সেই সাইক্লোস্টাইল মেশিন by মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানো হয়েছিল যে সাইকোস্টাইল মেশিনে, তা এখন অবহেলায় অযত্নে পড়ে আছমুুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উল্লিখিত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর ঐতিহাসিক সেই নিদর্শন ‘সাইক্লোস্টাইল মেশিন’টি চট্টগ্রামের আনোয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। দীর্ঘদিন ধরে এটি এখানে রয়েছে।
মুুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে নেওয়া না হলে ইতিহাসের এমন গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
যেভাবে আছে এটি
আনোয়ারা কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, একটি কক্ষে রাখা আছে স্বাধীনতার ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর ঐতিহাসিক সেই নিদর্শন সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি। এটি যে একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন, তা অনেকেই জানে না। কলেজের ছাত্রী নুরুন্নেসা বলেন, ‘আমাদের কলেজে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু পড়ে আছে, তা জানি না।’
ইতিহাস কী বলে
২৫ মার্চ রাতে আটকের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে পাঠান। আর ওই ঘোষণাপত্র ব্যাপক প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এরই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নগরের জুপিটার হাউসে বৈঠকে বসেন। একটি সাইক্লোস্টাইল মেশিন নিয়ে সারা রাত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সে বার্তাটির অসংখ্য কপি ছাপিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পাঠান তাঁরা। পরে সেই সাইক্লোস্টাইল মেশিন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকে জুপিটার হাউসে।
কীভাবে আনোয়ারা কলেজে
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি আখতারুজ্জামান চৌধুরীর বাসা থেকে কলেজের জন্য চেয়ে নেন তৎকালীন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান। আর সেটি দিয়ে অনেক সময় কলেজের প্রশ্নপত্র ছাপানোসহ নানা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর ঐতিহাসিক সেই নিদর্শন সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি আনোয়ারা কলেজে নেওয়া প্রসঙ্গে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ও প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমি আখতারুজ্জামান চৌধুরীর জুপিটার হাউসের এক কোণে সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি পড়ে থাকতে দেখে কলেজের জন্য চাই। মেশিনটি ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বলে তিনি প্রথমে রাজি না হলেও পরে সেটি কলেজের জন্য দিতে রাজি হন। সেই থেকে এটি আনোয়ারা কলেজে আছে।’
সাইক্লোস্টাইল মেশিন সম্পর্কে ২০১১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামের বলাকা প্রকাশন থেকে সাংবাদিক-গবেষক জামাল উদ্দিনের প্রকাশিত আনোয়ারা: একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ নামের বইয়ের ২০৩ ও ২০৪ পৃষ্ঠায় এ সম্পর্কে বিশদ উল্লেখ করা আছে।
বক্তব্য
আনোয়ারা কলেজের অফিস সহযোগী মোহাম্মদ এয়াকুব নবী জানান, ‘আমি নিজেই ১৯৮৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ মেশিন দিয়ে প্রশ্ন ছাপার কাজ করেছি। এখন কম্পিউটারের যুুগ, তাই এটি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে না।’ তবে মেশিনটি এখনো ঠিক আছে বলে দাবি করেন তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর কাজে ব্যবহূত সাইক্লোস্টাইল মেশিন আনোয়ারা কলেজে, এটি আমাদের জন্য গর্বের।’ তবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রামের সহকারী কমান্ডার (ত্রাণ ও পুনর্বাসন) রশিদ আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর কাজে ব্যবহূত সাইক্লোস্টাইল মেশিন আনোয়ারা কলেজে নষ্ট হচ্ছে। তাই এটি মুুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে পাঠানো উচিত।
যেভাবে আছে এটি
আনোয়ারা কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, একটি কক্ষে রাখা আছে স্বাধীনতার ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর ঐতিহাসিক সেই নিদর্শন সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি। এটি যে একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন, তা অনেকেই জানে না। কলেজের ছাত্রী নুরুন্নেসা বলেন, ‘আমাদের কলেজে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু পড়ে আছে, তা জানি না।’
ইতিহাস কী বলে
২৫ মার্চ রাতে আটকের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে পাঠান। আর ওই ঘোষণাপত্র ব্যাপক প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এরই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নগরের জুপিটার হাউসে বৈঠকে বসেন। একটি সাইক্লোস্টাইল মেশিন নিয়ে সারা রাত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সে বার্তাটির অসংখ্য কপি ছাপিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পাঠান তাঁরা। পরে সেই সাইক্লোস্টাইল মেশিন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকে জুপিটার হাউসে।
কীভাবে আনোয়ারা কলেজে
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি আখতারুজ্জামান চৌধুরীর বাসা থেকে কলেজের জন্য চেয়ে নেন তৎকালীন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান। আর সেটি দিয়ে অনেক সময় কলেজের প্রশ্নপত্র ছাপানোসহ নানা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর ঐতিহাসিক সেই নিদর্শন সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি আনোয়ারা কলেজে নেওয়া প্রসঙ্গে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ও প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমি আখতারুজ্জামান চৌধুরীর জুপিটার হাউসের এক কোণে সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি পড়ে থাকতে দেখে কলেজের জন্য চাই। মেশিনটি ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বলে তিনি প্রথমে রাজি না হলেও পরে সেটি কলেজের জন্য দিতে রাজি হন। সেই থেকে এটি আনোয়ারা কলেজে আছে।’
সাইক্লোস্টাইল মেশিন সম্পর্কে ২০১১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামের বলাকা প্রকাশন থেকে সাংবাদিক-গবেষক জামাল উদ্দিনের প্রকাশিত আনোয়ারা: একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ নামের বইয়ের ২০৩ ও ২০৪ পৃষ্ঠায় এ সম্পর্কে বিশদ উল্লেখ করা আছে।
বক্তব্য
আনোয়ারা কলেজের অফিস সহযোগী মোহাম্মদ এয়াকুব নবী জানান, ‘আমি নিজেই ১৯৮৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ মেশিন দিয়ে প্রশ্ন ছাপার কাজ করেছি। এখন কম্পিউটারের যুুগ, তাই এটি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে না।’ তবে মেশিনটি এখনো ঠিক আছে বলে দাবি করেন তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর কাজে ব্যবহূত সাইক্লোস্টাইল মেশিন আনোয়ারা কলেজে, এটি আমাদের জন্য গর্বের।’ তবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রামের সহকারী কমান্ডার (ত্রাণ ও পুনর্বাসন) রশিদ আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর কাজে ব্যবহূত সাইক্লোস্টাইল মেশিন আনোয়ারা কলেজে নষ্ট হচ্ছে। তাই এটি মুুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে পাঠানো উচিত।
No comments