ফাটলের দায় নিতে হুন্দাইয়ের অস্বীকৃতি : বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু মেরামতে ২৫১ কোটি টাকা গচ্চা দেবে সরকার

ঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাতা হুন্দাই কোম্পানি সেতুতে সৃষ্ট ফাটলের দায় নিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে সেতুতে ফাটল মেরামতে প্রায় ২৫১ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে। এরই মধ্যে ফাটল চিহ্নিতকরণ কাজ শেষ হয়েছে। এ মেরামত কাজের জন্য চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৪৩ কোটি টাকা এবং কনসালট্যান্টের পেছনে ব্যয় হবে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ফাটল মেরামত কাজ শুরু হবে। মেরামত কাজে পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধায়ন করবেন প্রফেসর ডা. জামিরুল রেজার নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ। তারা গত এপ্রিল মাসে চীনে গিয়ে সেদেশের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের কাজ দেখে এসেছেন।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে সেতুর আবার ফাটল দেখা দেবে। তবে ট্রেন চলাচলের জন্য যমুনা নদীর ওপর দিয়ে রেল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেতুর মোট ৪৯টি স্প্যান রয়েছে। প্রত্যেক স্প্যানেই ফাটল দেখা দিয়েছে। আর প্রতিটি
সিগমেন্টেই একাধিক ছোট-বড় ফাটল রয়েছে, যা দুই মিলিমিটার থেকে তিন মিলিমিটার। এর আগে ২০০৮ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ফাটল মেরামত করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে আগামী নভেম্বর মাস থেকে সেতুতে স্থায়ীভাবে মেরামত কাজ শুরু হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে মালামাল নিয়ে সেতু এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। মেরামত কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ১ বছর।
সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী জানান, ২০১২ সালের শেষ দিকে মেরামত কাজ শেষ হলে সেতু আগের অবস্থানে ফিরে যাবে। ফাটল মেরামতের জন্য চার ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ই প্রক্সি ইনজেকশন (কনক্রিটের) চেয়ে শক্তিশালী আঠা দিয়ে ফাটল বন্ধ করা হবে।
১৯৯৫ সালে যমুনা নদীর ওপর ৪.৮ কিলোমিটার সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর আগে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এ কাজের উদ্বোধন করেন। ১৯৯৮ সালে সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়। এর নামকরণ করা হয় যমুনা বহুমুখী সেতু। এর ব্যয় হয় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেতুর নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু সেতু নামকরণ করেন।

No comments

Powered by Blogger.