প্রতিরোধের মার্চ-ঘরে ঘরে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা by মুনতাসীর মামুন
মার্চের স্মৃতি লেখার জন্য প্রতিবছর এ সময় জোর অনুরোধ আসে মিডিয়ার বন্ধু-বান্ধব, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে। বোঝা যাচ্ছে, বলার লোক কমে আসছে। আজ যারা মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত বা বয়স ৪০-এর নিচে, তাদের কাছে ১৯৭১ সালের মার্চ ধূসর অতীত। আমাদের মনে হয়, ওই দিন না সব ঘটল। কিন্তু, পেরিয়ে গেছে ৪০ বছর।
মাঝে মাঝে মনে হয়, চার দশক পরও কেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই মাতামাতি বা কেন এত আবেগ। অনেক ভেবে দেখার পর মনে হলো, এর প্রধান কারণ ১৯৭৫। জেনারেল জিয়াউর রহমান ঐক্যবদ্ধ জাতিকে দ্বিখণ্ডিত করলেন, সৃষ্টি হলো স্বাধীনতার বা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির। ফলে, তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছে মুক্তিযুদ্ধের জেনারেশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এবং সে দর্শনে বিশ্বাসী তরুণ প্রজন্মের একাংশ।
প্রতিরোধের কথা যখন এল তখন তাই দিয়েই শুরু করি। ১৯৭১ সালের মার্চ ছিল প্রতিরোধের এবং একই সঙ্গে স্বপ্ন দেখার মাস। ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হলো আর মানুষ নেমে এল রাজপথে। সেই সময় আমাদের যাদের বয়স ১৮ থেকে ২০-এর মধ্যে তারা প্রায় পুরোটা সময়ই কাটায় রাজপথে। যারা অ্যাক্টিভিস্ট তারা তো ১৯৬৮ সাল থেকেই রাস্তায়। সারা দিন রাস্তায় মিছিল, সভাসমিতি, রাতে কারফিউ। নীলক্ষেতের বস্তির মানুষজন জয়বাংলা বলে কারফিউ ভাঙে আর গুলি খায়, তার পরও বলে জয়বাংলা। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সের মাঠে শুধু স্বাধীনতার ডাক নয়, সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণে আহ্বান জানালেন। চলছে অসহযোগ আন্দোলন। ইয়াহিয়া এলেন, আলোচনা চলছে। ২৩ মার্চ ঘোষণা করা হলো প্রতিরোধ দিবস। ২৫ মার্চ গণহত্যা আর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা। বলতে ভুলে গেছি ১৭ মার্চ ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন।
আমরা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আমরা যারা লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত তারা গঠন করেছি লেখক সংগ্রাম শিবির, যা পরে পরিণত হয় লেখক শিবিরে। আমি থাকতাম পল্লবীতে। সকালে বাসে চেপে বিশ্ববিদ্যালয়। তখন সেখানে একটি স্টপেজ ছিল। কখনো কখনো ক্লাস হতো। কিন্তু ছাত্রসংখ্যা কমে আসছে। তারপর হয় মিছিল, না-হয় লেখক সংগ্রাম শিবিরের অনুষ্ঠান। আমি, শাহরিয়ার, বেবী মওদুদ এরই ফাঁকে কখনো পত্রিকা অফিস, তারপর সেগুনবাগিচায় রানার অফিসে। বেনজীর আহমেদ তখন সাপ্তাহিক রানার বের করছেন। আমার সংগ্রহে থাকা ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের যুগান্তরটা তাঁকে দিয়েছিলাম রানার-এ কিছু একটা পুনর্মুদ্রণের জন্য। সেটি আর পাইনি। সেই দুঃখ এখনো যায়নি। মুর্তজা বশীর তখন প্রতিরোধের কয়েকটি চমৎকার ড্রয়িং করে দিয়েছিলেন পত্রিকার জন্য। সন্ধ্যায় বাসে চেপে ঘরে ফেরা। মার্চের প্রতিটি টগবগে দিন। ভুলি কী করে?
যদ্দুর মনে পড়ে ২০ থেকে ২২ মার্চের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আহ্বান জানাল ২৩ মার্চ প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনে। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস। প্রতিবছর ২৩ মার্চ পালিত হতো পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করে। একাত্তরের ২৩ মার্চেসেই ইতিহাস বদলে গেল। বাঙালি তো আর পাকিস্তান দিবস দূরে থাকুক, পাকিস্তানি পতাকাই ওড়াতে চায় না। সে কারণেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করেছিল এবং আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তানের দলে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে। তখন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা চালু হয়ে গেছে। দর্জিরা ব্যস্ত পতাকা বানাতে।
২২ তারিখ বিকেলে বাংলা একাডেমীর বটগাছের নিচে লেখক সংগ্রাম শিবির আয়োজন করল ‘বিপ্লবী কবিতা পাঠের আসর’। অধ্যাপক আহমদ শরীফ সভাপতিত্ব করেন। আমি আর শাহরিয়ার খুব সম্ভব বেরিয়েছি সভা শেষ করে। ইতিমধ্যে খবর এসেছে জয়দেবপুরে গুলি চলেছে। ইয়াহিয়া-মুজিব ও ভুট্টোর আলোচনা চলছে। বাইরে এমন একটা ভাব যেন সমঝোতা হবে। পরে মনের গহিন গভীরে সবাই নিশ্চিত যে সমঝোতার আর কোনো পথ নেই। পাকিস্তানি সেনারা প্রতিদিন আসছে। সত্যি বলতে কি, আমরা ২৫ মার্চ ও পরবর্তী মাসগুলোতে যে গণহত্যা ও বর্বরতা দেখেছি তা কল্পনাও করিনি। আমরা জানি স্বাধীন হয়ে যাব, হয়তো সংঘর্ষ হবে খানিকটা।
২৩ মার্চ মিরপুরের পল্লবী থেকে শাহবাগ আসছি। দোতলা বাস। দুপাশের বাড়ির ছাদে ছাদে বাংলাদেশের নতুন পতাকা, কোনো কোনো ছাদে শোকের কালো পতাকাও আছে। কোথাও পাকিস্তানের পতাকা নেই। এক দিনে পুরো শহরটা বদলে গেল। শাহবাগে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই পেপারের অফিস। পত্রিকাটি অনেকেই কিনছে। একটি শিরোনাম—এ নিউ ফ্ল্যাগ ইজ বর্ন। খবরের শেষ লাইন ‘দিস ইজ দ্য ফ্ল্যাগ ফর ইনডিপেনডেন্ট বাংলাদেশ, দিস ইজ দ্য ফ্ল্যাগ দ্যাট সিমবলাইজেস দ্য ইমানসিপেশন অব ৭৫ মিলিয়ন বাঙালিজ’।
সহর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছি। শুনি, আজও বৈঠক হবে ইয়াহিয়ার সঙ্গে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে। ঢাকার ব্রিটিশ ও সোভিয়েত কনস্যুলেটও বাংলাদেশের পতাকা ওড়ায়। ১৯৭১ সালে তারা ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। কয়েক জায়গায় ক্রুদ্ধ আলোচনা শুনলাম চীনা, ইরানি আর ইন্দোনেশীয় দূতাবাস পাকিস্তানি পতাকা ওড়ায়। ১৯৭১ সালে তারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। সবচেয়ে আশ্চর্য, মার্কিনরা কোনো পতাকাই ওড়ায়নি। এখন মনে হয়, সেটি বোধহয় আর্চার ব্লাডের কারণে। দুপুরের দিকে শুনলাম, ওই সব দূতাবাসে ছাত্ররা গিয়ে দাবি করেছে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে ফেলার জন্য। তারা নামিয়েও ফেলেছে। দুপুরেই শুনলাম, প্রেসিডেন্ট এত খেপেছেন যে তিনি পাকিস্তান দিবসে যে বেতার ভাষণ দিতেন তা বাতিল করেন। বিকেলে পল্টনে গেলাম। ন্যাপ ‘স্বাধীন পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করছে। না, ভাসানী আসেননি। দল বেঁধে আবার বেরিয়ে যাই শহীদ মিনারের দিকে। সন্ধ্যায় ফেরার পালা।
সেদিন আমরা পরম পরিতৃপ্ত। আমরা পাকিস্তান ছেড়ে রওনা হয়েছি বাংলাদেশের পথে। তার দুদিন পর যা ঘটল তা তো ছিল চিন্তার বাইরে। ২৩ তারিখ ভেবেছিলাম জয় হয়েছে, বাংলাদেশের দিকে যাত্রা করছি। আর ফেরা হবে না পাকিস্তানে। আসলে তা-ই তো হয়েছিল। তবে সে অন্য কাহিনি।
মুনতাসীর মামুন: ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিরোধের কথা যখন এল তখন তাই দিয়েই শুরু করি। ১৯৭১ সালের মার্চ ছিল প্রতিরোধের এবং একই সঙ্গে স্বপ্ন দেখার মাস। ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হলো আর মানুষ নেমে এল রাজপথে। সেই সময় আমাদের যাদের বয়স ১৮ থেকে ২০-এর মধ্যে তারা প্রায় পুরোটা সময়ই কাটায় রাজপথে। যারা অ্যাক্টিভিস্ট তারা তো ১৯৬৮ সাল থেকেই রাস্তায়। সারা দিন রাস্তায় মিছিল, সভাসমিতি, রাতে কারফিউ। নীলক্ষেতের বস্তির মানুষজন জয়বাংলা বলে কারফিউ ভাঙে আর গুলি খায়, তার পরও বলে জয়বাংলা। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সের মাঠে শুধু স্বাধীনতার ডাক নয়, সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণে আহ্বান জানালেন। চলছে অসহযোগ আন্দোলন। ইয়াহিয়া এলেন, আলোচনা চলছে। ২৩ মার্চ ঘোষণা করা হলো প্রতিরোধ দিবস। ২৫ মার্চ গণহত্যা আর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা। বলতে ভুলে গেছি ১৭ মার্চ ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন।
আমরা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আমরা যারা লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত তারা গঠন করেছি লেখক সংগ্রাম শিবির, যা পরে পরিণত হয় লেখক শিবিরে। আমি থাকতাম পল্লবীতে। সকালে বাসে চেপে বিশ্ববিদ্যালয়। তখন সেখানে একটি স্টপেজ ছিল। কখনো কখনো ক্লাস হতো। কিন্তু ছাত্রসংখ্যা কমে আসছে। তারপর হয় মিছিল, না-হয় লেখক সংগ্রাম শিবিরের অনুষ্ঠান। আমি, শাহরিয়ার, বেবী মওদুদ এরই ফাঁকে কখনো পত্রিকা অফিস, তারপর সেগুনবাগিচায় রানার অফিসে। বেনজীর আহমেদ তখন সাপ্তাহিক রানার বের করছেন। আমার সংগ্রহে থাকা ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের যুগান্তরটা তাঁকে দিয়েছিলাম রানার-এ কিছু একটা পুনর্মুদ্রণের জন্য। সেটি আর পাইনি। সেই দুঃখ এখনো যায়নি। মুর্তজা বশীর তখন প্রতিরোধের কয়েকটি চমৎকার ড্রয়িং করে দিয়েছিলেন পত্রিকার জন্য। সন্ধ্যায় বাসে চেপে ঘরে ফেরা। মার্চের প্রতিটি টগবগে দিন। ভুলি কী করে?
যদ্দুর মনে পড়ে ২০ থেকে ২২ মার্চের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আহ্বান জানাল ২৩ মার্চ প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনে। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস। প্রতিবছর ২৩ মার্চ পালিত হতো পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করে। একাত্তরের ২৩ মার্চেসেই ইতিহাস বদলে গেল। বাঙালি তো আর পাকিস্তান দিবস দূরে থাকুক, পাকিস্তানি পতাকাই ওড়াতে চায় না। সে কারণেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করেছিল এবং আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তানের দলে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে। তখন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা চালু হয়ে গেছে। দর্জিরা ব্যস্ত পতাকা বানাতে।
২২ তারিখ বিকেলে বাংলা একাডেমীর বটগাছের নিচে লেখক সংগ্রাম শিবির আয়োজন করল ‘বিপ্লবী কবিতা পাঠের আসর’। অধ্যাপক আহমদ শরীফ সভাপতিত্ব করেন। আমি আর শাহরিয়ার খুব সম্ভব বেরিয়েছি সভা শেষ করে। ইতিমধ্যে খবর এসেছে জয়দেবপুরে গুলি চলেছে। ইয়াহিয়া-মুজিব ও ভুট্টোর আলোচনা চলছে। বাইরে এমন একটা ভাব যেন সমঝোতা হবে। পরে মনের গহিন গভীরে সবাই নিশ্চিত যে সমঝোতার আর কোনো পথ নেই। পাকিস্তানি সেনারা প্রতিদিন আসছে। সত্যি বলতে কি, আমরা ২৫ মার্চ ও পরবর্তী মাসগুলোতে যে গণহত্যা ও বর্বরতা দেখেছি তা কল্পনাও করিনি। আমরা জানি স্বাধীন হয়ে যাব, হয়তো সংঘর্ষ হবে খানিকটা।
২৩ মার্চ মিরপুরের পল্লবী থেকে শাহবাগ আসছি। দোতলা বাস। দুপাশের বাড়ির ছাদে ছাদে বাংলাদেশের নতুন পতাকা, কোনো কোনো ছাদে শোকের কালো পতাকাও আছে। কোথাও পাকিস্তানের পতাকা নেই। এক দিনে পুরো শহরটা বদলে গেল। শাহবাগে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই পেপারের অফিস। পত্রিকাটি অনেকেই কিনছে। একটি শিরোনাম—এ নিউ ফ্ল্যাগ ইজ বর্ন। খবরের শেষ লাইন ‘দিস ইজ দ্য ফ্ল্যাগ ফর ইনডিপেনডেন্ট বাংলাদেশ, দিস ইজ দ্য ফ্ল্যাগ দ্যাট সিমবলাইজেস দ্য ইমানসিপেশন অব ৭৫ মিলিয়ন বাঙালিজ’।
সহর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছি। শুনি, আজও বৈঠক হবে ইয়াহিয়ার সঙ্গে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে। ঢাকার ব্রিটিশ ও সোভিয়েত কনস্যুলেটও বাংলাদেশের পতাকা ওড়ায়। ১৯৭১ সালে তারা ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। কয়েক জায়গায় ক্রুদ্ধ আলোচনা শুনলাম চীনা, ইরানি আর ইন্দোনেশীয় দূতাবাস পাকিস্তানি পতাকা ওড়ায়। ১৯৭১ সালে তারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। সবচেয়ে আশ্চর্য, মার্কিনরা কোনো পতাকাই ওড়ায়নি। এখন মনে হয়, সেটি বোধহয় আর্চার ব্লাডের কারণে। দুপুরের দিকে শুনলাম, ওই সব দূতাবাসে ছাত্ররা গিয়ে দাবি করেছে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে ফেলার জন্য। তারা নামিয়েও ফেলেছে। দুপুরেই শুনলাম, প্রেসিডেন্ট এত খেপেছেন যে তিনি পাকিস্তান দিবসে যে বেতার ভাষণ দিতেন তা বাতিল করেন। বিকেলে পল্টনে গেলাম। ন্যাপ ‘স্বাধীন পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করছে। না, ভাসানী আসেননি। দল বেঁধে আবার বেরিয়ে যাই শহীদ মিনারের দিকে। সন্ধ্যায় ফেরার পালা।
সেদিন আমরা পরম পরিতৃপ্ত। আমরা পাকিস্তান ছেড়ে রওনা হয়েছি বাংলাদেশের পথে। তার দুদিন পর যা ঘটল তা তো ছিল চিন্তার বাইরে। ২৩ তারিখ ভেবেছিলাম জয় হয়েছে, বাংলাদেশের দিকে যাত্রা করছি। আর ফেরা হবে না পাকিস্তানে। আসলে তা-ই তো হয়েছিল। তবে সে অন্য কাহিনি।
মুনতাসীর মামুন: ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়।
No comments