ধ্বংসস্তূপে পরিণত সির্ত শহরঃ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে হন্যে হয়ে বেড়ান গাদ্দাফি
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে জীবনের শেষ দিনগুলোতে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়ান লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। ন্যাটোর বিমান হামলা বা এনটিসির যোদ্ধাদের ভয়ে তিনি আজ এ-বাড়ি তো কাল আরেক বাড়িতে রাত কাটান। কখনো রাত কাটিয়েছেন কোনো ভবনের ভূগর্ভস্থ কক্ষে, কখনো গাড়ির গ্যারেজে, কখনো আবার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়ির ভেতরেই। তবে গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত শহরে গাদ্দাফি বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের এমন কোনো একক বাংকার বা আস্তানা খুঁজে পাওয়া যায়নি, যেখান থেকে তাঁরা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) যোদ্ধাদের হাতে পতন হওয়া সির্ত শহর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিকেরা সির্ত শহর সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় এ সব তথ্য জানতে পারেন। লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের যোদ্ধারা সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁরা এখন পর্যন্ত গাদ্দাফি বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কোনো কমান্ড সেন্টার খুঁজে পাননি। বরং সির্ত শহরের উত্তর-পশ্চিম এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গাদ্দাফি, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময়ে রাত কাটানোর প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা।
এনটিসির যোদ্ধা ৩২ বছর বয়সী ট্যাংকচালক বদর মোহাম্মদ বিষয়টির ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তিনি (গাদ্দাফি) জানতেন, ন্যাটো তাঁর পিছু নিয়েছে। তিনি প্রতি রাতেই জায়গা পরিবর্তন করেছেন।’
গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধারা তিন বা চার ভাগ হয়ে শহরে রাত যাপন করতেন। যেসব স্থানে তাঁরা রাত যাপন করেছেন, সেখানে জাজিম, কম্বল ও কোমরবন্ধের পাশাপাশি সেনাদের পরিত্যক্ত পোশাক-পরিচ্ছদও ছড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। শেষ দিকে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধাদের খাবার বলতে কিছু ছিল না। তুর্কি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সামান্য পরিমাণ রেশন পাওয়া গেলেও তাঁদের একমাত্র খাদ্য ছিল টমেটো পেস্ট।
শহরের ভেতরে ঢুকেই উপলব্ধি করা গেছে, সেখানে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চলেছে। হাতে গোনা গুটিকয়েক বাড়ি অক্ষত রয়েছে। অধিকাংশ বাড়িই শত-সহস্র বুলেট ও গোলার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে অসংখ্য গর্ত। জানালা-দরজার কাচ ভেঙে চুরমার। ঘরের দেয়াল পুড়ে কালো বর্ণ ধারণ করেছে।দক্ষিণাঞ্চলের একটি চারতলাবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টের প্রতিটি দেয়ালই রকেটের আঘাতে উড়ে গেছে।
শহরের ভেতরে একটি অস্থায়ী খোলা হাসপাতালের সন্ধান মিলেছে। সেখানে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়া হতো। হাসপাতালের মেঝেতে রক্তমাখা ব্যান্ডেজ এবং তুলার স্তূপ। উপর্যুপরি গোলাবর্ষণের হাত থেকে কিছুটা সুরক্ষার জন্য হাসপাতালটির চতুর্দিকে জাজিম ও কম্বল স্তূপ করে রাখা হয়। হাসপাতালের এক কোণে রয়েছে লাশের স্তূপ। সেগুলো কাপড় দিয়ে মোড়ানো। চারদিকে লাশের বিকট গন্ধ।
বৃহস্পতিবার সকালে যোদ্ধাদের হাতে শহরের পতনের পর ফাঁকা শহরের বাড়িতে বাড়িতে চলে লুটপাট। বাড়িঘরের অবস্থা পর্যবেক্ষণে বাসিন্দাদের কেউ কেউ শহরে ফিরেছে। শহরের পূর্ব এলাকার বাসিন্দা আদনান সৈয়দ বলেন, একটি রকেটের আঘাতে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। একইভাবে তাঁর বন্ধুর বাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব পুড়ে গেছে, সব ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনো কিছুই আর মেরামত করা সম্ভব নয়। এটা ঠিক হয়নি। আমি ভাবি, গাদ্দাফি কেন আত্মসমর্পণ করলেন না।’ দ্য টেলিগ্রাফ।
এনটিসির যোদ্ধা ৩২ বছর বয়সী ট্যাংকচালক বদর মোহাম্মদ বিষয়টির ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তিনি (গাদ্দাফি) জানতেন, ন্যাটো তাঁর পিছু নিয়েছে। তিনি প্রতি রাতেই জায়গা পরিবর্তন করেছেন।’
গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধারা তিন বা চার ভাগ হয়ে শহরে রাত যাপন করতেন। যেসব স্থানে তাঁরা রাত যাপন করেছেন, সেখানে জাজিম, কম্বল ও কোমরবন্ধের পাশাপাশি সেনাদের পরিত্যক্ত পোশাক-পরিচ্ছদও ছড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। শেষ দিকে গাদ্দাফির অনুগত যোদ্ধাদের খাবার বলতে কিছু ছিল না। তুর্কি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সামান্য পরিমাণ রেশন পাওয়া গেলেও তাঁদের একমাত্র খাদ্য ছিল টমেটো পেস্ট।
শহরের ভেতরে ঢুকেই উপলব্ধি করা গেছে, সেখানে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চলেছে। হাতে গোনা গুটিকয়েক বাড়ি অক্ষত রয়েছে। অধিকাংশ বাড়িই শত-সহস্র বুলেট ও গোলার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে অসংখ্য গর্ত। জানালা-দরজার কাচ ভেঙে চুরমার। ঘরের দেয়াল পুড়ে কালো বর্ণ ধারণ করেছে।দক্ষিণাঞ্চলের একটি চারতলাবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টের প্রতিটি দেয়ালই রকেটের আঘাতে উড়ে গেছে।
শহরের ভেতরে একটি অস্থায়ী খোলা হাসপাতালের সন্ধান মিলেছে। সেখানে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়া হতো। হাসপাতালের মেঝেতে রক্তমাখা ব্যান্ডেজ এবং তুলার স্তূপ। উপর্যুপরি গোলাবর্ষণের হাত থেকে কিছুটা সুরক্ষার জন্য হাসপাতালটির চতুর্দিকে জাজিম ও কম্বল স্তূপ করে রাখা হয়। হাসপাতালের এক কোণে রয়েছে লাশের স্তূপ। সেগুলো কাপড় দিয়ে মোড়ানো। চারদিকে লাশের বিকট গন্ধ।
বৃহস্পতিবার সকালে যোদ্ধাদের হাতে শহরের পতনের পর ফাঁকা শহরের বাড়িতে বাড়িতে চলে লুটপাট। বাড়িঘরের অবস্থা পর্যবেক্ষণে বাসিন্দাদের কেউ কেউ শহরে ফিরেছে। শহরের পূর্ব এলাকার বাসিন্দা আদনান সৈয়দ বলেন, একটি রকেটের আঘাতে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। একইভাবে তাঁর বন্ধুর বাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব পুড়ে গেছে, সব ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনো কিছুই আর মেরামত করা সম্ভব নয়। এটা ঠিক হয়নি। আমি ভাবি, গাদ্দাফি কেন আত্মসমর্পণ করলেন না।’ দ্য টেলিগ্রাফ।
No comments