কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিলেন কুয়াকাটায় বনভোজনে
পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় অংশ নেয়ার বদলে কেন্দ্রীয় নেতারা কুয়াকাটায় বনভোজনে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ২২ এপ্রিল শনিবার সকালে অন্তত এক ডজন কেন্দ্রীয় নেতা ঢাকা থেকে পটুয়াখালীতে এসে প্রতিনিধি সভায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসভাপতি রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার ছরোয়ার হোসেন, কর্নেল (অব.) শাহজাহান ও মেজর (অব.) মিজানুর রহমান সড়কপথে পটুয়াখালীতে পৌঁছে শহরে প্রবেশ না করে কুয়াকাটায় আয়োজন করা বনভোজনে অংশ নেন বলে জানান জেলা বিএনপির এক নেতা। ২২ এপ্রিল শনিবার পটুয়াখালী জেলা বিএনপির বিবদমান কয়েকটি গ্রুপের নেতারা একই স্থানে প্রতিনিধি সভা আয়োজনের লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে তিন-চারটি লিখিত আবেদন করে সার্বিক সহযোগিতা চান। বিবদমান গ্রুপের একই স্থানে জনসভা সাংঘর্ষিক ভেবে বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা দেন। শুক্রবার বিকাল থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নিজ বাসভবন সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং সাধারণ যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন এবং সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পটুয়াখালী বিএনপির আহ্বান করা প্রতিনিধি সভায় অংশ নিতে সড়কপথে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীতে আসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসভাপতি রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার ছরোয়ার হোসেন, কর্নেল (অব.) শাহজাহান ও মেজর (অব.) মিজানুর রহমান। প্রশাসনের নজরদারি এবং ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে- এমন সংবাদ শুনে পটুয়াখালী-বরিশাল সড়কের চৌরাস্তা থেকেই ওই চার নেতা কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা হন। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ রব মিয়া জানান, পুলিশের বাধায় কেন্দ্রীয় চার নেতা পটুয়াখালীতে এসেও শহরে প্রবেশ করতে পারেননি। তাই তারা কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
তবে চৌরাস্তা মহাসড়ক এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি বলে জানা গেছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় চার নেতাকে পুলিশি বাধা দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু সরকার কুট্টি জানান, বিধি মোতাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা এই প্রতিনিধি সভার আয়োজন করেননি। গলাচিপা-দশমিনা ও পটুয়াখালী সদরে বিএনপির কোনো কমিটি নেই। ফলে কোনোভাবেই নেতারা এ সভার আহ্বান করতে পারেন না। বর্তমান বিএনপির সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বিএনপিতে যোগ দিয়ে মাত্র ১০ বছরে এমপি, মন্ত্রী হয়েছেন। আর যারা জন্ম থেকে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের স্থান হয়নি কমিটিতে। যার জন্য পটুয়াখালী বিএনপির এই বেহাল দশা। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা কুয়াকাটায় বনভোজনে অংশ নিয়েছেন তা আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল। পটুয়াখালীর প্রতিনিধি সভা ছিল ব্যানার মাত্র। পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান জানান, সুরাইয়া ভবন এবং শেরেবাংলা রোডস্থ এলাকায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। চৌরাস্তা এলাকার সড়কে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেনি।
No comments