চরাচর-বিশ্ব আবহাওয়া দিবস by বিশ্বজিৎ পাল বাবু
বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে ও অক্সিজেন ত্যাগ করে পরিবেশকে বসবাস উপযোগী করে রাখে গাছ। আর এই গাছই এখন নিধনযজ্ঞে। জলবায়ুর পরিবর্তনে বৃক্ষরোপণ জরুরি হলেও প্রতি ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশেই কাটা হচ্ছে এক লাখ ৩০ হাজার পরিবেশবান্ধব ফুল ও ফলগাছ। অথচ বিপরীতে লাগানো হচ্ছে মাত্র ৩০ হাজার গাছ।
বিশ্বব্যাপীও প্রায় একই চিত্র। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ইউনেপের মতে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে দায়ী অবাধে বৃক্ষ নিধন। সব মিলিয়ে প্রতি মিনিটে আট হেক্টর বনভূমি নষ্ট হচ্ছে। গত ১০ বছরে প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ হেক্টর বনাঞ্চল বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে।
এতে উষ্ণ হয়ে পড়ছে জলবায়ু। বাড়ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। পৃথিবীতে অধিকহারে দেখা দিচ্ছে বন্যা, খরা ও সাইক্লোনের মতো দুর্যোগ। বৈশ্বিক জলবায়ুর উষ্ণতার ফলে পৃথিবীতে বরফ গলছে। বরফ গলে যাওয়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে চলে যাবে বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত।
শুধু বৃক্ষ নিধন নয়, কোথাও যেন কোনো সুখবর নেই। সুপেয় পানির স্তর নেমে যাচ্ছে নিচে। পারমাণবিক চুলি্লর বিস্ফোরণে বাতাসে মিশে যাচ্ছে তেজস্ক্রিয়তা। শিল্প-কারখানার কার্বনে ভারসাম্যহীন বায়ুমণ্ডল। আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্ষা মৌসুমে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ একই সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে কমে যাবে। বৃষ্টির পানিতে আবার এসিডের ভয়।
মাইকেল প্রিচার্ড বলেছিলেন, 'কতটা বিত্তবান হয়েছ কিংবা কতখানি ক্ষমতাবান বিখ্যাত ব্যক্তি তুমি কিছুই কাজে আসবে না তোমার মৃত্যুর শেষ আয়োজনে, যদি আবহাওয়া তোমার প্রতি সদয় না হয়'। এর উক্তির যথার্থতা যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে। মনে হচ্ছে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার গ্যারান্টি হারাচ্ছে মানুষ। মানুষের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের জন্যও যেটুকু ভালো আবহাওয়া দরকার সেটিও যেন অনুপস্থিত।
আজ ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। 'চড়বিৎরহম ড়ঁৎ ভঁঃঁৎব রিঃয বিধঃযবৎ, পষরসধঃব ধহফ ধিঃবৎ' এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বিশ্বের ১৮৯টি দেশে পালিত হবে দিবসটি। আবহাওয়া নিয়ে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যেই এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
১৮৭৩ সাল থেকে সারা বিশ্বে ২৩ মার্চ দিবসটি আবহাওয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৮৭৩ সালে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা (আইএমও) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ জাতিসংঘের একটি অন্যতম সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী হৈচৈ কিন্তু কম নয়। বিশ্ব নেতারা এ নিয়ে বসেছেন সম্মেলনে। কোপেনহেগেনে সর্বশেষ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে, কার্বনের মাত্রাকে নির্দিষ্ট স্তরে রাখা, তাপমাত্রাকে নির্দিষ্ট সীমায় রাখা। কিন্তু দুই বছরেও এর প্রতিফলন বাস্তবে দেখা মেলেনি।
বিশ্বজিৎ পাল বাবু
এতে উষ্ণ হয়ে পড়ছে জলবায়ু। বাড়ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। পৃথিবীতে অধিকহারে দেখা দিচ্ছে বন্যা, খরা ও সাইক্লোনের মতো দুর্যোগ। বৈশ্বিক জলবায়ুর উষ্ণতার ফলে পৃথিবীতে বরফ গলছে। বরফ গলে যাওয়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে চলে যাবে বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত।
শুধু বৃক্ষ নিধন নয়, কোথাও যেন কোনো সুখবর নেই। সুপেয় পানির স্তর নেমে যাচ্ছে নিচে। পারমাণবিক চুলি্লর বিস্ফোরণে বাতাসে মিশে যাচ্ছে তেজস্ক্রিয়তা। শিল্প-কারখানার কার্বনে ভারসাম্যহীন বায়ুমণ্ডল। আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্ষা মৌসুমে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ একই সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে কমে যাবে। বৃষ্টির পানিতে আবার এসিডের ভয়।
মাইকেল প্রিচার্ড বলেছিলেন, 'কতটা বিত্তবান হয়েছ কিংবা কতখানি ক্ষমতাবান বিখ্যাত ব্যক্তি তুমি কিছুই কাজে আসবে না তোমার মৃত্যুর শেষ আয়োজনে, যদি আবহাওয়া তোমার প্রতি সদয় না হয়'। এর উক্তির যথার্থতা যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে। মনে হচ্ছে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার গ্যারান্টি হারাচ্ছে মানুষ। মানুষের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের জন্যও যেটুকু ভালো আবহাওয়া দরকার সেটিও যেন অনুপস্থিত।
আজ ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। 'চড়বিৎরহম ড়ঁৎ ভঁঃঁৎব রিঃয বিধঃযবৎ, পষরসধঃব ধহফ ধিঃবৎ' এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বিশ্বের ১৮৯টি দেশে পালিত হবে দিবসটি। আবহাওয়া নিয়ে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যেই এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
১৮৭৩ সাল থেকে সারা বিশ্বে ২৩ মার্চ দিবসটি আবহাওয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৮৭৩ সালে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা (আইএমও) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ জাতিসংঘের একটি অন্যতম সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী হৈচৈ কিন্তু কম নয়। বিশ্ব নেতারা এ নিয়ে বসেছেন সম্মেলনে। কোপেনহেগেনে সর্বশেষ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে, কার্বনের মাত্রাকে নির্দিষ্ট স্তরে রাখা, তাপমাত্রাকে নির্দিষ্ট সীমায় রাখা। কিন্তু দুই বছরেও এর প্রতিফলন বাস্তবে দেখা মেলেনি।
বিশ্বজিৎ পাল বাবু
No comments