নারীর জন্য বিশ্বের সেরা এবং...নিকৃষ্ট স্থান
আরেকটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস পেছনে ফেলে এসেছি আমরা। সদ্য বিদায় নেওয়া দিবসটি ছিল ১০১তম নারী দিবস। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বলছে, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সূচনা হওয়ার এক শতাব্দী পরও বিশ্বের সর্বত্রই নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমবেশি এখনো বিদ্যমান।
কিছু দেশ নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় চমকপ্রদ সাফল্য পেলেও অনেকের অবস্থাই নৈরাশ্য, এমনকি উদ্বেগজনক। আজকের বিশ্বে নারীর জন্য সবচেয়ে উপযোগী ও সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো:
১. নারীর জন্য সেরা দেশ আইসল্যান্ড: রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্যসূচকের বিবেচনায় আইসল্যান্ড নারী-পুরুষ সাম্যে বিশ্বের সেরা জায়গা। সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান ইয়েমেন। আর সবচেয়ে বিপজ্জনক আফগানিস্তান।
২. নারী রাজনীতিকের জন্য সেরা রুয়ান্ডা: মধ্য আফ্রিকার রুয়ান্ডা বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে পার্লামেন্টে নারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ৮০ আসনের পার্লামেন্টের ৪৫টিই নারীর দখলে। নারীদের রাজনীতি করার জন্য সবচেয়ে নিকৃষ্ট দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, ইয়েমেন, কাতার, ওমান ও মধ্য আমেরিকার বেলিজ। এসব দেশের পার্লামেন্টে কোনো নারী সদস্য নেই।
৩. মায়ের জন্য সেরা স্থান নরওয়ে: মায়েদের জন্য বিশ্বের সেরা স্থান নরওয়ে। মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি এ দেশে সর্বনিম্ন। এ ঝুঁকি সাত হাজার ৬০০ জনে মাত্র একজন। শিশু জন্মের সময়ে প্রায় সবাই দক্ষ ধাত্রীর সেবা পান। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আফগানিস্তানে। যুদ্ধপীড়িত হলেও এ দেশে একজন নারীর শিশুজন্মের সময় মৃত্যুর যে ঝুঁকি, তা বোমা বা বুলেটের আঘাতের চেয়ে কমপক্ষে ২০০ গুণ বেশি।
৪. লেখাপড়ার জন্য সেরা স্থান লেসেথো: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ লেসেথোতে নারীদের সাক্ষরতার হার পুরুষদের চেয়ে বেশি। সে দেশের ৯৫ শতাংশ নারীই লিখতে ও পড়তে পারেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হার ৮৩। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আফ্রিকার ইথিওপিয়ার। দেশটির মাত্র ১৮ শতাংশ নারী লিখতে ও পড়তে পারেন। পুরুষদের সাক্ষরতা ৪২ শতাংশ।
৫. নারী সরকারপ্রধানের জন্য সেরা শ্রীলঙ্কা: শ্রীলঙ্কায় নারীরা দেশ শাসন করেছেন ২৩ বছর। অথচ স্পেন ও সুইডেনের মতো দেশেও নারীরা কখনো সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেননি।
৬. শিল্পকলায় নারীদের জন্য সেরা সুইডেন: সুইডেনের আর্ট কাউন্সিল শিল্পকলায় নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে। সুইডেনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলচ্চিত্রের জন্য আর্থিক সহায়তা নারী-পুরুষ উভয়কেই সমানভাবে দেওয়া হবে। এর বাইরে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য কোটা রয়েছে।
৭. দীর্ঘায়ুর জন্য সেরা স্থান জাপান: জাপানের নারীরা সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন (গড়ে ৮৭ বছর) আশা করতে পারেন। পুরুষদের চেয়েও তা গড়ে সাত বছর বেশি। নারীদের আয়ু সবচেয়ে কম লেসেথোতে (গড়ে ৪৮ বছর)। তবে দেশটিতে পুরুষদের গড় আয়ুও খুব বেশি নয়, নারীর চেয়ে মাত্র দুই বছর বেশি।
৮. সন্তান প্রসবের জন্য সেরা গ্রিস: সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ গ্রিস। সেখানে প্রসবের সময় মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩১ হাজার ৮০০ জনে মাত্র একজন। প্রসবে মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি নতুন দেশ দক্ষিণ সুদানে। সেখানে ধাত্রীর সংখ্যা ২০ জনেরও কম।
৯. স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির ক্ষেত্রে এগিয়ে গুয়াম: মাইক্রোনেশীয় দ্বীপরাষ্ট্র গুয়ামে বিবাহবিচ্ছেদের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। আর গুয়েতেমালাতে সবচেয়ে কম।
১০. ক্রীড়াবিদদের জন্য সেরা যুক্তরাষ্ট্র: ২০১১ সালে বিশ্বের সর্বাধিক আয় করা ১০ জন নারী ক্রীড়াবিদের মধ্যে পাঁচজনই যুক্তরাষ্ট্রের। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে সৌদি আরব। দেশটি কখনোই কোনো নারী খেলোয়াড়কে অলিম্পিকে পাঠায়নি। এ ছাড়া সরকারি স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেয়েদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
১১. অবসরের জন্য নারীদের সেরা স্থান ডেনমার্ক: ডেনমার্কের নারীরা অবসরের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় পান। যে শ্রমের আর্থিক মূল্য নেই, এমন কাজে পুরুষদের চেয়ে প্রতিদিন মাত্র ৫৭ মিনিট বেশি সময় ব্যয় করেন ডেনমার্কের নারীরা। অন্যদিকে মেক্সিকো ঠিক এর উল্টো। ওই দেশের নারীদের অর্থমূল্য হয় না, এমন কাজে প্রতিদিন গড়ে পুরুষদের চেয়ে চার ঘণ্টা ২১ মিনিট বেশি সময় ব্যয় করতে হয়।
১২. টাকা উপার্জনের জন্য সেরা স্থান লুক্সেমবার্গ: টাকা উপার্জনের জন্য লুক্সেমবার্গ (নরওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে) নারীদের জন্য আদর্শ স্থান। ওই দেশে নারী ও পুরুষের আয়ের হার প্রায় সমান। নারীদের পারিশ্রমিকের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সৌদি আরবে।
১৩. নারীদের উচ্চশিক্ষায় সবার আগে কাতার: কাতারে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একজন পুরুষের বিপরীতে ছয়জন নারী ভর্তি হন। তবে নারী শিক্ষায় এ বিনিয়োগ তাদের দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে কতটা যুক্ত করছে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
ইমাম হোসেন সাঈদ, টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে
১. নারীর জন্য সেরা দেশ আইসল্যান্ড: রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্যসূচকের বিবেচনায় আইসল্যান্ড নারী-পুরুষ সাম্যে বিশ্বের সেরা জায়গা। সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান ইয়েমেন। আর সবচেয়ে বিপজ্জনক আফগানিস্তান।
২. নারী রাজনীতিকের জন্য সেরা রুয়ান্ডা: মধ্য আফ্রিকার রুয়ান্ডা বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে পার্লামেন্টে নারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ৮০ আসনের পার্লামেন্টের ৪৫টিই নারীর দখলে। নারীদের রাজনীতি করার জন্য সবচেয়ে নিকৃষ্ট দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, ইয়েমেন, কাতার, ওমান ও মধ্য আমেরিকার বেলিজ। এসব দেশের পার্লামেন্টে কোনো নারী সদস্য নেই।
৩. মায়ের জন্য সেরা স্থান নরওয়ে: মায়েদের জন্য বিশ্বের সেরা স্থান নরওয়ে। মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি এ দেশে সর্বনিম্ন। এ ঝুঁকি সাত হাজার ৬০০ জনে মাত্র একজন। শিশু জন্মের সময়ে প্রায় সবাই দক্ষ ধাত্রীর সেবা পান। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আফগানিস্তানে। যুদ্ধপীড়িত হলেও এ দেশে একজন নারীর শিশুজন্মের সময় মৃত্যুর যে ঝুঁকি, তা বোমা বা বুলেটের আঘাতের চেয়ে কমপক্ষে ২০০ গুণ বেশি।
৪. লেখাপড়ার জন্য সেরা স্থান লেসেথো: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ লেসেথোতে নারীদের সাক্ষরতার হার পুরুষদের চেয়ে বেশি। সে দেশের ৯৫ শতাংশ নারীই লিখতে ও পড়তে পারেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হার ৮৩। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আফ্রিকার ইথিওপিয়ার। দেশটির মাত্র ১৮ শতাংশ নারী লিখতে ও পড়তে পারেন। পুরুষদের সাক্ষরতা ৪২ শতাংশ।
৫. নারী সরকারপ্রধানের জন্য সেরা শ্রীলঙ্কা: শ্রীলঙ্কায় নারীরা দেশ শাসন করেছেন ২৩ বছর। অথচ স্পেন ও সুইডেনের মতো দেশেও নারীরা কখনো সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেননি।
৬. শিল্পকলায় নারীদের জন্য সেরা সুইডেন: সুইডেনের আর্ট কাউন্সিল শিল্পকলায় নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে। সুইডেনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলচ্চিত্রের জন্য আর্থিক সহায়তা নারী-পুরুষ উভয়কেই সমানভাবে দেওয়া হবে। এর বাইরে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য কোটা রয়েছে।
৭. দীর্ঘায়ুর জন্য সেরা স্থান জাপান: জাপানের নারীরা সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন (গড়ে ৮৭ বছর) আশা করতে পারেন। পুরুষদের চেয়েও তা গড়ে সাত বছর বেশি। নারীদের আয়ু সবচেয়ে কম লেসেথোতে (গড়ে ৪৮ বছর)। তবে দেশটিতে পুরুষদের গড় আয়ুও খুব বেশি নয়, নারীর চেয়ে মাত্র দুই বছর বেশি।
৮. সন্তান প্রসবের জন্য সেরা গ্রিস: সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ গ্রিস। সেখানে প্রসবের সময় মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩১ হাজার ৮০০ জনে মাত্র একজন। প্রসবে মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি নতুন দেশ দক্ষিণ সুদানে। সেখানে ধাত্রীর সংখ্যা ২০ জনেরও কম।
৯. স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির ক্ষেত্রে এগিয়ে গুয়াম: মাইক্রোনেশীয় দ্বীপরাষ্ট্র গুয়ামে বিবাহবিচ্ছেদের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। আর গুয়েতেমালাতে সবচেয়ে কম।
১০. ক্রীড়াবিদদের জন্য সেরা যুক্তরাষ্ট্র: ২০১১ সালে বিশ্বের সর্বাধিক আয় করা ১০ জন নারী ক্রীড়াবিদের মধ্যে পাঁচজনই যুক্তরাষ্ট্রের। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে সৌদি আরব। দেশটি কখনোই কোনো নারী খেলোয়াড়কে অলিম্পিকে পাঠায়নি। এ ছাড়া সরকারি স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেয়েদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
১১. অবসরের জন্য নারীদের সেরা স্থান ডেনমার্ক: ডেনমার্কের নারীরা অবসরের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় পান। যে শ্রমের আর্থিক মূল্য নেই, এমন কাজে পুরুষদের চেয়ে প্রতিদিন মাত্র ৫৭ মিনিট বেশি সময় ব্যয় করেন ডেনমার্কের নারীরা। অন্যদিকে মেক্সিকো ঠিক এর উল্টো। ওই দেশের নারীদের অর্থমূল্য হয় না, এমন কাজে প্রতিদিন গড়ে পুরুষদের চেয়ে চার ঘণ্টা ২১ মিনিট বেশি সময় ব্যয় করতে হয়।
১২. টাকা উপার্জনের জন্য সেরা স্থান লুক্সেমবার্গ: টাকা উপার্জনের জন্য লুক্সেমবার্গ (নরওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে) নারীদের জন্য আদর্শ স্থান। ওই দেশে নারী ও পুরুষের আয়ের হার প্রায় সমান। নারীদের পারিশ্রমিকের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সৌদি আরবে।
১৩. নারীদের উচ্চশিক্ষায় সবার আগে কাতার: কাতারে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একজন পুরুষের বিপরীতে ছয়জন নারী ভর্তি হন। তবে নারী শিক্ষায় এ বিনিয়োগ তাদের দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে কতটা যুক্ত করছে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
ইমাম হোসেন সাঈদ, টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে
No comments