সুনামগঞ্জে বাঁধ সংস্কারে দুর্নীতি হয়েছিল
সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধ সংস্কারে দুর্নীতি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। মন্ত্রী বলেন, 'গত বছর বাঁধ নির্মাণে কিছু অনিয়ম হয়েছে। এজন্য আমরা ঠিকাদারদের ৫০ শতাংশ বিল আটকে দিয়েছি।' তিনি জানান, এবারও কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খলিলুর রমানের নেতৃত্বে একটি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সময় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, 'জলবায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলে এবার পানির ওভার ফ্লো হয়েছে। এক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডোর কিছুই করার ছিল না।'
তিনি বলেন, 'বাঁধের উচ্চতার চেয়ে এবার পানির ঢলের উচ্চতা বেশি। এজন্য বন্যার পানি ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এ বছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় দেড় ফুট উঁচু দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে বাঁধের উচ্চতা ৫/৬ ফুট।' পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, 'এ বছর নতুন বাঁধ নির্মাণ ও পুরাতন বাঁধ মেরামতে ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। আর এ ২২ কোটি টাকার মধ্যে ৯ কোটি টাকা কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে। এখানেও কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সংবাদপত্রে দেখেছি মেঘালয় থেকে আসা পানিতে ইউরেনিয়াম আছে। সেই পানি হাওরের পানিতে মিশে গেছে। পরমাণু শক্তি কমিশন পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। তাদের প্রতিবেদনের ওপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'
No comments