উখিয়ায় এয়ারটেলের নির্মাণাধীন টাওয়ার ভেঙে স্কুলছাত্রের মৃত্যু-এলাকার শোকের ছায়া

ক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজারে মোবাইল ফোন কম্পানি এয়ারটেলের টাওয়ারের পাইলিংয়ের খুঁটি ভেঙে পড়ে মো. খালেদ (১১) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় কোটবাজারের রত্নাপালং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই মোবাইল কম্পানির লোকজন দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। খালেদ স্থানীয় পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।


স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রত্নাপালং এলাকার জনৈক মহিউদ্দিন মাস্টারের বাড়ির সামনে এয়ারটেল একটি টাওয়ারের নির্মাণকাজ শুরু করে কয়েক দিন আগে। টাওয়ার নির্মাণের জন্য বসানো পাইলিংয়ের লোহার তিনটি খুঁটি গতকাল সকালে একসঙ্গে ভেঙে পড়ে। এ সময় সেখানে উৎসুক জনতার পাশাপাশি খালেদও উপস্থিত ছিল। স্থানীয় রত্নাপালং গ্রামের কবির আহমদ মিস্ত্রির ছেলে খালেদ খুঁটির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। তবে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসার আগেই সেখান থেকে ওই মোবাইল কম্পানির লোকজন দ্রুত সটকে পড়ে।
খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী স্কুলছাত্রের অকালমৃত্যুতে তার সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খালেদের মা-বাবা ও আত্মীয়দের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় কবরস্থানে খালেদের দাফন সম্পন্ন হয়। তার জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অসংখ্য লোকের সমাগম ঘটে। রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আকতার কামাল চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই স্কুলছাত্রের অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল ফজল চৌধুরী শোক জানিয়ে বলেন, মেধাবী স্কুলছাত্রের অকালমৃত্যুতে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষও গভীরভাবে শোকাহত। শিগগিরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে।

No comments

Powered by Blogger.