বাবার সঙ্গেই জীবন দিলেন মুতাসিম
লিবীয় নেতা গাদ্দাফির সঙ্গে নিহত হয়েছেন তারই এক ছেলে মুতাসিম। বৃহস্পতিবার সিরতে সংঘর্ষের সময় বাবার সঙ্গে তিনিও এনটিসি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মিসরাতা শহরে। একদল লোক ওই লাশ ঘিরে জয়োল্লাস প্রকাশও করে। খবর এএফপি, টেলিগ্রাফ ও জিনিউজ অনলাইনের। গাদ্দাফির দুই স্ত্রীর গর্ভজাত ৮ ছেলেমেয়ের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন মুতাসিম (৩৪)। লিবীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ছিলেন তিনি। একবার বাবার বিরুদ্ধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে পালিয়ে যান মিসরে। পরে তাকে ক্ষমা করা হলে দেশে ফিরে আসেন। গাদ্দাফির নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিযুক্ত হন।
এনটিসি কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার সিরতে গাদ্দাফির সঙ্গেই গুলিতে নিহত হন তিনি। তবে খবর বেরিয়েছে তাকে জীবিত অবস্থায় ধরা হয়েছিল। সেলফোনে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এনটিসি সেনারা তাকে জীবিত ধরার পর একটি ট্রাকে তুলছে। এমন কি তাকে পানি, সিগারেটও দেওয়া হয়। পরে আরেকটি যানবাহনে তাকে বসা অবস্থায় দেখা যাচ্ছিল। বুক ছিল রক্তাক্ত। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মুতাসিমকে কী বাঁচিয়ে রাখা যেত না! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুতাসিমের লাশ মিসরাতা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও সেলফোনের সাহায্যে দৃশ্যধারণ করা হয়। একদল লিবীয় লাশ ঘিরে জয়োল্লাস প্রকাশ করতে থাকে। তারা 'আল্লাহু আকবর' বলে স্লোগান দেয়। তাদের একজন মন্তব্য করেন, 'এটা হলো স্বৈরাচারের সমাপ্তি।' মুতাসিমের লাশ মেঝের ওপর পড়ে ছিল। শরীরের উপরিভাগ ছিল উদোম। নীল প্লাস্টিক শিট দিয়ে মোড়ানো থাকলেও বুকের ক্ষত ছিল স্পষ্ট। এদিকে গাদ্দাফি ও মুতাসিম নিহত হওয়া সম্পর্কে এনটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের হত্যা করার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান তারা।
No comments