লাঠিচার্জ, পুলিশসহ আহত ৩ : ঠাকুরগাঁওয়ে আ’লীগ অফিস ভাংচুর : আগুন দিয়েছে ছাত্র ও যুবলীগ

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার, আওয়ামী লীগ জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অপসারণের দাবিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশ গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বিক্ষোভরত নেতাদের অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক ব্যবসা হচ্ছে এবং পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করছে না। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এ ব্যবসা চলছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সম্পাদক নিজের পছন্দের লোকদের টাকা-পয়সার বিনিময়ে বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ দিয়েছেন। অধিকাংশই রয়েছেন সুবিধাবঞ্চিত। এ নিয়ে সুবিধাবঞ্চিতরা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও কোনো ফল হয়নি।


পৌর যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবেল ও ছাত্রনেতা পবিত্র কুমার জানান, দল ক্ষমতায় আসার পর একটি শ্রেণীর মানুষ
দলের নাম ভাঙিয়ে পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে প্রতিবাদীদের ওপর বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এরই প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে যুব ও ছাত্রলীগের একাংশ আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুরসহ সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ করে।
পরে রাত ৮টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫-৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা পাল্টা গুলি চালায়। এতে আ. মালেক, গুলজার, মোতালেবসহ ২ পুলিশ আহত ও একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। আর্ট গ্যালারিতে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও পথচারী কয়েকজনের দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা।

No comments

Powered by Blogger.