দীনেশ ত্রিবেদি: মমতার রোষের শিকার?
এর আগে রেল বা বাস-ট্রামের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে ভারতে বহু আন্দোলন হয়েছে। অনেক সময় বাস-ট্রাম পুড়েছে। কিন্তু শুধু ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবের জন্য রেলমন্ত্রীকে বিদায় নিতে বাধ্য হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদি।
ত্রিবেদির পরিবার দেশভাগের পর করাচি থেকে গুজরাটে চলে এসেছিল। জাতিতে গুজরাটি। ভদ্র, সজ্জন হিসেবে পরিচিত ত্রিবেদি একজন দক্ষ পাইলট ছিলেন। এমবিএও করেছেন। এসব গুণের কথা জেনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সাংসদ পদে মনোনয়ন দেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাকপুর কেন্দ্রে। সিপিএমের জাঁদরেল প্রার্থী ত্বরিৎবরণ তোপদারকে পরাজিত করে সাংসদ হন ত্রিবেদি। তারপর ২০০৯ সালের দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হন মমতা। ত্রিবেদি হন প্রতিমন্ত্রী।
২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে মমতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলে দীনেশ ত্রিবেদিকে করা হয় রেলমন্ত্রী। মমতা সেদিন দলীয় নেতা মুকুল রায়কে রেলমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলেও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজি হননি। অগত্যা মমতার সুপারিশেই রেলমন্ত্রী হন দীনেশ ত্রিবেদি। মন্ত্রী হিসেবে ভালোই কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্বাধীনচেতা ভাব ও ব্যক্তিত্ব দলের অনেকের পছন্দ হয়নি। সম্ভবত এর জেরেই সরে যেতে হলো ত্রিবেদিকে।
১৪ মার্চ লোকসভায় রেলবাজেট পেশ করেন দীনেশ ত্রিবেদি। বাজেটে যাত্রীভাড়া সামান্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, এর লক্ষ্য রেলের উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানো। দীর্ঘ আট বছর পর এটাই হতো ভারতে প্রথম রেলের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা ত্রিবেদির দলের প্রধান মমতা এ কথা জেনেই বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে বার্তা পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে অনুরোধ করেন দীনেশ ত্রিবেদিকে অবিলম্বে সরিয়ে তৃণমূলের নেতা এবং কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়কে রেলমন্ত্রী করার। দলের নেতারা মমতার পক্ষ থেকে দীনেশ ত্রিবেদিকে পদত্যাগের পরামর্শ দেন। কিন্তু ত্রিবেদি জানিয়ে দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী বা তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ করবেন না।
শেষ পর্যন্ত দীনেশ ত্রিবেদি বাধ্য হয়েছেন পদত্যাগ করতে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন মমতার সুপারিশ ঝুলিয়ে রেখে শুধু তা কিছুটা বিলম্বিতই করতে পেরেছেন কেবল। ইউপিএ-মমতা ব্যাপক রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির পর জয় হয় কথায় কথায় সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া মমতারই। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, লোকসভার বাজেট অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০ মার্চের আগে কেন্দ্রীয় সরকারে রদবদল করা সম্ভব নয়।
মমতার চাপের কাছে নত না হওয়ার জন্য কংগ্রেস একটা বিকল্পের কথাও ভেবেছিল। গোপনে চেষ্টা করা হয় উত্তর প্রদেশের মুলায়ম সিং যাদবকে ইউপিএ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার। লোকসভায় মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির রয়েছে ২৩টি আসন, যা তৃণমূলের চেয়ে চারটি বেশি। সমাজবাদী পার্টি ইউপিএ জোটে এলে মমতা সমর্থন তুললেও কেন্দ্রীয় সরকারের পতন হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি ইউপিএ সরকারে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সায় দেয়নি। মুলায়ম সিং জানিয়ে দেন তাঁর দল ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখলেও সরকারে যোগ দেবে না। এই খবর মমতার কানে পৌঁছা মাত্র দীনেশ ত্রিবেদিকে সরানোর জন্য মমতার চাপ বেড়ে যায়। গত রোববার তৃণমূলের নেত্রী চলে যান দিল্লিতে। খবর রটে তিনি ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। কংগ্রেস দ্রুত সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলে। দীনেশ ত্রিবেদিকে পদত্যাগের নির্দেশনা পাঠানো হয়। রোববার রাতেই পদত্যাগ করেন রেলমন্ত্রী। এত কিছু ঘটে গেল বাজেট পেশের দিন ১৪ থেকে ১৮ মার্চ রাতের মধ্যে।
২০ মার্চ নতুন রেলমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন মমতার পছন্দের মুকুল রায়। এর মধ্য দিয়ে যবনিকা পড়ে রেল নিয়ে কয়েক দিনের রুদ্ধশ্বাস নাটকের।
কিন্তু কেন এমন হলো? কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত রুষ্ট হলেন দীনেশ ত্রিবেদির ওপর? তা কি শুধুই রেলের ভাড়া নিয়ে? তেমনটা মনে করছেন না কেউই। কারণ, ভাড়া বৃদ্ধির মাত্রা সামান্যই। লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে মাইলে দুই পয়সা মাত্র। উন্নত ট্রেন ও বিলাসবহুল শ্রেণীতে কিছু বেশি। এ নিয়ে কোনো মহলে তেমন সমালোচনা হয়নি। কারণ, ভাড়া বাড়ানো হয়েছে আট বছর পর প্রথম। দীনেশ ত্রিবেদির বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, তথা সর্বভারতীয় রাজনৈতিক মহলে এখনো বিতর্কের শেষ নেই। অনেক পর্যবেক্ষকই বলছেন, মমতা সব সময়ই চান তৃণমূলের মন্ত্রীরা তাঁকে সব সময় কুর্ণিশ করে চলবেন। সামনে-পেছনে চিন্তা না করে নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। এই ব্যাপারটিকে হয়তো মেনে নিতে পারেননি দীনেশ ত্রিবেদি। লোকসভায় রেলবাজেট পেশের সময় তাঁর একটি মন্তব্যও নাকি মমতাকে খেপিয়ে দেয়। ত্রিবেদি বলেছিলেন, রেলকে তিনি আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) থেকে বের করে এনেছেন। এর আগে মমতাই ছিলেন রেলমন্ত্রী। ফলে রেল আইসিইউতে চলে যাওয়ার জন্য দায়ী কার্যত তিনিই। তাই দীনেশ ত্রিবেদিকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য মমতা তাঁকে একেবারে মন্ত্রিসভা ছাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন।
দীনেশ ত্রিবেদির এভাবে প্রস্থানকে মেনে নেয়নি দেশের অধিকাংশ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ রাজ্যের স্বার্থের কথা মনে করে মেনে নিলেও দেশের অন্যান্য রাজ্যের অধিবাসীরা এভাবে একজন মন্ত্রীকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা বলছেন, বাজেটে প্রস্তাব দিলেই যে ভাড়া বাড়বে, তা তো নয়। রেলমন্ত্রী তো নিজেও বাজেট বিতর্কের সময় ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। কিন্তু দল তাঁকে সেই সুযোগ দিল না। তা ছাড়া এক মন্ত্রী রেল বাজেট ঘোষণা করলেন, আর আরেক মন্ত্রী এ নিয়ে আলোচনার পর ‘জবাবি ভাষণ’ দেবেন, তাও পছন্দ করছে না রাজনৈতিক মহল।
অমর সাহা, কলকাতা
২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে মমতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলে দীনেশ ত্রিবেদিকে করা হয় রেলমন্ত্রী। মমতা সেদিন দলীয় নেতা মুকুল রায়কে রেলমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলেও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজি হননি। অগত্যা মমতার সুপারিশেই রেলমন্ত্রী হন দীনেশ ত্রিবেদি। মন্ত্রী হিসেবে ভালোই কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্বাধীনচেতা ভাব ও ব্যক্তিত্ব দলের অনেকের পছন্দ হয়নি। সম্ভবত এর জেরেই সরে যেতে হলো ত্রিবেদিকে।
১৪ মার্চ লোকসভায় রেলবাজেট পেশ করেন দীনেশ ত্রিবেদি। বাজেটে যাত্রীভাড়া সামান্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, এর লক্ষ্য রেলের উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানো। দীর্ঘ আট বছর পর এটাই হতো ভারতে প্রথম রেলের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা ত্রিবেদির দলের প্রধান মমতা এ কথা জেনেই বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে বার্তা পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে অনুরোধ করেন দীনেশ ত্রিবেদিকে অবিলম্বে সরিয়ে তৃণমূলের নেতা এবং কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়কে রেলমন্ত্রী করার। দলের নেতারা মমতার পক্ষ থেকে দীনেশ ত্রিবেদিকে পদত্যাগের পরামর্শ দেন। কিন্তু ত্রিবেদি জানিয়ে দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী বা তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ করবেন না।
শেষ পর্যন্ত দীনেশ ত্রিবেদি বাধ্য হয়েছেন পদত্যাগ করতে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন মমতার সুপারিশ ঝুলিয়ে রেখে শুধু তা কিছুটা বিলম্বিতই করতে পেরেছেন কেবল। ইউপিএ-মমতা ব্যাপক রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির পর জয় হয় কথায় কথায় সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া মমতারই। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, লোকসভার বাজেট অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০ মার্চের আগে কেন্দ্রীয় সরকারে রদবদল করা সম্ভব নয়।
মমতার চাপের কাছে নত না হওয়ার জন্য কংগ্রেস একটা বিকল্পের কথাও ভেবেছিল। গোপনে চেষ্টা করা হয় উত্তর প্রদেশের মুলায়ম সিং যাদবকে ইউপিএ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার। লোকসভায় মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির রয়েছে ২৩টি আসন, যা তৃণমূলের চেয়ে চারটি বেশি। সমাজবাদী পার্টি ইউপিএ জোটে এলে মমতা সমর্থন তুললেও কেন্দ্রীয় সরকারের পতন হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি ইউপিএ সরকারে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সায় দেয়নি। মুলায়ম সিং জানিয়ে দেন তাঁর দল ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখলেও সরকারে যোগ দেবে না। এই খবর মমতার কানে পৌঁছা মাত্র দীনেশ ত্রিবেদিকে সরানোর জন্য মমতার চাপ বেড়ে যায়। গত রোববার তৃণমূলের নেত্রী চলে যান দিল্লিতে। খবর রটে তিনি ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। কংগ্রেস দ্রুত সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলে। দীনেশ ত্রিবেদিকে পদত্যাগের নির্দেশনা পাঠানো হয়। রোববার রাতেই পদত্যাগ করেন রেলমন্ত্রী। এত কিছু ঘটে গেল বাজেট পেশের দিন ১৪ থেকে ১৮ মার্চ রাতের মধ্যে।
২০ মার্চ নতুন রেলমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন মমতার পছন্দের মুকুল রায়। এর মধ্য দিয়ে যবনিকা পড়ে রেল নিয়ে কয়েক দিনের রুদ্ধশ্বাস নাটকের।
কিন্তু কেন এমন হলো? কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত রুষ্ট হলেন দীনেশ ত্রিবেদির ওপর? তা কি শুধুই রেলের ভাড়া নিয়ে? তেমনটা মনে করছেন না কেউই। কারণ, ভাড়া বৃদ্ধির মাত্রা সামান্যই। লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে মাইলে দুই পয়সা মাত্র। উন্নত ট্রেন ও বিলাসবহুল শ্রেণীতে কিছু বেশি। এ নিয়ে কোনো মহলে তেমন সমালোচনা হয়নি। কারণ, ভাড়া বাড়ানো হয়েছে আট বছর পর প্রথম। দীনেশ ত্রিবেদির বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, তথা সর্বভারতীয় রাজনৈতিক মহলে এখনো বিতর্কের শেষ নেই। অনেক পর্যবেক্ষকই বলছেন, মমতা সব সময়ই চান তৃণমূলের মন্ত্রীরা তাঁকে সব সময় কুর্ণিশ করে চলবেন। সামনে-পেছনে চিন্তা না করে নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। এই ব্যাপারটিকে হয়তো মেনে নিতে পারেননি দীনেশ ত্রিবেদি। লোকসভায় রেলবাজেট পেশের সময় তাঁর একটি মন্তব্যও নাকি মমতাকে খেপিয়ে দেয়। ত্রিবেদি বলেছিলেন, রেলকে তিনি আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) থেকে বের করে এনেছেন। এর আগে মমতাই ছিলেন রেলমন্ত্রী। ফলে রেল আইসিইউতে চলে যাওয়ার জন্য দায়ী কার্যত তিনিই। তাই দীনেশ ত্রিবেদিকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য মমতা তাঁকে একেবারে মন্ত্রিসভা ছাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন।
দীনেশ ত্রিবেদির এভাবে প্রস্থানকে মেনে নেয়নি দেশের অধিকাংশ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ রাজ্যের স্বার্থের কথা মনে করে মেনে নিলেও দেশের অন্যান্য রাজ্যের অধিবাসীরা এভাবে একজন মন্ত্রীকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা বলছেন, বাজেটে প্রস্তাব দিলেই যে ভাড়া বাড়বে, তা তো নয়। রেলমন্ত্রী তো নিজেও বাজেট বিতর্কের সময় ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। কিন্তু দল তাঁকে সেই সুযোগ দিল না। তা ছাড়া এক মন্ত্রী রেল বাজেট ঘোষণা করলেন, আর আরেক মন্ত্রী এ নিয়ে আলোচনার পর ‘জবাবি ভাষণ’ দেবেন, তাও পছন্দ করছে না রাজনৈতিক মহল।
অমর সাহা, কলকাতা
No comments