অপচয় সম্পদের বরকত নষ্ট করে by শাহীন হাসনাত
অপচয় ও অপব্যয়ের নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে ইসলামে তা নিষিদ্ধ। অপচয় ও অপব্যয়ের কারণে বৈষয়িক ক্ষতির পাশাপাশি আত্মিক ক্ষতিও ঘটে। আমরা জানি, বেশি বেশি খাবার খেলে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পেট হলো সকল রোগের বাসা এবং মাত্রাতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই হলো
সর্বোত্তম ওষুধ। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, 'অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন, কারণ তা মানুষকে নিষ্ঠুর করে তোলে এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অলস হয়ে পড়ে ও সদুপদেশ শ্রবণে অনীহা সৃষ্টি হয়।'
ভোগ-বিলাসিতা মানুষের দেহের চেয়ে আত্মার ওপর বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অপচয় ও অপব্যয়ের কারণে সম্পদের বরকতও হ্রাস পায়। এর ফলে মানুষের ধন-সম্পদ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়।
মানুষ আল্লাহর নেয়ামতের অবজ্ঞা ও অবহেলা করে নিজের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে। কোরআনে কারিমের সূরা মুমিনের ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 'নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারী ও মিথ্যাবাদীকে পথ প্রদর্শন করেন না।'
বুজুর্গগণ বলেছেন, 'ওইসব অপব্যয়কারীর ওপর ভর্ৎসনা যারা অপব্যয়ের মাধ্যমে নিজেকে সংশোধনের পথ থেকে সরিয়ে নিয়েছে। অপচয়কারীরা সৎ কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কারণ অপচয়ের মাধ্যমে সে ক্রমান্বয়ে ভালো কাজ করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এ ছাড়া অপচয়কারীর দোয়া আল্লাহতায়ালা কবুল করেন না।' আল্লামা আলুসীর (রহ.) মতে, চার শ্রেণীর মানুষের দোয়া আল্লাহতায়ালা কবুল করেন না, ওই শ্রেণীর একজন হলো, বিনা কারণে অর্থ অপচয়কারী ব্যক্তিবর্গ যারা অপচয়ের মাধ্যমে সব শেষ করে আল্লাহর কাছে জীবিকা প্রার্থনা করে। আল্লাহ এ ধরনের ব্যক্তিদের কাছে বিচার দিবসে কৈফিয়ত চাইবেন। আল্লাহতায়ালা বলবেন, আমি কি তোমাকে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে বলিনি?
আমি কি তোমাকে ব্যয়ের ধরনে সংশোধন
আনতে বলিনি?
অপচয় ও অপব্যয়ের চূড়ান্ত পরিণতি হলো দারিদ্র্য। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা অপচয়কারীকে অভাবগ্রস্ত করেন। আসলে অপচয়কারী আল্লাহর দেওয়া অনুগ্রহের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে যেনতেন তা অপচয় করে এবং নিজেই নিজের করুণ পরিণতি ডেকে আনে।
মূলত যারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করে ও হিসাব-নিকাশ করে চলে, তাদের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ বিরাজমান থাকে, আর অপচয়কারীরা আল্লাহর অনুগ্রহ হাতছাড়া করে। আসলে অপচয় ও অপব্যয় সমাজে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বৈষম্য প্রকটতর করে। কবি বলেছেন, 'যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশুগৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ বাতি।'
অর্থাৎ আজ যে অপচয়কারী ও বিলাসী, কাল সে ভিখারি ও পরমুখাপেক্ষী। এটা ব্যক্তিজীবনের মতো রাষ্ট্রীয় জীবনেও সত্য। আল্লাহতায়ালা আমাদের অপচয়ের ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখুন। আমীন।
ভোগ-বিলাসিতা মানুষের দেহের চেয়ে আত্মার ওপর বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অপচয় ও অপব্যয়ের কারণে সম্পদের বরকতও হ্রাস পায়। এর ফলে মানুষের ধন-সম্পদ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়।
মানুষ আল্লাহর নেয়ামতের অবজ্ঞা ও অবহেলা করে নিজের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে। কোরআনে কারিমের সূরা মুমিনের ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 'নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারী ও মিথ্যাবাদীকে পথ প্রদর্শন করেন না।'
বুজুর্গগণ বলেছেন, 'ওইসব অপব্যয়কারীর ওপর ভর্ৎসনা যারা অপব্যয়ের মাধ্যমে নিজেকে সংশোধনের পথ থেকে সরিয়ে নিয়েছে। অপচয়কারীরা সৎ কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কারণ অপচয়ের মাধ্যমে সে ক্রমান্বয়ে ভালো কাজ করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এ ছাড়া অপচয়কারীর দোয়া আল্লাহতায়ালা কবুল করেন না।' আল্লামা আলুসীর (রহ.) মতে, চার শ্রেণীর মানুষের দোয়া আল্লাহতায়ালা কবুল করেন না, ওই শ্রেণীর একজন হলো, বিনা কারণে অর্থ অপচয়কারী ব্যক্তিবর্গ যারা অপচয়ের মাধ্যমে সব শেষ করে আল্লাহর কাছে জীবিকা প্রার্থনা করে। আল্লাহ এ ধরনের ব্যক্তিদের কাছে বিচার দিবসে কৈফিয়ত চাইবেন। আল্লাহতায়ালা বলবেন, আমি কি তোমাকে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে বলিনি?
আমি কি তোমাকে ব্যয়ের ধরনে সংশোধন
আনতে বলিনি?
অপচয় ও অপব্যয়ের চূড়ান্ত পরিণতি হলো দারিদ্র্য। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা অপচয়কারীকে অভাবগ্রস্ত করেন। আসলে অপচয়কারী আল্লাহর দেওয়া অনুগ্রহের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে যেনতেন তা অপচয় করে এবং নিজেই নিজের করুণ পরিণতি ডেকে আনে।
মূলত যারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করে ও হিসাব-নিকাশ করে চলে, তাদের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ বিরাজমান থাকে, আর অপচয়কারীরা আল্লাহর অনুগ্রহ হাতছাড়া করে। আসলে অপচয় ও অপব্যয় সমাজে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বৈষম্য প্রকটতর করে। কবি বলেছেন, 'যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশুগৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ বাতি।'
অর্থাৎ আজ যে অপচয়কারী ও বিলাসী, কাল সে ভিখারি ও পরমুখাপেক্ষী। এটা ব্যক্তিজীবনের মতো রাষ্ট্রীয় জীবনেও সত্য। আল্লাহতায়ালা আমাদের অপচয়ের ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখুন। আমীন।
No comments