চট্টগ্রামে বিএনপিকে প্রতিরোধে আ'লীগের পাল্টাপাল্টি জনসভা! by তৌফিকুল ইসলাম বাবর,
বিরোধী দল বিএনপিকে মোকাবেলা করতে চট্টগ্রামে পাল্টাপাল্টি জনসভা করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চ ও জনসভার আগে-পরে পাল্টাপাল্টি এ জনসভা করবে নগর আওয়ামী লীগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন গ্রুপ বিএনপির জনসভার আগে এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন-সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি গ্রুপ বিএনপির পরে জনসভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে।৬ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তাতে পরিবর্তন আনা হয়।
চট্টগ্রামে মহাসমাবেশের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা নগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর হজে যাওয়ার কথা থাকায় এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান অসুস্থ হয়ে পড়ায় মহাসমাবেশের তারিখ পেছানো হয়। আগামী ২১ থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর রাতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের এক বর্ধিত সভায় বিএনপির আগেই চট্টগ্রামে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরদিনই তিনি হজ পালনের জন্য সৌদি আরব চলে যান।
এদিকে জনসভার স্থান ও তারিখ নির্ধারণ করেছে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ।
আগামী ১৮ নভেম্বর নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে তাদের এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনও স্থান নির্ধারণ করতে না পারলেও চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচির পর জনসভা করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী ডা. আফছারুল-বিএসসিপন্থিরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে বন্দরনগরীর রাজনীতিতে। নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে নগরীর ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে প্রতিদিনই পাল্টপাল্টি কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করছে দুই গ্রুপ।
মন্ত্রী আফছারুল-সাংসদ বিএসসি গ্রুপের অন্যতম নেতা নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী সমকালকে বলেন, 'মহিউদ্দিন চৌধুরীর কোনো নিয়মনীতি নেই। স্বৈরাচারের মতোই দল পরিচালনা করতে চাইছেন তিনি। গত সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেও কাজ করেছেন তিনি। তা ছাড়া তিনি নিজেকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে দাবি করলেও সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই তাকে আমরা মানি না।'
তবে দলে যারা মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধাচরণ করছেন তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বর্ণচোরা বলে মন্তব্য করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন। তিনি সমকালকে বলেন, 'মহিউদ্দিনকে যারা মানেন না, তারাও সেই কমিটির বিভিন্ন পদ-পদবি ব্যবহার করছেন। কেউ যদি ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মসূচি দিয়ে থাকেন তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না।'
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করতে আগেভাগেই লালদীঘি ময়দান বুকিং দিয়ে রেখেছে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ। প্রথমদিকে জনসভার তারিখ নির্ধারণ না হওয়ায় ১০ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত লালদীঘি ময়দানের বুকিং দেওয়া হয়। পরে তা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ওই দিনই জনসভার তারিখ ঠিক করা হয়েছে বলে সমকালকে নিশ্চিত করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু। দলের নগর কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক জানান, সমাবেশ সফল করতে নগরীর ১১টি থানায় কর্মী সমাবেশ করছেন তারা। গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এসব সমাবেশ হবে। অপরদিকে আগে থেকেই ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। বিএনপির জনসভার পর তারা এ জনসভা করবে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বলেন, 'বিএনপির কর্মসূচির পরই আমরা জনসমাবেশের আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। নগরীর লালদীঘি মাঠ কিংবা পুরাতন রেল রেলস্টেশনে এই জনসভার আয়োজন করার চেষ্টা চলছে।'
প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর রাতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের এক বর্ধিত সভায় বিএনপির আগেই চট্টগ্রামে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরদিনই তিনি হজ পালনের জন্য সৌদি আরব চলে যান।
এদিকে জনসভার স্থান ও তারিখ নির্ধারণ করেছে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ।
আগামী ১৮ নভেম্বর নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে তাদের এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনও স্থান নির্ধারণ করতে না পারলেও চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচির পর জনসভা করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী ডা. আফছারুল-বিএসসিপন্থিরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে বন্দরনগরীর রাজনীতিতে। নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে নগরীর ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে প্রতিদিনই পাল্টপাল্টি কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করছে দুই গ্রুপ।
মন্ত্রী আফছারুল-সাংসদ বিএসসি গ্রুপের অন্যতম নেতা নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী সমকালকে বলেন, 'মহিউদ্দিন চৌধুরীর কোনো নিয়মনীতি নেই। স্বৈরাচারের মতোই দল পরিচালনা করতে চাইছেন তিনি। গত সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেও কাজ করেছেন তিনি। তা ছাড়া তিনি নিজেকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে দাবি করলেও সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই তাকে আমরা মানি না।'
তবে দলে যারা মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধাচরণ করছেন তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বর্ণচোরা বলে মন্তব্য করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন। তিনি সমকালকে বলেন, 'মহিউদ্দিনকে যারা মানেন না, তারাও সেই কমিটির বিভিন্ন পদ-পদবি ব্যবহার করছেন। কেউ যদি ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মসূচি দিয়ে থাকেন তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না।'
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করতে আগেভাগেই লালদীঘি ময়দান বুকিং দিয়ে রেখেছে মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ। প্রথমদিকে জনসভার তারিখ নির্ধারণ না হওয়ায় ১০ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত লালদীঘি ময়দানের বুকিং দেওয়া হয়। পরে তা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ওই দিনই জনসভার তারিখ ঠিক করা হয়েছে বলে সমকালকে নিশ্চিত করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু। দলের নগর কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক জানান, সমাবেশ সফল করতে নগরীর ১১টি থানায় কর্মী সমাবেশ করছেন তারা। গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এসব সমাবেশ হবে। অপরদিকে আগে থেকেই ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। বিএনপির জনসভার পর তারা এ জনসভা করবে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বলেন, 'বিএনপির কর্মসূচির পরই আমরা জনসমাবেশের আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। নগরীর লালদীঘি মাঠ কিংবা পুরাতন রেল রেলস্টেশনে এই জনসভার আয়োজন করার চেষ্টা চলছে।'
No comments