ষার্থীদের মেধার স্বাভাবিক বিকাশ ঘটাতে সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। সে সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, কোনো পদ্ধতি প্রয়োগের মাত্রা যেন এমন না হয় যা মেধা বিকাশের পথে অন্তরায়। কারণ এই পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের খুব বেশি ধারণা নেই। এমনকি শিক্ষকদেরও খুব একটা ধারণা নেই। আগে শিক্ষার্থীরা গাইডবইয়ের কিছু প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করে পরীক্ষার কক্ষে গিয়ে খাতায় লিখে দিত। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের পরিসীমা তাদের মুখস্থের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতির ফলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের মেধাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাচ্ছে এবং এর ফলে মেধার সুষ্ঠু বিকাশ হচ্ছে। এখনও কিছু প্রকাশনা থেকে গাইড বই বের হচ্ছে, তা প্রতিহত করতে হবে। সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারের ফলে ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত পড়াশোনা করছে এবং তারা মুখস্থবিদ্যা থেকে বিরত থাকতে পারছে। তাই এই পদ্ধতি সম্পর্কে কাগজ-কলমে নয়, বাস্তবিকভাবে পুরো বিষয়টি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজমান অজ্ঞানতা, উৎকণ্ঠা দূর করতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি।
মোঃ মাইন উদ্দিন সোহাগ
শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর
দেবীদ্বারে ক্লিনিক ব্যবসা
দেবীদ্বারে বেসরকারি ক্লিনিকের ব্যবসা জমজমাট। এসব প্রতিষ্ঠানের দালালরা কমিশনের ভিত্তিতে নিয়োজিত গ্রাম্য ডাক্তার ও প্রতিনিধির মাধ্যমে এবং সরকারি হাসপাতালের আশপাশে অবস্থান করে রোগীদের তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। অধিক অর্থের বিনিময়ে নিম্নমানের সেবা দেওয়ায় রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া কিছু কিছু ক্লিনিক সরকারি বিধি অনুযায়ী না চলার কারণে জনসাধারণ প্রতারিত হচ্ছে। গত এক দশকে দেবীদ্বারে গড়ে উঠেছে প্রায় ডজনখানেক ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল। দোতলা বা তিনতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। এগুলোতে ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন, পর্যাপ্ত নেবুলাইজার, লাইফ সাপোর্ট ও অ্যাম্বুলেন্স না থাকলেও বিভিন্ন পোস্টার, প্রচার মাধ্যম ও মাইকিং করে জটিল রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ২৪ ঘণ্টা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই চলছে অধ্যয়নরত, ইন্টার্নি এবং কল ডাক্তারের মাধ্যমে। এছাড়া বর্জ্য পোড়ানোর সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় রোগ জীবাণুযুক্ত আবর্জনা টোকাইদের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রিপ্যাক হয়ে আবার নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো ব্যবহার করে জনসাধারণ নতুন করে রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলে, তার ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।
মোঃ আলমগীর
মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার
দেবীদ্বার, কুমিল্লা
 

No comments

Powered by Blogger.