নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না ঢাকার চার নদী রক্ষার কাজ by তাওহীদ সৌরভ
বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর সীমানা নির্ধারণে হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময় প্রায় শেষ হয়ে এলেও সীমানা নির্ধারণ কাজের সিংহভাগই অসমাপ্ত রয়েছে। এমনকি এসব বিষয়ে অগ্রগতির প্রতিবেদনও হাইকোর্টে জমা পড়েনি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে নদী রক্ষায় হাইকোর্টে রিটকারী পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
ঢাকাসহ এর আশপাশের চার নদীর নাব্যতা ও গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সমকালকে বলেন, 'হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সীমানা নির্ধারণ শেষ করা টার্গেট নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে কিছু আপত্তি আসায় আবারও সময় চাওয়া হয়েছে। চার নদী রক্ষায় আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সমকালকে বলেন, 'বহুদিন ধরে ওই স্থাপনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে উচ্ছেদে আদালতে সময় চাওয়া হয়েছে। বর্ধিত সময়ে আপিলকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙা হবে কি-না এবং আবারও সময় চাওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রয়োজন হলে চাওয়া হবে। এ ছাড়া বর্ধিত ৬ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ দিয়ে অন্যদের উচ্ছেদ করা হবে।
২০০৯ সালের ২৫ জুন হাইকোর্ট ৪ নদী রক্ষায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেন। রায়ে নদী তীরবর্তী স্থায়ী ও অস্থায়ী সব স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদীর সঠিক গতিপথ নির্ণয় করতে সিএস রেকর্ড অনুসারে নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এইচআরপিবি সূত্র জানায়, নির্দেশ অনুযায়ী যমুনা নদী থেকে পানি আনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও চলছে ঢিমেতালে। রায়ে ২০০৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ভূমি জরিপ অধিদফতর এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সিএস রেকর্ড অনুসারে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর জরিপ সম্পন্ন করে সীমানা
নির্ধারণ, ২০১০ সালের ৩০ মের মধ্যে পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা চিহ্নিত করা, ওই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে গারবেজ, বালু ও মাটি ইত্যাদি নদীর সীমানার মধ্যে থেকে অপসারণ, চলতি বছরের ৩১ মের মধ্যে নদীতীরবর্তী স্থানে হাঁটার পথ তৈরিসহ বনায়ন এবং ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নদীগুলোকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, এসব নির্দেশনার মধ্যে শুধু সিএস রেকর্ড অনুসারে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর জরিপ সম্পন্ন করে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। বাকি নির্দেশনা মানা হয়নি। মাঝে-মাঝে কেবল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা ছাড়া বাকি রায় ঝুলে আছে। রায়ে ৪ নদীর পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে যমুনা নদী থেকে আগামী ২০১৪ সালের মধ্যে পানি আনার ব্যবস্থা করতে বংশী, পুলিং ও টঙ্গী খাল খনন করতেও বলা হয়। তার কোনো অগ্রগতি নেই। ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতের নির্দেশনার কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা জানাতে বলা হলেও নদী জরিপ ছাড়া কোনো রিপোর্টই হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি।
নদী রক্ষায় হাইকোর্টে রিট মামলা দায়েরকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সরকারের আবেদনে আদালত ৬ মাস সময় দিয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যে ৭টি প্রতিষ্ঠান আপিল করেছিল তাদের আগামী ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করা হয় কি-না তা এখন দেখার বিষয়। এ কারণে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'শীতলক্ষ্যা, বালু, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ_ এই ৪ নদী রক্ষা করা না গেলে ঢাকাকে রক্ষা করা যাবে না। সরকার চাইলে সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে হাইকোর্টের রায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে নদীগুলো বাঁচানো সম্ভব। পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) নির্বাহী পরিচালক আবু নাসের খান বলেছেন, ধীর গতিতে চলছে ঢাকার চার নদী রক্ষার কাজ। শুধু তাই নয় নদীর সীমানা পিলার নির্ধারণে হাইকোর্টের আদেশ সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না। তিনি জানান, এভাবে কাজ চললে কোনো অবস্থাতেই হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ে চার নদী রক্ষার কাজ শেষ হবে না।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সমকালকে বলেন, 'বহুদিন ধরে ওই স্থাপনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে উচ্ছেদে আদালতে সময় চাওয়া হয়েছে। বর্ধিত সময়ে আপিলকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙা হবে কি-না এবং আবারও সময় চাওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রয়োজন হলে চাওয়া হবে। এ ছাড়া বর্ধিত ৬ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ দিয়ে অন্যদের উচ্ছেদ করা হবে।
২০০৯ সালের ২৫ জুন হাইকোর্ট ৪ নদী রক্ষায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেন। রায়ে নদী তীরবর্তী স্থায়ী ও অস্থায়ী সব স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদীর সঠিক গতিপথ নির্ণয় করতে সিএস রেকর্ড অনুসারে নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এইচআরপিবি সূত্র জানায়, নির্দেশ অনুযায়ী যমুনা নদী থেকে পানি আনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও চলছে ঢিমেতালে। রায়ে ২০০৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ভূমি জরিপ অধিদফতর এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সিএস রেকর্ড অনুসারে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর জরিপ সম্পন্ন করে সীমানা
নির্ধারণ, ২০১০ সালের ৩০ মের মধ্যে পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা চিহ্নিত করা, ওই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে গারবেজ, বালু ও মাটি ইত্যাদি নদীর সীমানার মধ্যে থেকে অপসারণ, চলতি বছরের ৩১ মের মধ্যে নদীতীরবর্তী স্থানে হাঁটার পথ তৈরিসহ বনায়ন এবং ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নদীগুলোকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, এসব নির্দেশনার মধ্যে শুধু সিএস রেকর্ড অনুসারে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর জরিপ সম্পন্ন করে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। বাকি নির্দেশনা মানা হয়নি। মাঝে-মাঝে কেবল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা ছাড়া বাকি রায় ঝুলে আছে। রায়ে ৪ নদীর পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে যমুনা নদী থেকে আগামী ২০১৪ সালের মধ্যে পানি আনার ব্যবস্থা করতে বংশী, পুলিং ও টঙ্গী খাল খনন করতেও বলা হয়। তার কোনো অগ্রগতি নেই। ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতের নির্দেশনার কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা জানাতে বলা হলেও নদী জরিপ ছাড়া কোনো রিপোর্টই হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি।
নদী রক্ষায় হাইকোর্টে রিট মামলা দায়েরকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সরকারের আবেদনে আদালত ৬ মাস সময় দিয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যে ৭টি প্রতিষ্ঠান আপিল করেছিল তাদের আগামী ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করা হয় কি-না তা এখন দেখার বিষয়। এ কারণে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'শীতলক্ষ্যা, বালু, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ_ এই ৪ নদী রক্ষা করা না গেলে ঢাকাকে রক্ষা করা যাবে না। সরকার চাইলে সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে হাইকোর্টের রায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে নদীগুলো বাঁচানো সম্ভব। পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) নির্বাহী পরিচালক আবু নাসের খান বলেছেন, ধীর গতিতে চলছে ঢাকার চার নদী রক্ষার কাজ। শুধু তাই নয় নদীর সীমানা পিলার নির্ধারণে হাইকোর্টের আদেশ সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না। তিনি জানান, এভাবে কাজ চললে কোনো অবস্থাতেই হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ে চার নদী রক্ষার কাজ শেষ হবে না।
No comments