ডিমের দাম চড়া-সময় থাকতেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার
বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে সীমিত আয়ের বা মাঝারি আয়ের মানুষের খাবার সরবরাহে ফার্মের মুরগি এবং ডিম একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে। মাছের সংকট এবং গরু-খাসি বা যেকোনো মাংসের অত্যধিক মূল্য হওয়ায় ফার্মের মুরগি এবং ডিম সেই জায়গাটি সফলভাবে পূরণ করে আসছিল।
কিন্তু হঠাৎ করেই গত কয়েক দিনে বাজারে ডিমের মূল্য যে শুধু অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই নয়, ভোক্তা, ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতিবিদদের তা আতঙ্কিত করে তুলেছে। সাধারণ খুচরা বাজারে এখন এক হালি ডিমের মূল্য ৩৫ টাকা। ডিমের এমন চড়া মূল্য আর কখনো দেখা যায়নি। খামারি এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে সারা দেশে ব্যাপকহারে যে মুরগি নিধন করা হয়েছে, তার কারণেই এ মূল্য এতটা অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে। তাঁরা ধারণা করছেন, এ মূল্য আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বলা হচ্ছে, সারা দেশ থেকে ডিমের সরবরাহ কমে যাওয়াই এ মূল্যবৃদ্ধির কারণ। ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মতে, রাজধানী ঢাকায় দেড় থেকে দুই কোটি ডিমের চাহিদার বিপরীতে ১০-১৫ দিন ধরে ডিম সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে এক কোটির মতো। অন্যদিকে, পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের মতে, গত দুই বছরে ৬০ হাজার মুরগির ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ডিম শুধু খাদ্যসংকটই দূর করে না, জাতির পুষ্টি জোগাতেও বিশেষ অবদান রাখে।
আমরা জানি, দেশের সরকার খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নিষ্ঠার সঙ্গে ভর্তুকি প্রদান করে যাচ্ছে। কিন্তু সে ভর্তুকির একটি বড় জায়গা যে পোলট্রি ফার্ম সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে ফার্ম মালিকরা যে ক্ষতির সম্মুখীন, সে ক্ষেত্রে সরকারের একটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যথাযথ এবং সময়মতো ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার কারণেই আজ ফার্মগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকারকে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে হলে অবশ্যই এ পোলট্রি এবং ব্রিডিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের অভিজ্ঞতায় আছে, দেশে কোনো পণ্যের মূল্য একবার বৃদ্ধি পেলে তা আর স্বাভাবিক মূল্যে নেমে আসে না। যার ফলে ভুগতে হয় সাধারণ ভোক্তাদের। সুতরাং সময় থাকতেই এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে, পোলট্রি উৎপাদন স্বাভাবিক না হলে এবং পোলট্রি মুরগি ও ডিমের মূল্য এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে তা খাদ্যসামগ্রী, এমনকি অন্যান্য পণ্যের মূল্যও চড়তে থাকবে। এমনিতেই মানুষ দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে দিশেহারা। তার ওপর এখন আরো একদফা উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়লে সাধারণ মানুষের জন্য খেয়েপরে বেঁচে থাকাই দুরূহ হয়ে পড়বে।
আমরা জানি, দেশের সরকার খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নিষ্ঠার সঙ্গে ভর্তুকি প্রদান করে যাচ্ছে। কিন্তু সে ভর্তুকির একটি বড় জায়গা যে পোলট্রি ফার্ম সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে ফার্ম মালিকরা যে ক্ষতির সম্মুখীন, সে ক্ষেত্রে সরকারের একটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যথাযথ এবং সময়মতো ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার কারণেই আজ ফার্মগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকারকে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে হলে অবশ্যই এ পোলট্রি এবং ব্রিডিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের অভিজ্ঞতায় আছে, দেশে কোনো পণ্যের মূল্য একবার বৃদ্ধি পেলে তা আর স্বাভাবিক মূল্যে নেমে আসে না। যার ফলে ভুগতে হয় সাধারণ ভোক্তাদের। সুতরাং সময় থাকতেই এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে, পোলট্রি উৎপাদন স্বাভাবিক না হলে এবং পোলট্রি মুরগি ও ডিমের মূল্য এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে তা খাদ্যসামগ্রী, এমনকি অন্যান্য পণ্যের মূল্যও চড়তে থাকবে। এমনিতেই মানুষ দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে দিশেহারা। তার ওপর এখন আরো একদফা উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়লে সাধারণ মানুষের জন্য খেয়েপরে বেঁচে থাকাই দুরূহ হয়ে পড়বে।
No comments