ফিরতেও পারেন ইউনুস
মিসবাহ-উল-হকের টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেয়ার দু’দিন পর একই ঘোষণা দেন পাকিস্তানের ব্যাটিং স্তম্ভ ইউনুস খান। এবার নতুন সুর তুলেছেন পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। জানিয়েছেন, দল ও বোর্ড চাইলে এখনই ব্যাট-প্যাড গুছিয়ে রাখবেন না, খেলা চালিয়ে যাবেন। কিছুদিন আগে টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ অবসর নেয়ার ঘোষণা দিলে ইউনুস জানিয়েছিলেন, প্রস্তাব পেলে নেতৃত্বে আগ্রহী তিনি। এর আগেও একাধিকবার জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। পরে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে খেলা চালিয়ে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষেই সাদা পোশাকে আর খেলবেন না বলে জানিয়ে দেন এই ডান-হাতি মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ৪২ বছর বয়সী মিসবাহ ও ৩৯ বছর বয়সী ইউনুস। দুই সিনিয়র ক্রিকেটার একই সঙ্গে বিদায় নিলে পাকিস্তান বিপাকে পড়বে। এমন চিন্তা থেকে ইউনুস জানিয়েছেন, ‘এটা ঠিক যে আমরা একসঙ্গে চলে গেলে দল বিপাকে পড়বে। আমি এ নিয়ে চিন্তা করেছি। এটা আমার দল আর বোর্ডের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তারা যদি মনে করে, আমাকে দলে প্রয়োজন, তাহলে আমি ক্যারিয়ার টেনে নিয়ে যাব। দলের সদস্যরা আর বোর্ডের মতো যদি আমার দেশের মানুষ আমাকে দলে দেখতে চায়, তাহলে কেন আমি অবসর নেব? এটা সম্পূর্ণই তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’ এদিকে মিববাহ বলেন, ‘আমি এ নিয়ে ইউনুসের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলেছি খেলা চালিয়ে যেতে। সে আরও দু’এক বছর খেলতে পারবে। নতুনদের দিয়ে তার জায়গা পূরণ হওয়ার নয়।
পাকিস্তান দল তাকে শুধু একজন ব্যাটসম্যান হিসেবেই হারাবে না, একজন উপদেষ্টা হিসেবেও মিস করবে। সে অন্যদের জন্য রোল মডেল। আর তার জায়গা পূরণ করাটা কঠিন। দলের প্রত্যেকের মতো আমিও ইউনুসের কাছে অনেক কিছু শিখতে পারছি। সে আমাদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ মুহূর্তেই পাল্টে দিতে পারে। ফিটনেস থাকলে তার আরও খেলে যাওয়া উচিত।’ পাকিস্তানের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১১৬ টেস্ট খেলছেন ইউনুস। ৫৩.০৬ গড়ে রান ৯,৯৭৭। ৩২টি অর্ধশতকের পাশাপাশি রয়েছে ৩৪টি সেঞ্চুরি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ২৬৫ ওয়ানডেতে ৩১.২৪ গড়ে ৭২৪৯ ও ২৫টি টি ২০-তে ২২.১০ গড়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪২ রান। ওয়ানডেতে সাতটি শতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৪৮টি অর্ধশতক। টি ২০-তেও রয়েছে দুটি ফিফটি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ইউনুসের নামের পাশে রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও করেছেন প্রায় দশ হাজার রান। সম্প্রতি ইউনুস খানের নাম ওঠে উইজডেনের বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের তালিকায়। ইউনুস খানের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০০ সালে, শ্রীলংকার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে। একই বছর ওয়ানডেতে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টি ২০ খেলছেন। টেস্ট চালিয়ে গেলেও ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর থেকে ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে নামেননি তিনি। ওয়েবসাইট।
No comments