বোল্ট প্রতারক!
বে' এরিয়া ল্যাবরেটরি কো-অপারেটিভ (বালকো)'_ একটি আমেরিকান ড্রাগ প্রস্তুতকারী কোম্পানি। খেলাধুলায় ডোপিং কেলেঙ্কারির বড় হোতা এই বালকো। তারা এমন কিছু নিষিদ্ধ ড্রাগ তৈরি করে যা কোনো ধরনের ডোপিং টেস্টে চিহ্নিত করা অসম্ভব। অনেক নামিদামি ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের কাছে এসব ড্রাগ সরবরাহ করা হয় বালকো থেকে। ২০০৪ সালে পুলিশের একটি তল্লাশিতে ধরা পড়ে বালকোতে আসলে কী হয়! বালকোর ডোপিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে অকালেই ক্যারিয়ার শেষ করেছেন অনেক সম্ভাবনাময়ী ক্রীড়াবিদ। কোম্পানিটির মূল ব্যক্তি ভিক্টর কোন্টে।
যিনি ড্রাগগুরু নামেও পরিচিত। সে গুরুই সন্দেহের আঙুল তুলেছেন জ্যামাইকান গতিমানব উসাইন বোল্টের দিকে। একই সঙ্গে কোন্টের সন্দেহে রয়েছেন ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিক গেমসের ১০০ মিটারের ফাইনালিস্ট ৮ অ্যাথলেটের সবাই। ওই সময় স্বর্ণ জিতেছিলেন মরিচ গ্রিন। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর অটো বোল্ডন রৌপ্য এবং বার্বাডোজের ওবাদেলে থম্পসন জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ পদক।
বেইজিং অলিম্পিকের পর ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বার্লিন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৯.৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন জ্যামাইকান গতি তারকা বোল্ট। তিনিই নাকি নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবন করতেন! ভিক্টর কোন্টের বক্তব্য হলো, 'বেইজিং অলিম্পিকের আগে বোল্ট আমার ল্যাবরেটরি বালকোতেই উৎপাদিত ড্রাগ নিয়েছিলেন। তবে এখন সেটা প্রমাণ করতে পারব না; কিন্তু এ দাবির ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত আমি। শুধু বোল্টই নন, প্রায় সব জ্যামাইকান অ্যাথলেটই নিষিদ্ধ ড্রাগ নেন'_ লা গ্যাজেটা ডেলো স্পোর্টসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটানো এসব মন্তব্য করেন ভিক্টর কোন্টে।
বালকোর ড্রাগ সেবন করার কারণেই তিনবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন মারিয়ন জোন্স অনেক পরীক্ষার পরও ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হননি। তবে তিনি যখন নিজেই ড্রাগ সেবনের কথা স্বীকার করেন এবং পদক হারিয়ে জেল বরণ করেন তখন সরকারের তদন্তে বালকোর আসল কীর্তি ফাঁস হয়। বালকোর প্রধান ব্যক্তি কোন্টে বিশ্বাস করেন শীর্ষ অ্যাথলেটদের অর্ধেকেরও বেশি ড্রাগ আসক্ত, 'আমি মনে করি, ৮০ ভাগ অ্যাথলেট ড্রাগে আসক্ত ছিল। তবে বালকোর এসব ব্যাপার ফাঁস হওয়ায় তা নেমে এসেছে ৬৫ ভাগে।' কোন্টের মতে, জ্যামাইকান অ্যাথলেটদের সাফল্যের পেছনে মূল উপাদান হিসেবে কাজ করছে ড্রাগ। তিনি বলেন, '২০০১ সালের পর ক্যারিবিয়ান দেশগুলো থেকেই উঠে আসছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেট। শুধু জ্যামাইকা নয়, অন্য অনেক দেশের অ্যাথলেটই আমার কাছে স্বীকার করেছে, ডাক্তাররা কীভাবে তাদের ড্রাগ নিতে বাধ্য করতেন। ২০০৮-এর বেইজিং অলিম্পিকে জ্যামাইকান অ্যাথলেটদের ডাক্তাররা টেস্টোসটেরোন, ইপিওসহ (এরিথ্রোপেটিন) আরও বেশ কয়েক ধরনের ড্রাগ সরবরাহ করেছিল।'
বেইজিং অলিম্পিকের পর ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বার্লিন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৯.৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন জ্যামাইকান গতি তারকা বোল্ট। তিনিই নাকি নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবন করতেন! ভিক্টর কোন্টের বক্তব্য হলো, 'বেইজিং অলিম্পিকের আগে বোল্ট আমার ল্যাবরেটরি বালকোতেই উৎপাদিত ড্রাগ নিয়েছিলেন। তবে এখন সেটা প্রমাণ করতে পারব না; কিন্তু এ দাবির ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত আমি। শুধু বোল্টই নন, প্রায় সব জ্যামাইকান অ্যাথলেটই নিষিদ্ধ ড্রাগ নেন'_ লা গ্যাজেটা ডেলো স্পোর্টসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটানো এসব মন্তব্য করেন ভিক্টর কোন্টে।
বালকোর ড্রাগ সেবন করার কারণেই তিনবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন মারিয়ন জোন্স অনেক পরীক্ষার পরও ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হননি। তবে তিনি যখন নিজেই ড্রাগ সেবনের কথা স্বীকার করেন এবং পদক হারিয়ে জেল বরণ করেন তখন সরকারের তদন্তে বালকোর আসল কীর্তি ফাঁস হয়। বালকোর প্রধান ব্যক্তি কোন্টে বিশ্বাস করেন শীর্ষ অ্যাথলেটদের অর্ধেকেরও বেশি ড্রাগ আসক্ত, 'আমি মনে করি, ৮০ ভাগ অ্যাথলেট ড্রাগে আসক্ত ছিল। তবে বালকোর এসব ব্যাপার ফাঁস হওয়ায় তা নেমে এসেছে ৬৫ ভাগে।' কোন্টের মতে, জ্যামাইকান অ্যাথলেটদের সাফল্যের পেছনে মূল উপাদান হিসেবে কাজ করছে ড্রাগ। তিনি বলেন, '২০০১ সালের পর ক্যারিবিয়ান দেশগুলো থেকেই উঠে আসছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেট। শুধু জ্যামাইকা নয়, অন্য অনেক দেশের অ্যাথলেটই আমার কাছে স্বীকার করেছে, ডাক্তাররা কীভাবে তাদের ড্রাগ নিতে বাধ্য করতেন। ২০০৮-এর বেইজিং অলিম্পিকে জ্যামাইকান অ্যাথলেটদের ডাক্তাররা টেস্টোসটেরোন, ইপিওসহ (এরিথ্রোপেটিন) আরও বেশ কয়েক ধরনের ড্রাগ সরবরাহ করেছিল।'
No comments