তারেকের শাশুড়ির জামিন
সম্পদের তথ্য গোপনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। রোববার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হাসান মোল্লার আদালত তাকে জামিন দেন। ইকবাল মান্দ বানুর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, সকালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। গত ১২ এপ্রিল ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি ইকবাল মান্দ বানুর বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে দুদক। তিনি ওই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন এবং স্থগিতাদেশ পান। দুদক লিভ টু আপিল করলে স্থগিতাদেশ স্থগিত করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় এ নিয়ে মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক আবদুস সাত্তার সরকার এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দেন।
২০০৭ সালের ২৯ মে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে দুদক। তার দেয়া সম্পদ বিবরণীতে ৪ কোটি ২৩ লাখ ৮ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ সর্বমোট ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এতে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও তার শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদের মধ্যে জোবায়দা রহমানের নামে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। তারেক রহমানের দাবি অনুসারে ওই এফডিআরের অর্থ তার শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু তার মেয়ে জোবায়দা রহমানকে দান করেছেন। তবে দুদকের তদন্তে ওই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং জোবায়দা রহমান ও ইকবাল মান্দ বানু তারেক রহমানের অবৈধ আয়কে বৈধ করার অপচেষ্টায় সহায়তা করেছে মর্মে প্রমাণিত হয়। পরে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে কমিশন। জোবায়দা রহমান ওই বছর এপ্রিলে হাইকোর্টে মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ১০ এপ্রিল হাইকোর্ট এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রুলটির ওপর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
No comments