মাঠে সেরা পারফরমার, বাইরে নেতা মুশফিক by নোমান মোহাম্মদ,
টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকটা মনে আছে? প্রশ্ন শেষ করার আগেই হাবিবুল বাশারের সহাস্য জবাব, 'নেই আবার? রসগোল্লা পেয়েছিলাম। দুই ইনিংসেই শূন্য!' ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের ঘটনা সেটি। প্রথম ইনিংসে অ্যান্ডি বি্লগনাটের বলে কট বিহাইন্ড, দ্বিতীয় ইনিংসে ডগলাস হোন্ডোর বলে এলবিডাবি্লউ। কোনোটিতেই রানের খাতা খেলা হয়নি, ক্রিজে সাকুল্যে টিকেছেন পাঁচ বল। বিস্মরণযোগ্য রাজ্যাভিষেক, প্রায় ভুলে যাওয়ার মতোই।
এবার কিন্তু ঠিকই প্রতিবাদ করলেন হাবিবুল, 'ব্যাটে রান পাইনি, তাতে কী! ওই টেস্টের সবই আমার মুখস্থ। এই যে মুশফিকের আজ টেস্ট অধিনায়কত্বের পথচলা শুরু হলো, এটি কি ও কখনো ভুলতে পারবে?'
পারবেন না। পারার প্রশ্নই ওঠে না। পরশু টেস্ট শুরুর আগের দিনও নিজের রোমাঞ্চের কথা জানিয়ে গিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আর কাল ক্রিজে গিয়ে আরেকবার জানান দিলেন ক্রিকেটীয় সামর্থ্য। দিনশেষে দলের মুখপাত্র হয়ে এসে এক সতীর্থ বলে গেলেন অধিনায়কের প্রতি তাঁদের ভরসার কথা। সকালের সূর্য যদি দিনের পূর্বাভাস ঠিকঠাক দেয়, তাহলে ক্যাপ্টেন মুশফিকের রৌদ্রোজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিই মিলছে।
ঠিক স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব পাননি মুশফিকুর। জরুরি পরিস্থিতিতে দিকভ্রান্ত এক সেনাদলকে আবার এক ছাউনির নিচে জড়ো করার চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর সামনে। এখন পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী তিনি। সেটি শুধু অধিনায়ক হিসেবে না, পারফরমিং অধিনায়ক হিসেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে শেষ বলের আগের বলে ছক্কা মেরে মুশফিক দলকে এনে দিয়েছিলেন অবিস্মরণীয় জয়। ২৬ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসের জন্য হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এরপর তিন ওয়ানডেতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২১, ৬৯ ও ১০*। কাল অধিনায়কত্বের টেস্ট অভিষেকের প্রথম দিন শেষে ১৯৩ মিনিট উইকেটে থেকে ১৪৪ বল খেলে অপরাজিত ৬৮। মুশফিকুরের ব্যাট হাসছেই। উইকেটের পেছনে তেমন কোনো তালগোল পাকাননি। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত পাঁচবার টস করতে নেমে প্রতিবারে বিজয়ীর হাসি। তাঁর ছোট্ট কাঁধে তাই ভরসা রাখার ভরসা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অষ্টম টেস্ট অধিনায়ক বগুড়ার এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। আগের সাতজনের অধিনায়কত্ব অভিষেকে একবার চোখ বোলানো যাক। প্রথমজন নাঈমুর রহমান। ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে সেই টেস্টে স্বাগতিকরা হারে ৯ উইকেটে। নাঈমুর ব্যাটিংয়ে ১৫ ও ৩ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে এই অফস্পিনারের ৪৪.৩-৯-১৩২-৬ ফিগার অনেক দিন ধরে হয়ে ছিল দেশের সেরা। ২০০১ সালের ১৮ ডিসেম্বর হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় খালেদ মাসুদের অধিনায়ক-পর্ব। নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি জিতেছিল ইনিংস ও ৫২ রানে। ব্যাটিংয়ে ৬ ও ৬ করার পাশাপাশি উইকেটকিপিংয়ে দুটি ক্যাচ ছিল তাঁর। দেশের তৃতীয় টেস্ট অধিনায়ক অলরাউন্ডার খালেদ মাহমুদ। ২০০৩ সালের ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমবারের মতো টস করতে নামেন তিনি। ম্যাচে ব্যাট হাতে ৬ ও ১ রান এবং ১৭-৫-৫৬-০ বোলিং ফিগার জানান দিচ্ছে মাহমুদের জন্য কেমন কেটেছে ম্যাচটি। দলও হেরে যায় ইনিংস ও ৬০ রানে।
পরের অধিনায়কের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ। হাবিবুল বাশার। পরবর্তীকালে পারফরমিং অধিনায়ক হিসেবে দারুণ সফল হলেও প্রথম ম্যাচটিতে ব্যাট হাতে কোনো অবদানই রাখতে পারেননি বর্তমানের এই নির্বাচক। মোহাম্মদ আশরাফুলের টেস্ট অধিনায়কত্বের শুরুটাও মনে রাখার মতো কিছু না। ২০০৭ সালের ২৫ জুন কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হওয়া ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ৭ ও ৩৭ রান করার ফাঁকে ১৩ ওভারে ৫২ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি জিতে নেয় ইনিংস ও ২৩৪ রানে।
বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ টেস্ট অধিনায়কের শুরুটা হয়েছিলে হারের তেতো স্বাদ দিয়ে। মাশরাফি বিন মর্তুজায় এসে প্রথমবারের মতো ইতিহাসের বাঁক বদল। কিন্তু সেটি উপভোগের মতো অবস্থা ছিল না এই পেসারের। ইনজুরিতে পড়ে যে আবার দীর্ঘদিনের নির্বাসন চোখ রাঙাচ্ছিল মাশরাফিকে। ২০০৯ সালের ৯ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচ বাংলাদেশ জেতে ৯৫ রানে। ব্যাটিংয়ে ৫২ বলে ৩৯ করার পর নিজের সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন নড়াইল এঙ্প্রেস। ম্যাচে আর বোলিং করতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নামলেও রানের খাতা খোলার আগেই ফেরত আসেন মাশরাফি।
পরের গল্পটি সাফল্যের। এটি যে সাকিব আল হাসানের কাহিনী। মাশরাফির অনুপস্থিতিতে ওই সিরিজের পরের টেস্টেই দলের দায়িত্ব নেন এই অলরাউন্ডার। বোলিংয়ে তিন ও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুই উইকেটে। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৬। এরপর চতুর্থ ইনিংসে ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯৭ বলে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জেতান ৪ উইকেটে। দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জেতে টেস্ট সিরিজ। সাকিব হন ম্যাচসেরা, সিরিজসেরা। আর কী চাই!
মুশফিকুর রহিমের শুরুটা তেমনি আশাজাগানিয়া। টোয়েন্টি টোয়েন্টি আর ওয়ানডের পর টেস্টেও। মাত্রই প্রথম দিন গেল অবশ্য। তবে সেখানে ব্যাটিং করেছেন তিনি যথার্থ টেস্ট ব্যাটসম্যানের মতো আস্থার প্রতীক হয়ে। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ককে নিয়ে দারুণ আশাবাদ জানিয়ে গেলেন তামিম ইকবাল, 'গত ছয় মাস ধরেই মুশফিক দারুণ ব্যাটিং করছে। আমি মনে করি, অধিনায়ক হিসেবে ও সব ঠিক কাজগুলোই করছে। এখন পর্যন্ত আমি খারাপ কিছুই দেখিনি। আমি নিশ্চিত, এই ধারা ধরে রেখে কাল মুশফিক ওর ইনিংসটা টেনে অনেক দূর নিয়ে যাবে।'
মাঠের পারফরম্যান্স আর সতীর্থদের শ্রদ্ধায় সত্যিকারের এক নেতার প্রতিশ্রুতিই তো দেখা যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের মধ্যে
পারবেন না। পারার প্রশ্নই ওঠে না। পরশু টেস্ট শুরুর আগের দিনও নিজের রোমাঞ্চের কথা জানিয়ে গিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আর কাল ক্রিজে গিয়ে আরেকবার জানান দিলেন ক্রিকেটীয় সামর্থ্য। দিনশেষে দলের মুখপাত্র হয়ে এসে এক সতীর্থ বলে গেলেন অধিনায়কের প্রতি তাঁদের ভরসার কথা। সকালের সূর্য যদি দিনের পূর্বাভাস ঠিকঠাক দেয়, তাহলে ক্যাপ্টেন মুশফিকের রৌদ্রোজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিই মিলছে।
ঠিক স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব পাননি মুশফিকুর। জরুরি পরিস্থিতিতে দিকভ্রান্ত এক সেনাদলকে আবার এক ছাউনির নিচে জড়ো করার চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর সামনে। এখন পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী তিনি। সেটি শুধু অধিনায়ক হিসেবে না, পারফরমিং অধিনায়ক হিসেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে শেষ বলের আগের বলে ছক্কা মেরে মুশফিক দলকে এনে দিয়েছিলেন অবিস্মরণীয় জয়। ২৬ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসের জন্য হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এরপর তিন ওয়ানডেতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২১, ৬৯ ও ১০*। কাল অধিনায়কত্বের টেস্ট অভিষেকের প্রথম দিন শেষে ১৯৩ মিনিট উইকেটে থেকে ১৪৪ বল খেলে অপরাজিত ৬৮। মুশফিকুরের ব্যাট হাসছেই। উইকেটের পেছনে তেমন কোনো তালগোল পাকাননি। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত পাঁচবার টস করতে নেমে প্রতিবারে বিজয়ীর হাসি। তাঁর ছোট্ট কাঁধে তাই ভরসা রাখার ভরসা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অষ্টম টেস্ট অধিনায়ক বগুড়ার এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। আগের সাতজনের অধিনায়কত্ব অভিষেকে একবার চোখ বোলানো যাক। প্রথমজন নাঈমুর রহমান। ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে সেই টেস্টে স্বাগতিকরা হারে ৯ উইকেটে। নাঈমুর ব্যাটিংয়ে ১৫ ও ৩ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে এই অফস্পিনারের ৪৪.৩-৯-১৩২-৬ ফিগার অনেক দিন ধরে হয়ে ছিল দেশের সেরা। ২০০১ সালের ১৮ ডিসেম্বর হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় খালেদ মাসুদের অধিনায়ক-পর্ব। নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি জিতেছিল ইনিংস ও ৫২ রানে। ব্যাটিংয়ে ৬ ও ৬ করার পাশাপাশি উইকেটকিপিংয়ে দুটি ক্যাচ ছিল তাঁর। দেশের তৃতীয় টেস্ট অধিনায়ক অলরাউন্ডার খালেদ মাহমুদ। ২০০৩ সালের ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমবারের মতো টস করতে নামেন তিনি। ম্যাচে ব্যাট হাতে ৬ ও ১ রান এবং ১৭-৫-৫৬-০ বোলিং ফিগার জানান দিচ্ছে মাহমুদের জন্য কেমন কেটেছে ম্যাচটি। দলও হেরে যায় ইনিংস ও ৬০ রানে।
পরের অধিনায়কের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ। হাবিবুল বাশার। পরবর্তীকালে পারফরমিং অধিনায়ক হিসেবে দারুণ সফল হলেও প্রথম ম্যাচটিতে ব্যাট হাতে কোনো অবদানই রাখতে পারেননি বর্তমানের এই নির্বাচক। মোহাম্মদ আশরাফুলের টেস্ট অধিনায়কত্বের শুরুটাও মনে রাখার মতো কিছু না। ২০০৭ সালের ২৫ জুন কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হওয়া ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ৭ ও ৩৭ রান করার ফাঁকে ১৩ ওভারে ৫২ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি জিতে নেয় ইনিংস ও ২৩৪ রানে।
বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ টেস্ট অধিনায়কের শুরুটা হয়েছিলে হারের তেতো স্বাদ দিয়ে। মাশরাফি বিন মর্তুজায় এসে প্রথমবারের মতো ইতিহাসের বাঁক বদল। কিন্তু সেটি উপভোগের মতো অবস্থা ছিল না এই পেসারের। ইনজুরিতে পড়ে যে আবার দীর্ঘদিনের নির্বাসন চোখ রাঙাচ্ছিল মাশরাফিকে। ২০০৯ সালের ৯ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচ বাংলাদেশ জেতে ৯৫ রানে। ব্যাটিংয়ে ৫২ বলে ৩৯ করার পর নিজের সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন নড়াইল এঙ্প্রেস। ম্যাচে আর বোলিং করতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নামলেও রানের খাতা খোলার আগেই ফেরত আসেন মাশরাফি।
পরের গল্পটি সাফল্যের। এটি যে সাকিব আল হাসানের কাহিনী। মাশরাফির অনুপস্থিতিতে ওই সিরিজের পরের টেস্টেই দলের দায়িত্ব নেন এই অলরাউন্ডার। বোলিংয়ে তিন ও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুই উইকেটে। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৬। এরপর চতুর্থ ইনিংসে ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯৭ বলে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জেতান ৪ উইকেটে। দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জেতে টেস্ট সিরিজ। সাকিব হন ম্যাচসেরা, সিরিজসেরা। আর কী চাই!
মুশফিকুর রহিমের শুরুটা তেমনি আশাজাগানিয়া। টোয়েন্টি টোয়েন্টি আর ওয়ানডের পর টেস্টেও। মাত্রই প্রথম দিন গেল অবশ্য। তবে সেখানে ব্যাটিং করেছেন তিনি যথার্থ টেস্ট ব্যাটসম্যানের মতো আস্থার প্রতীক হয়ে। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ককে নিয়ে দারুণ আশাবাদ জানিয়ে গেলেন তামিম ইকবাল, 'গত ছয় মাস ধরেই মুশফিক দারুণ ব্যাটিং করছে। আমি মনে করি, অধিনায়ক হিসেবে ও সব ঠিক কাজগুলোই করছে। এখন পর্যন্ত আমি খারাপ কিছুই দেখিনি। আমি নিশ্চিত, এই ধারা ধরে রেখে কাল মুশফিক ওর ইনিংসটা টেনে অনেক দূর নিয়ে যাবে।'
মাঠের পারফরম্যান্স আর সতীর্থদের শ্রদ্ধায় সত্যিকারের এক নেতার প্রতিশ্রুতিই তো দেখা যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের মধ্যে
No comments