মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট by মোহাম্মদ গোলাম নবী
আমরা বড় হয়েছি স্বাধীনতাযুদ্ধ সম্পর্কে জানার ক্ষুধা নিয়ে। আমাদের পরের প্রজন্মও স্বাধীনতাযুদ্ধের তথ্যসংকটে ভুগছে। অথচ দেখতে দেখতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স দুই কুড়ি পেরিয়েছে। বিগত ৪১ বছরে তথ্য আদান-প্রদানের দিক থেকে পৃথিবী এগিয়েছে অনেক দূর। মানুষ এখন তথ্য জানার জন্য ওয়েবসাইটের শরণাপন্ন হতে বেশি পছন্দ করে।
বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারও দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে। তবে বাস্তবতা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ করা নিয়ে যতটা হাকডাক, বাস্তবায়নের চিত্রটা তার থেকে অনেক ভিন্ন। অন্য বিষয়গুলোর মতো মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও ওয়েবসাইট ও অনলাইনে বাংলায় তথ্য বা কনটেন্ট অনেক কম। আমাদের দায়িত্ব হলো সহজ বাংলায় মুক্তিযুদ্ধের নির্মোহ ইতিহাসভিত্তিক ওয়েবসাইট, ডিজিটাল আর্কাইভ আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া।
স্বাধীনতার এই মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ওয়েবসাইট খুঁজতে গিয়ে বেশকয়েকটি ওয়েবসাইট পাওয়া গেলেও বিষয়বস্তু ও তথ্যের সমাবেশ এবং বিন্যাসগত দিক থেকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ মনে হয়নি। অন্তত প্রত্যাশার সঙ্গে মেলে না। এটি অনেক কারণেই হতে পারে। ওয়েবসাইট দেখতে দেখতে একটি কথা মনে হয়েছে, সরকারি ওয়েবসাইটটি বাদে বাদবাকি সবই মূলত স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে উঠেছে। দেশকে ভালোবেসে এবং দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। ফলে, দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো কিছু দেওয়ার জন্য। সে জন্য সাধুবাদ দিতেই হবে। পাশাপাশি যে ওয়েবসাইটগুলো স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে এককালে তৈরি করার পর সেভাবেই পড়ে আছে কিংবা নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না সেগুলোর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব যত্নশীল হওয়ার জন্য। এই প্রতিবেদনে পাঁচটি ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসবসাইটে স্বাধীনতাযুদ্ধের নানা রকমের তথ্য পাওয়া যাবে।আমাদের দরকার মুক্তিযুদ্ধের তথ্যসমৃদ্ধ আরও অনেক ওয়েবসাইট। যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে নিজের দেশ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট
www.molwa.gov.bd
এটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট। এর প্রথম পাতায় ওয়েবসাইটে কী কী তথ্য পাওয়া যাবে তা বলে দেওয়া আছে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটকে আরও সমৃদ্ধ করতে কী করা যেতে পারে, পাঠকদের কাছ থেকে সে ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। পরামর্শ কোথায় দিতে হবে সে কথাও বাঁ দিকের প্যানেলের নিচে বলে দেওয়া আছে। লক্ষ করার মতো দিক হলো, ওয়েবসাইটটি বাংলায়, যা স্বাধীনতাযুদ্ধসংক্রান্ত অন্যান্য ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। তবে এর একটি ইংরেজি সংস্করণ থাকা দরকার।কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্বের সব মানুষের কাছে তুলে ধরার দরকার আছে বৈকি।
ডিজিটাল রেফারেন্সের জন্য
www.genocidebangladesh.org
এই ওয়েবসাইটটি অনেকটা রেফারেন্স লাইব্রেরির মতো। প্রচুর তথ্য আর ওয়েবলিংকে ঠাসা। এখানে ১৯৭১ সালের গণহত্যার অডিও, ভিডিও, স্থিরচিত্র, ওয়েবসাইট ঠিকানা নৈর্ব্যক্তিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ সাইট। এই সাইটের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত ওয়েবলিংক এখানে জমা দেওয়া যাবে।
সম্মিলিত উদ্যোগ
www.icsforum.org
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম স্ট্যাটিজি ফোরাম (আইসিএসএফ) ব্যক্তি ও সংস্থার একটি জোট, যা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সব ধরনের শাস্তির ঊর্ধ্বে থাকার ঘটনার অবসানে আন্দোলন গড়ে তুলছে। সমমনা অনেক ওয়েবসাইট, ব্লগ এই জোটে যোগ দিয়েছে। যেমন, মুক্তাঙ্গন (www.nirmaaan.com), বাংলাদেশ জেনোসাইড আর্কাইভ (www.genocidebangladesh.org), ক্যাডেট কলেজ ব্লগ (www.cadetcollegeblog.com), আমার ব্লগ (www.amarblog.com), ই-বাংলাদেশ (www.ebangladesh.com), সচলায়তন (www.sachalayatan.com) ইত্যাদি। তারা কী ধরনের কাজ করছে তা ‘প্রজেক্ট’ বোতাম চেপে জানা যাবে। এই গ্রুপটি মূলত স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে যাঁরাই কাজ করছেন তাঁদের সবাইকে একটি জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সাইটটি প্রতিদিন হালনাগাদ করা হয়।
ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস
www.sectorcommandersforum.org
স্বাধীনতাযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডারদের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ওয়েবসাইট এটি। এখানে প্রথম পাতায় ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ’ নামে একটি লিংক পাওয়া যাবে। তাতে ক্লিক করলে আপনি একটি ফরম পাবেন পিডিএফ আকারে। চার পাতার এই ফরমটি পূরণের মাধ্যমে আমরা একদিকে স্বাধীনতার ইতিহাস যেমন তুলে আনতে পারি তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও সহায়তা করতে পারি। এই ওয়েবসাইটটির বাংলা সংস্করণ যেমন প্রয়োজন তেমনি একে আরও সমৃদ্ধ করার দরকার রয়েছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলোর বিস্তারিত তথ্য এবং সেক্টর কমান্ডারদের জীবনী ও লেখালেখি এখানে থাকতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোগ
www.liberationwarmuseum.org
‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ ও জনগণের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। তাদের এই ওয়েবসাইটে স্বাধীনতাযুদ্ধের অনেক কিছুই সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এই ওয়েবসাইটের পূর্ণাঙ্গ বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ থাকলে ভালো হতো। তথ্যের অসম্পূর্ণতাও আছে কোথাও কোথাও। যেমন, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মড ফোর্সেস প্রবন্ধে ১১টি সেক্টরের কমান্ডারদের নাম দেওয়া হয়েছে। তিনটি সেক্টরের কমান্ডাররা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর আর সেক্টর কমান্ডার থাকেননি। কিন্তু তাঁদের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এ রকম তথ্যসংক্রান্ত এবং তথ্য উপস্থাপনগত কিছু দুর্বলতা এই ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে, যা সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়।
স্বাধীনতার এই মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ওয়েবসাইট খুঁজতে গিয়ে বেশকয়েকটি ওয়েবসাইট পাওয়া গেলেও বিষয়বস্তু ও তথ্যের সমাবেশ এবং বিন্যাসগত দিক থেকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ মনে হয়নি। অন্তত প্রত্যাশার সঙ্গে মেলে না। এটি অনেক কারণেই হতে পারে। ওয়েবসাইট দেখতে দেখতে একটি কথা মনে হয়েছে, সরকারি ওয়েবসাইটটি বাদে বাদবাকি সবই মূলত স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে উঠেছে। দেশকে ভালোবেসে এবং দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। ফলে, দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো কিছু দেওয়ার জন্য। সে জন্য সাধুবাদ দিতেই হবে। পাশাপাশি যে ওয়েবসাইটগুলো স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে এককালে তৈরি করার পর সেভাবেই পড়ে আছে কিংবা নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না সেগুলোর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব যত্নশীল হওয়ার জন্য। এই প্রতিবেদনে পাঁচটি ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসবসাইটে স্বাধীনতাযুদ্ধের নানা রকমের তথ্য পাওয়া যাবে।আমাদের দরকার মুক্তিযুদ্ধের তথ্যসমৃদ্ধ আরও অনেক ওয়েবসাইট। যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে নিজের দেশ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট
www.molwa.gov.bd
এটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট। এর প্রথম পাতায় ওয়েবসাইটে কী কী তথ্য পাওয়া যাবে তা বলে দেওয়া আছে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটকে আরও সমৃদ্ধ করতে কী করা যেতে পারে, পাঠকদের কাছ থেকে সে ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। পরামর্শ কোথায় দিতে হবে সে কথাও বাঁ দিকের প্যানেলের নিচে বলে দেওয়া আছে। লক্ষ করার মতো দিক হলো, ওয়েবসাইটটি বাংলায়, যা স্বাধীনতাযুদ্ধসংক্রান্ত অন্যান্য ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। তবে এর একটি ইংরেজি সংস্করণ থাকা দরকার।কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্বের সব মানুষের কাছে তুলে ধরার দরকার আছে বৈকি।
ডিজিটাল রেফারেন্সের জন্য
www.genocidebangladesh.org
এই ওয়েবসাইটটি অনেকটা রেফারেন্স লাইব্রেরির মতো। প্রচুর তথ্য আর ওয়েবলিংকে ঠাসা। এখানে ১৯৭১ সালের গণহত্যার অডিও, ভিডিও, স্থিরচিত্র, ওয়েবসাইট ঠিকানা নৈর্ব্যক্তিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ সাইট। এই সাইটের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত ওয়েবলিংক এখানে জমা দেওয়া যাবে।
সম্মিলিত উদ্যোগ
www.icsforum.org
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম স্ট্যাটিজি ফোরাম (আইসিএসএফ) ব্যক্তি ও সংস্থার একটি জোট, যা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সব ধরনের শাস্তির ঊর্ধ্বে থাকার ঘটনার অবসানে আন্দোলন গড়ে তুলছে। সমমনা অনেক ওয়েবসাইট, ব্লগ এই জোটে যোগ দিয়েছে। যেমন, মুক্তাঙ্গন (www.nirmaaan.com), বাংলাদেশ জেনোসাইড আর্কাইভ (www.genocidebangladesh.org), ক্যাডেট কলেজ ব্লগ (www.cadetcollegeblog.com), আমার ব্লগ (www.amarblog.com), ই-বাংলাদেশ (www.ebangladesh.com), সচলায়তন (www.sachalayatan.com) ইত্যাদি। তারা কী ধরনের কাজ করছে তা ‘প্রজেক্ট’ বোতাম চেপে জানা যাবে। এই গ্রুপটি মূলত স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে যাঁরাই কাজ করছেন তাঁদের সবাইকে একটি জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সাইটটি প্রতিদিন হালনাগাদ করা হয়।
ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস
www.sectorcommandersforum.org
স্বাধীনতাযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডারদের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ওয়েবসাইট এটি। এখানে প্রথম পাতায় ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ’ নামে একটি লিংক পাওয়া যাবে। তাতে ক্লিক করলে আপনি একটি ফরম পাবেন পিডিএফ আকারে। চার পাতার এই ফরমটি পূরণের মাধ্যমে আমরা একদিকে স্বাধীনতার ইতিহাস যেমন তুলে আনতে পারি তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও সহায়তা করতে পারি। এই ওয়েবসাইটটির বাংলা সংস্করণ যেমন প্রয়োজন তেমনি একে আরও সমৃদ্ধ করার দরকার রয়েছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলোর বিস্তারিত তথ্য এবং সেক্টর কমান্ডারদের জীবনী ও লেখালেখি এখানে থাকতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোগ
www.liberationwarmuseum.org
‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ ও জনগণের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। তাদের এই ওয়েবসাইটে স্বাধীনতাযুদ্ধের অনেক কিছুই সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এই ওয়েবসাইটের পূর্ণাঙ্গ বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ থাকলে ভালো হতো। তথ্যের অসম্পূর্ণতাও আছে কোথাও কোথাও। যেমন, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মড ফোর্সেস প্রবন্ধে ১১টি সেক্টরের কমান্ডারদের নাম দেওয়া হয়েছে। তিনটি সেক্টরের কমান্ডাররা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর আর সেক্টর কমান্ডার থাকেননি। কিন্তু তাঁদের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এ রকম তথ্যসংক্রান্ত এবং তথ্য উপস্থাপনগত কিছু দুর্বলতা এই ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে, যা সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়।
No comments