ফুর্তিবাজ এক গায়ক পাখি by শরীফ খান
ছোট-সুন্দর ও সদাচঞ্চল-ফুর্তিবাজ পাখি মৌটুসি। নাচুনেও মন্দ নয়। জোড়ায় জোড়ায় চলে। ডাকাডাকি বা গান চলে প্রায় সর্বক্ষণই। রাতের আশ্রয়ে আর ডিমে তা দিতে বসার সময় ছাড়া একদণ্ড স্থির থাকে না এরা। অতি সুন্দর বাসা গড়ে মেয়ে পাখিটি। সরু ঝুলন্ত-দুলন্ত ডালে, খাসা বাসা।
বাতাসে দোলে, ভেতরে বসে মেয়ে পাখিটি ডিমে তা দিতে দিতে সুখদোলা খায়। বাসার ভেতরের তলায় এরা তুলা বা তুলাজাতীয় নরম উপকরণ দিয়ে যে রকম আরামদায়ক গদি বানায় না! যেন মখমলের বিছানা। এই বাসাটি গড়ে কিন্তু মেয়ে পাখিটি একা। তবে পুরুষ পাখিটি সার্বক্ষণিক সঙ্গ দেয় বউটিকে। বউটি উপকরণ খুঁজতে, আনতে যেখানে যেখানে যায়, পুরুষটি সঙ্গে যায়। ফুর্তিতে গান গায়, বউটি উপকরণ মুখে বাসার স্থানে এলে পুরুষটিও আসে। অর্থাৎ, বউটির সঙ্গে সঙ্গে থাকে। নেচেগেয়ে বউটিকে উৎসাহ দেয়। বউটি এই যাতায়াতের পথে থেমে থেমে একটানা গান গেয়ে চলে। একে বলা হয় বাসা বাঁধার গান। এ ছাড়া আছে এদের আলাদা ধরনের গান। ডিম পাড়ার গান, বাচ্চা হওয়ার আগে আনন্দের গান ও বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার গান।
পাখিটির ইংরেজি নাম purple-rumped sunbird। বৈজ্ঞানিক নাম Necterina zeylnica। মাপ ১০ সেন্টিমিটার। দুটিই দেখতে সুন্দর। তবে, বেগুনি-নীলচে বা কালচে গলার পুরুষটি তুলনামূলকভাবে বেশি সুন্দর। খাদ্য এদের বিভিন্ন ফুলের মধু, তাল-খেজুরের রস। ফুলের সামনে এরা অল্প সময়ের জন্য ‘হোভারিং’ করতে পারে। মেয়ে পাখিটির হলুদাভ বুক ও কিছুটা কাজলটানা চোখ বাসা বাঁধা ও ছানাদের খাওয়ানোর ক্লান্তিতে ম্লান হয়ে যায়।
সুমিষ্ট গলার এই পাখির দেখা সারা দেশেই মিলবে। বাসা করে ফাল্গুন-জৈষ্ঠ পর্যন্ত। এদের না দেখেও বাসা বাঁধার গান বা ছানাদের খাওয়ানোর গান শুনে অথবা উপকরণ মুখে যাতায়াত দেখে বাসা খুঁজে বের করা যায়। এই ঢাকা শহরেও বাসা করে এরা প্রতিবছর। ফুলের পরাগায়ণে এদের আছে অপরিসীম অবদান।
পাখিটির ইংরেজি নাম purple-rumped sunbird। বৈজ্ঞানিক নাম Necterina zeylnica। মাপ ১০ সেন্টিমিটার। দুটিই দেখতে সুন্দর। তবে, বেগুনি-নীলচে বা কালচে গলার পুরুষটি তুলনামূলকভাবে বেশি সুন্দর। খাদ্য এদের বিভিন্ন ফুলের মধু, তাল-খেজুরের রস। ফুলের সামনে এরা অল্প সময়ের জন্য ‘হোভারিং’ করতে পারে। মেয়ে পাখিটির হলুদাভ বুক ও কিছুটা কাজলটানা চোখ বাসা বাঁধা ও ছানাদের খাওয়ানোর ক্লান্তিতে ম্লান হয়ে যায়।
সুমিষ্ট গলার এই পাখির দেখা সারা দেশেই মিলবে। বাসা করে ফাল্গুন-জৈষ্ঠ পর্যন্ত। এদের না দেখেও বাসা বাঁধার গান বা ছানাদের খাওয়ানোর গান শুনে অথবা উপকরণ মুখে যাতায়াত দেখে বাসা খুঁজে বের করা যায়। এই ঢাকা শহরেও বাসা করে এরা প্রতিবছর। ফুলের পরাগায়ণে এদের আছে অপরিসীম অবদান।
No comments