ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইইউ ত্যাগের শঙ্কা
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ফ্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফ্রান্সের বের হয়ে যাওয়া)। এ ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা দু’ভাগে বিভক্ত। নির্বাচনী প্রচারণায় ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা সরাসরি ঘোষণা দেন চরম ডানপন্থী প্রার্থী ম্যারিন লি পেন। তবে তার প্রধান বিরোধী প্রার্থী এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নির্বাচনী প্রচারণার সময় মঞ্চে ইইউয়ের পতাকা উড়িয়ে জোটের সঙ্গে থাকার ইঙ্গিত দেন। ফ্রান্সের নির্বাচন ৬০ বছর বয়সী ইইউ জোটকে ব্রেক্সিটের পর এবার ফ্রেক্সিটের মুখোমুখি হতে বাধ্য করতে পারে। খবর এএফপির। ফ্রান্সে আজ (রোববার) প্রথম পর্বের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। প্রথম পর্বের ভোটে কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেলে ভোটগ্রহণ দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়াবে। প্রথম রাউন্ডে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হবেন। ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় রাউন্ড ভোটগ্রহণ। প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধিত। সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টায় (রাত ১১টা)। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রেক্সিটের মতো ফ্রেক্সিট হওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান কার্নেগি ইউরোপের বিশ্লেষক পিয়েরি ভিমন্ট বলেন, ফ্রান্সের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রত্যেক প্রার্থীর মধ্যে ইইউ ইস্যুটি আলোচনার মুখ্য বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফ্রান্সে গত ৫ বছরে অভিবাসী সংকট তীব্রতর হয়েছে। যুক্তরাজ্যে ব্রেক্সিট গণভোটও এর জন্য অনেকটা দায়ী। ফ্রান্সের ১১ জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে চারজন ইউরোপে থাকার পক্ষে অনড়। তাদের দাবি, ইইউ হলো সব শান্তি ও স্থায়িত্বের গ্যারান্টি। এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও রক্ষণশীল প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলোঁ ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে আশাবাদী। উভয় নেতাই নির্বাচনী প্রচারণার সময় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। অন্যদিকে, ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টির নেত্রী লি পেন ফ্রান্সকে ইইউ ছাড়ার ব্যাপারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কঠোর বামপন্থী প্রার্থী জঁ-লাক মেলেচঁ চুক্তির প্রধান বিধানগুলো নিয়ে পুনরায় সমঝোতার দাবি জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিদেশি সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ম্যানুয়েল ল্যাফোন্ট রাপনোউল বলেন, ফ্রেক্সিট ইস্যুতে প্রার্থীদের অবস্থান বেশ অনড়। লি পেনকে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প।
No comments