রাজধানীসহ সারাদেশে ১২ দলের বিক্ষোভ : সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা পুনঃস্থাপন না করলে সরকার পতন আন্দোলন
পুলিশ ও র্যাবের ব্যাপক পাহারার মধ্যে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামী এবং সমমনা ১২ দল। সংসদের চলতি অধিবেশনেই বিল এনে সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা পুনঃস্থাপন, কোরআনবিরোধী নারীনীতি ও ইসলামী শিক্ষাবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি সংশোধনসহ সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচি অনুযায়ী বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হলে পুলিশ তাতে ব্যারিকেড দেয়।
এক পর্যায়ে বাধা সরিয়ে নিলে মিছিলটি পল্টন মোড় ও দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে আবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে এসে শেষ হয়। মিছিলের সামনে ও পেছনে বহুসংখ্যক রণসজ্জিত পুলিশ ও র্যাব অবস্থান করছিল। এ সময় পাঞ্জাবি-টুপি পরে মুসল্লিবেশে অনেক পুলিশকেও মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দিয়ে সারাদেশের মুসলমানের অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া কোরআন
-সুন্নাহবিরোধী নারীনীতির খসড়া ও ইসলামী শিক্ষাবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে তারা ইসলামবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে সারাদেশের আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায় না করে তারা ঘরে ফিরে যাবেন না। অবিলম্বে দাবি পূরণ না করলে ওলামাদের এ কর্মসূচি সরকার পতন আন্দোলনে রূপ নেবে বলেও তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
১২ দলের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, যে সংসদে সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বাদ দেয়া হয়েছে, সেই সংসদের অধিবেশন এখন চলছে। সময় থাকতে বিল এনে আল্লাহর ওপর আস্থা পুনঃস্থাপন করুন। তা না হলে আগামী মাসের ৩ তারিখে আলোচনা করে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে।
নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, ওলামারা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আলেমদের ভূমিকা ছিল। ওলামারা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, ইসলামের প্রয়োজনে আন্দোলন করেন। বর্তমান সরকার যদি আলেমদের দাবি না মানে, তাহলে এ আন্দোলন সরকার পতনের মাধ্যমে শেষ হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগের সভাপতি কাজী আবুল খায়ের, সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ইসলামিক পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, বিএলডিপি নেতা নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, ভাসানী ফ্রন্টের সভাপতি মমতাজ চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যআন্দোলন নেতা মোস্তফা তারেকুল হাসান, খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ দলের উদ্যোগে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের একটি মিছিল থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশি বাধার খবর পাওয়া গেছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দিয়ে সারাদেশের মুসলমানের অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া কোরআন
-সুন্নাহবিরোধী নারীনীতির খসড়া ও ইসলামী শিক্ষাবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে তারা ইসলামবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে সারাদেশের আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায় না করে তারা ঘরে ফিরে যাবেন না। অবিলম্বে দাবি পূরণ না করলে ওলামাদের এ কর্মসূচি সরকার পতন আন্দোলনে রূপ নেবে বলেও তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
১২ দলের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, যে সংসদে সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বাদ দেয়া হয়েছে, সেই সংসদের অধিবেশন এখন চলছে। সময় থাকতে বিল এনে আল্লাহর ওপর আস্থা পুনঃস্থাপন করুন। তা না হলে আগামী মাসের ৩ তারিখে আলোচনা করে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে।
নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, ওলামারা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আলেমদের ভূমিকা ছিল। ওলামারা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, ইসলামের প্রয়োজনে আন্দোলন করেন। বর্তমান সরকার যদি আলেমদের দাবি না মানে, তাহলে এ আন্দোলন সরকার পতনের মাধ্যমে শেষ হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগের সভাপতি কাজী আবুল খায়ের, সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ইসলামিক পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, বিএলডিপি নেতা নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, ভাসানী ফ্রন্টের সভাপতি মমতাজ চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যআন্দোলন নেতা মোস্তফা তারেকুল হাসান, খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২ দলের উদ্যোগে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের একটি মিছিল থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশি বাধার খবর পাওয়া গেছে।
No comments