স্বল্পমেয়াদী জাতের ধান উদ্ভাবনে হাওরের কান্না দূর করা সম্ভব : বাকৃবিতে কৃষি বিজ্ঞানীরা
সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে বাঁধ ভেঙে যাওয়া পানিতে তলিয়ে গেছে দেশের সব হাওর ও নিম্নাঞ্চলে ফসল। পানির নিচে পঁচে গেছে বোরো ধান। ধান পঁচা পানির বিষক্রিয়ায় মরে যাচ্ছে মাছ। এছাড়াও আগাম বন্যায়ও প্রতিবছর তলিয়ে যায় গরিব কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ধান। এ ধানগুলোর উৎপাদনে ৪ থেকে ৫ মাস সময় লাগে। উৎপাদনের এ সময়কে আরও কমিয়ে আনতে পারলে এসব এলাকার ধান রক্ষা করা সম্ভব হবে। গতকাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ ও চীনের মাঝে হাইব্রিড ধানের প্রযুক্তি সহযোগিতা প্রকল্পের প্রতিনিধিদের আলোচনা সভা ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিজ্ঞানীরা। দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় কনফারেন্স হলে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার আগে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব গবেষণা খামারের মাঠে প্রকল্পের আওতায় লাগানো ফসলের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ও চীনা প্রতিনিধিরা। আলোচনা সভায় চীনের চংকিং একাডেমি অব এগ্রিকালচার ও রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক শিলাং ঝং এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জসিমউদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের ইকোনোমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল কাউন্সিলের প্রধান লি ডং ঝাও, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (রিসার্চ) মো. আনসার আলী, সিড সার্টিফিকেশন এজেন্সির পরিচালক মো. ইকবাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবদুল কুদ্দুছ, ও ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে.এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। সেমিনারে বক্তারা আরও জানান, ২৩-২৪% অ্যামাইলোজযুক্ত হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে যা বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের জন্য উপযুক্ত হবে। দেশে স্বল্প সময়ের জলবায়ু সহিষ্ণু হাইব্রিড ধানের জাত শুরু করা প্রয়োজন যার মাধ্যমে এদেশের কৃষক লাভবান হবে।
No comments